কটিয়াদীর বাগানগুলোতে সুগন্ধি গেন্ধা ফুলের স্নিগ্ধতা

, ফিচার

ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) | 2023-08-30 16:00:39

শীত এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বাগান ও নার্সারিতে এরই মধ্যে ফুটতে শুরু করেছে সুগন্ধি গাঁদা (গেন্ধা) ফুল। এটি সহজেই আকৃষ্ট করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। দৃষ্টিনন্দন এই ফুলের দিকে তাকালে মন সতেজ হয়ে যায় মুহূর্তেই।

নানান রঙ ও বর্ণের বাহারি ফুলটি এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে। সাধারণত উজ্জ্বল হলুদ ও গাঢ় খয়েরি হয়ে থাকে এই ফুল। এটি সহজেই জন্মায়। বাগান ছাড়াও বাড়ির উঠান ও টবে এই গাছ লাগানো হয়।

জানা গেছে, গেন্ধা ফুল শীতকালে ফোটে বেশি। তবে বর্ষা-গ্রীষ্মকালেও এখন এটি দেখা যায়। বাড়িতে শোভাবর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার হয় এই ফুল। গায়ে হলুদ, বিয়ের অনুষ্ঠান, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ অধিকাংশ অনুষ্ঠানে এর চাহিদা রয়েছে।

কটিয়াদীর বিভিন্ন বাগানের পাশাপাশি বাসা-অফিসের সামনে এখন স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে এই ফুল। কয়েকদিন পর থেকেই টবে করে এটি হাট-বাজারে বিক্রি হবে।

বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য মতে, গেন্ধা ফুলের পাতা ছেঁচে রসসহ কাটা স্থানে দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। ফোঁড়া, পাঁচড়া ও কান পাকা রোধে এটি বিশেষ উপকারি। এছাড়া ফুলটি ছত্রাকনাশক। এর নির্যাস টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন ধরনের তেল ও সুগন্ধি তৈরিতে এটি ব্যবহার হয়। গেন্ধা ফুলের চা নিয়মিত পান করলে মুখের ব্রণ দূর, ত্বক মসৃণ, হাড়ের ক্ষয় রোধ ও হজম শক্তি বাড়ে। ফুল বেঁটে নারিকেলের সঙ্গে মিশিয়ে ১৫ দিন মাথায় মাখলে খুশকি দূর ও চুল কালো হয়। ফুল-পাতা শুকিয়ে ছাই করে দাঁত মাজলে গোড়া শক্ত এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। একইসঙ্গে মুখের ঘাঁ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

কটিয়াদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুকশেদুল হক বার্তা২৪.কে বলেন, ‘অনেক নার্সারিতে এই ফুল চাষ হচ্ছে। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। ধৈর্য, একাগ্রতা ও পরিশ্রম করে গেলে ফুল চাষে সফলতা পাওয়া সম্ভব। আমরা কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সকল ধরনের কারিগরি পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে থাকি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর