নীলফামারীতে আলু চাষে আশাবাদী কৃষক 

, ফিচার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী  | 2023-10-31 12:24:12

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ‘সেভেন’ জাতের আগাম আলু বাজারে আনতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার আলুর বাম্পার ফলন হবে বলেই আশাবাদী তারা। একইসঙ্গে আগাম আলুতে ভাল ফলন ও দামের আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, উঁচু সমতল ভূমিতে আগাম আলু চাষাবাদ করতে গিয়ে আশ্বিনা বৈরি আবহাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় তাদেরকে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে নতুন উদ্দোমে শুরু করেন আলুর চাষ। 

এরই মধ্যে অনেক কৃষকের ৩০দিন আগে (সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে) বুনন করা আলু ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই বাজারে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান অনেকে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, দিগন্ত ভরা আগাম আলু খেত গাঢ় সবুজের পাতায় দোল খাচ্ছে বাতাসে। বাম্পার ফলনে অধিক লাভের স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা। 

এ সময় জানা গেছে, বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি গ্রামের চাষি ফেরদৌস ৬ বিঘা, মকবুল ইসলাম ৩০ বিঘা আশ্বিনের শুরুতে বীজ বুনেন। 

তারা বলেন, প্রতিবার আগাম আলু চাষ করে অধিক মূনাফা ঘরে তোলা যায়। কিন্তু এবার আলুর বাজারের তেলেশমাতি, দুই দফা আশ্বিনা বন্যার ক্ষত, অন্যদিকে দাম বেড়েছে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, জ্বালানি তেল, শ্রমিক মজুরী ও হালচাষের। এতে সব কিছু মিলে আদাজল খেয়ে আলু চাষে মাঠে নেমেছি। সব ধকল কাটিয়ে শীত আর আনুকূল আবহাওয়ায় আলুর ভাল ফলন ও দাম দুটোয় আশা করা হচ্ছে।

বড়ভিটা মাঝা পাড়ার আলতাফ বলেন, ‘এবার আলু চাষাবাদ করতে গিয়ে পদে পদে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। একদিকে চড়া দামে কিনতে হয়েছে আলুর বীজ, সে বীজ বৃষ্টিতে পঁচে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার ৩ বিঘা জমিতে আলু লাগাতে খরচ হয়েছে দিগুণ। অন্যদিকে সব ধরনের কৃষি পণ্যর দামও বেড়েছে। এতে সব মিলে প্রতি বিঘায় শেষ পর্যন্ত উৎপাদন খরচ হবে ৫০ হাজার টাকার উপরে। বর্তমান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন ও ভাল দামের আশা করা যাচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বার্তা২৪কে বলেন, ‘চলতি বছর ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় আগাম আলুর বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। চড়া দাম পেয়ে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আলু উৎপাদনে মাঠপর্যায়ে কৃষককে সার্বিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর