অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বারোমাসি টমেটো চাষে সাফল্য

, ফিচার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বরিশাল | 2023-10-30 20:51:33

চাকরি জীবন শেষ করে তিনি নিজ জন্মস্থান পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়ায় চলে আসেন। বাড়িতে এসে অবসর সময়টা কাটানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেন তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করবেন। সেখান থেকে শুরু করেন কৃষি কাজ।

বলছি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বিজন কৃষ্ণ মৃধার কথা, যিনি তার অবসর সময়ে বারোমাসি টমেটো চাষ করে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন। মূলত তার উদ্দেশ্য, সনাতন পদ্ধতি থেকে বের হয়ে চাষিদের আধুনিক চাষাবাদে যুক্ত করা।

পেশা জীবনে বিজন কৃষ্ণ মৃধা অধ্যাপক হিসেবে সরকারি এ্যাডওয়ার্ড কলেজ পাবনা, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ চাকরি করেন। সহকারী অধ্যাপক ছিলেন সরকারি বি. এল কলেজ খুলনা এবং সরকারি বি. এম কলেজ বরিশালে। সব শেষে তিনি ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত ছিলেন নগড়কান্দা কলেজ প্রধান। এর পরে তিনি অবসরে যান চাকরি জীবন থেকে।

তিনি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘যখন বগুড়াতে ছিলাম, তখন দেখতাম মালচিং পেপার ব্যবহার করে চাষিরা বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলাচ্ছে। তাদের ফলনও ভাল হয়। তাদের কাছ থেকে জানালাম চাষে খরচ কম। এর পরে উদ্যোগ নিলাম বাড়ির আঙ্গিনায় বারোমাসি জাতের টমেটো চাষ করবো।,

বিজন কৃষ্ণ মৃধা বলেন, আমি একটি চারা কোম্পানির কাছ থেকে ১৪ টাকা দরে গ্রাফটিং করা টমেটো চারা নিয়ে আসি। মাটির প্রস্তুত করে মালচিং পেপার দিয়ে চারা রোপণ করি। এখন ফলন এসেছে গাছে। বেস ভাল ফলন দেখতে পাচ্ছি। তারা বলেছে প্রতি গাছে প্রায় ৫কেজি পরিমাণ টমেটো হবে। আমি হিসেব করলাম যদি ২ কেজিও হয় তাহলেও আমার লাভ থাকবে। বর্তমানে যে বাজার দর তাতে ভাল লাভের আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘মাঝে আমার গাছে একটু সমস্যা হয়েছিলো, জেলার বিভিন্ন কৃষি কর্মকর্তা এসেছিলেন। তারা এক একজন এক এক কথা বলেছেন। বর্তমানে ভালোর দিকে যাচ্ছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রথমবারে সফল হব এটা হিসেব করে শুরু করিনি। আমি শিখছি। আমি চাই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করুক আমাদের এলাকার চাষিরা। আমার দেখাদেখি আর পাঁচজনে শুরু করুক চাষ। অসময়ে চাষে খরচ বেশি হলেও লাভ ভাল। ভাল চাহিদা থাকে বাজারে আর দামও ভাল পাওয়া যায়। মেইন সিজনে এক কেজি টমেটো দুই টাকায়ও পাইকারি বিক্রি হয়, আবার এখন কেজি প্রায় দু’শ টাকা।’

এছাড়াও তিনি এর আগে তার বাড়ির ছাদে বারোমাসি তরমুজ, রকমেলনসহ নানা সবজি ও ফল চাষ করেছেন। তার উদ্দেশ্য হলো, তিনি তার অবসর সময়টা ঘরে বসে না কাটিয়ে কৃষিতে ব্যয় করবেন। এ এলাকার চাষিদের আধুনিক চাষাবাদে যুক্ত করা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর