একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইয়ো না,
একতারা বাজাইলে মনে পইড়া যায়, একদিন বাঙালি ছিলাম রে..।
গানটির মতোই আবহমান বাংলার দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে একতারা ও দোতারা বাদ্য টি। একতারা একধরনের লোক-বাদ্যযন্ত্র। একতারা আর বাউল একে অন্যের সাথে মিশে একাকার। অনেক প্রাচীন এই বাদ্যটির একটি তার থাকে বলে একে একতারা বলা হয়।
একতারার প্রচলন ঠিক কখন থেকে শুরু হয় সেটার নিশ্চিত কোন ধারণা পাওয়া যায় নি। সাধারণত বাউল সাধকদের হাতেই এটি বেশি দেখা যায়।
আমাদের দেশে এটি তৈরি হয় লাউ, কুমড়া, মোটা বাঁশ, কাঠ, নারিকেল খোল ও পিতলের খোলা আবরণে তৈরি হয় একতারা। এর বিপরীতে অবশ্য উন্মুক্ত রাখতে হয়। একতারার বৃওাকার খোলা মুখের ব্যাস সাধারণত ছয় থেকে সাত ইঞ্চি হয়ে থাকে। এর পর তিন ফুট লম্বা মুলি বাঁশের ওপরের দিকে গিট বেঁধে নিচের দিকে এমনভাবে কাটা হয়, যাতে বাঁশ বা কাঠির চিমটা আকারের হয়। চিমটার নিচের দিকটি খোলটির দুই প্রান্তে শক্ত করে বাঁধা থাকে। তারপর খোলটির তলা চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। চামড়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ ছিদ্র করে ছিদ্র দিয়ে সরু পিতল বা লোহা কিংবা ইস্পাতের তার দিয়ে দেওয়া হয়। এ তার দিয়েই বাউলরা সুর তুলে গান ধরেন।