কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং ফসলের মাঠে শোভা পাচ্ছে ঝিঙে গাছের ফুলে। মনের আনন্দে মৌমাছিরা উড়ে বেড়াচ্ছে ফুলের উপর। সকালের সূর্যের আলো ফুলের উপর পরার পর দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন তারকা চমকাচ্ছে! সবজির জন্য ঝিঙে পরিচিত। তবে এর ফুলেরও আলাদা সুন্দরতা রয়েছে। সবুজ পাতার ভিতরে ফুলের হলুদের রং চকচক করে।
ঝিঙে ফুল! ঝিঙে ফুল!
সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল-ঝিঙে ফুল
গুল্মে পর্ণে
লতিকার কর্ণে
ঢলঢল স্বর্ণে
ঝলমল দোলে দুল-
ঝিঙে ফুল।।
উক্তি গুলো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা 'ঝিঙে ফুল' নিয়ে কবিতার প্রথম অংশ।
এই গাছের কচি ফলই তরকারি হিসাবে রান্না করা হয়। গাছটি লতা আকারের হয়। ঝোপঝাড় আর গাছপালার মধ্যে লতা পেঁচিয়ে এটি হয়। জমিতে বাঁশের মাচা দিয়ে এর মধ্যে তার বা সুতা লম্বা করে দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে বেয়ে উঠে এই ঝিঙে গাছ। কটিয়াদী উপজেলার মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে ঝিঙের।