নিজের ছবি নিয়ে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছেন মনোজ

সিনেমা, বিনোদন

মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2024-04-06 14:36:50

এবারের ৪৬তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে প্রথম কোন বাংলাদেশী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যার নাম ‘হইতে সুরমা’। যা বাংলাদেশের নবীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। বাংলাদেশের মানুষ, প্রকৃতি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে উপজীব্য করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন সুব্রত সরকার।

উৎসব কতৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, ‘হইতে সুরমা’ চলচ্চিত্রটি আগামী ২২ এপ্রিল উৎসবে প্রদর্শীত হবে। চলচ্চিত্রটির পক্ষে প্রযোজক বিবেশ রায়, সহ-প্রযোজক অসিম আলতোখাইস ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক মনোজ প্রামানিক উৎসবের শুরু থেকেই উপস্থিত থাকবেন।

টিমের সঙ্গে অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক

শুধু মূল উৎসবেই নয়, বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র বিদ্যানিকেতন মস্কো ফিল্ম স্কুলেও (যা বর্তমানে ভিজিআইকে নামে পরিচিত) ‘হইতে সুরমা’র একটি বিশেষ প্রদর্শনীর কথা রয়েছে।

টেকসই চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া (Sustainable Film Production) ও পরিবেশবান্ধব চলচ্চিত্র নির্মাণ (Green Filmmaking) কৌশলের অংশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টাংগুয়ার হাওড়ে ২০২৩ সালে আয়োজিত হয়েছিল ইকো ফিল্ম ল্যাব। এই প্রজেক্টের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’।

অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক

সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওড় তীরবর্তী তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওড় ও এর আশেপাশে চিত্রায়িত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। নদী দূষন কিংবা প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মানুষ আবার সেই মানুষের প্রকৃতির প্রতিশোধের শিকারের ব্যাঙ্গাত্মক চলচ্চিত্র বয়ান হলো চলচ্চিত্র ‘হইতে সুরমা’। ইকো ফিল্ম ল্যাব নীতিমালার অংশ হিসেবে অপেশাদার অভিনেতা-অভিনেত্রী, বাস্তব লোকেশন, শুধুমাত্র দিনের আলোর ব্যবহার, খুবই অল্পসংখ্যক কলা-কুশলী, সীমিত লোকেশন ও সর্বোপরি অনারম্বর আয়োজনে ‘হইতে সুরমা’ নির্মিত হয়েছে।

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মিল্লাত হোসেন, ফিরোজ আহম্মেদ, বিজয় দাস, মণিকা দাস, মনজু তালুকদার সহ টাংগুয়ার হাওড় তীরবর্তী তাহিরপুর এলাকার গ্রামবাসী। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহন করেছেন সুপ্তক, সঙ্গীত আয়োজনে সায়ন্তন। বিশ্বের অন্যতম প্রধান চলচ্চিত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের সম্পাদনা বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সম্পাদিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি।

শিল্পীর সৌজণ্যে

এই প্রথম বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্র সম্পূর্ণ ভাবে সম্পাদিত হয়েছে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটে। ইতিমধ্যে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের নিজস্ব থিয়েটারে ‘হইতে সুরমা’ এর ডিসিপি প্রজেকশন পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যা মস্কো উৎসবে প্রদর্শীত হবে।

চলচ্চিত্রটিতে ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার প্রযোজনার পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনায় যুক্ত আছে বাংলাদেশের মনপাচিত্র, ওমানের ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল ট্রেডিং, সৌদি আরবের থার্ড একশন, জার্মানির মগাদোর ফিল্ম ও আমেরিকার স্ম্যাশ মিডিয়া।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর