বরিশালে হেমন্তে শীতের হাতছানি

, ফিচার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল | 2023-11-03 06:39:14

আবহমান বাংলার সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিতে আবারও শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। পাল্টাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন। ছয়ঋতুর বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জিতে এখন চলছে কার্ত্তিক মাস। কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস বাংলায় হেমন্তকাল। আর হেমন্তকে বলা হয় অনুপম ও অপরূপ রূপের ঋতু। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্না। এ ঋতুতেই স্বপ্ন দেখেন বাংলার কৃষক-কৃষাণী।

সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাকা সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলার দৃশ্য, কৃষক-কৃষাণীর নবান্নের আনন্দ সবই হেমন্তের রূপের অনুষঙ্গ। এ যেন হেমন্তেই শীতের হাতছানি। রাতভর টিপটিপ করে শিশির পড়ছে। খোলা মাঠে দুর্বা ঘাসের উপর চিকচিক করছে শিশির ফোটা। ভোরে ফসলের মাঠ, সবজি ক্ষেত ভরে যায় শিশিরে। নানা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধময় ধান নদী খাল এই তিনে বরিশালে হেমন্তের প্রথমেই শীতের আমেজ অনুভব হচ্ছে।

এ ঋতুতে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব। বর্ষা আর শরতের বৃষ্টির জলধারা হেমন্তে শুকাতে থাকে। মাছে ভাতে বাঙালি হেমন্তকালে জাল, বর্শা-পলো ও বড়শি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে মাছ শিকারে। এদিকে দিনে গরম ও রাতে শীতের কারণে উপজেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে শিশু ও বয়ষ্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

বরিশাল সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রশান্ত কুমার সাহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত অনেকেই ভাইরাসজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়। সম্প্রতি বরিশালের হাসপাতালেও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী বেশি পাচ্ছি। বিশেষ করে বর্তমানে শিশুরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। শিশু অসুস্থ হলে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে এবং নিয়মিত খাবার খাওয়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন তার ঠান্ডা না লাগে। বসত বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং ধুলাবালি থেকেও দূরে রাখতে হবে। শিশু একটানা ৩ দিনের বেশি অসুস্থ থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ নিতে হবে।

এ বিষয়ে বরিশাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনিরুদ্ধ দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ সময়টাতে ফসলি জমিতে পোকা মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। যেকারণে আমরা আগে থেকেই সঠিক ওষুধ, সঠিক মাত্রা, সঠিক সময় ইত্যাদি নির্ধারণের পর সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি সঠিক পদ্ধতিতে বালাইনাশক স্প্রে করারও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর