আবর্জনার ভাগাড়ে জীবিকার সন্ধানে ছিন্নমূল মানুষ

, ফিচার

ফটো স্টোরি, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 07:32:48

জীবিকার তাগিদে আবর্জনার ভাগাড়ে ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যরা। এটি পৃথিবীর অন্য কোন দেশের নয়। দৃশ্যটি আমাদের বাংলাদেশের। রাজধানীর ডেমরা এলাকার মৃধাবাড়ি আবর্জনার ভাগাড়ে জীবিকার সন্ধানে নিত্যদিন নামে এরা। উদ্দেশ্য একটাই, দিন শেষ যেন কিছু অর্থ জোগাতে পারে, ঘুমানোর আগে যেন দু’মুঠো খাবার খেতে পারে।

উন্নয়নশীল এই দেশে দেখা মেলে অনেক রকম চিত্রের। একদিকে ধনীরা তাদের বিলাসিতা যেখানে বাড়িয়েই চলেছে, অন্যদিক ছিন্নমূল দরিদ্র পরিবারগুলো দু’মুঠো খাবার জোগাতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। খাদ্য যেখানে আমাদের মৌলিক চাহিদা, সেখানে খাদ্যের সংকটে রয়েছে দেশের বড় একটি অংশের মানুষ। ক্ষুদার যন্ত্রণা তীব্র হয়ে গেলে মানুষ কোন কাজেই আর দ্বিধা বোধ করে না। কোন রকমে পেটের ক্ষুদা মিটিয়ে জীবিকা সঞ্চালনের জন্য আবর্জনার ভাগাড়ে কাজ করে থাকে ছিন্নমূল পরিবারগুলো। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছে বার্তা২৪.কম এর ফটো করেসপন্ডেন্ট মেহেদী হাসান রানা। 

ছবি: বার্তা২৪.কম

সামান্য ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে যেতে দুর্গন্ধ নাকে আসলে আমরা বিব্রতবোধ করে থাকি। এদিকে এই দেশেই  দৈনন্দিন রোজগারের জন্য আবর্জনার স্তুপে নেমে যায় দরিদ্র শ্রেণির কিছু মানুষ। বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা একত্রিত হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি থাকলেও সেটি পরোয়া করে না তারা। তাদের এমন কাজ কারো সীমাবদ্ধ নয়। নারী-পুরুষ, বয়স্ক-শিশু প্রায় সব ধরনের মানুষ নেমে পড়ে এই সংগ্রামে। নারী হয়েও আবর্জনায় ভর্তি বস্তা মাথায় তুলে নিয়ে যেতে বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই তার। চিন্তা শুধু একটাই, সামান্য হলেও উপার্জন করা।    

ছবি: বার্তা২৪.কম

বয়স যখন বই হাতে স্কুলে যাওয়ার, তখন আবর্জনার ভাগাড় থেকে ভাঙ্গারি খুঁজতে ব্যস্ত এক শিশু। যত বেশি ভাঙ্গারি খুঁজে বের করতে পারবে, টাকা যেন ততো বেশি পাবে। সেই চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করে থাকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। 

ছবি: বার্তা২৪.কম

আবর্জনার ভাগাড়ের একই চিত্রে বসে আছে মানুষ এবং শুকুন। আবর্জনাএ থেকেই যেখানে শকুনরা খাচ্ছে সেখানে সেই ময়লা থেকেই ভাঙ্গারি খুঁজে বিক্রি করে মানুষের খাবার জুটছে। সবমিলে এদেশের দরিদ্রদের অসহায়ত্ব যেন বেড়েই চলেছে। কষ্টের চরম সীমার মধ্য দিয়ে দু'মুঠো খেয়েই যেন জীবন বাঁচিয়ে রাখছে ছিন্নমূল পরিবারগুলো। প্রতিদিন সকাল শুরু হয় এই আশা নিয়ে যে দুই পয়সা যেন বেশি রোজগার করতে পারে। কিন্তু দিন শেষ হয়ে গেলেও তাদের সংগ্রাম যেন চলতেই থাকে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর