শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, এক সময় আমরা শিক্ষার প্রসারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং সফল হয়েছি। এই মুহূর্তে আমরা শিক্ষার গুণগত মান এবং অবকাঠামোর উন্নয়নে জোর দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে যখন সফল হব তখন আমরা পর্যায়ক্রমে মাদরাসা শিক্ষাসহ সব শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করব।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বসিলায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ।
উপমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে নৈতিকতার অভাব আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যারা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত পেশাগত জীবনে তারা নৈতিক হবেন, দেশ ও সমাজ তাই আশা করে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, শারীরিক শাস্তি এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। শৃঙ্খলা বিধান করার নাম করে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার বর্তমানে ৮ শতাংশ। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে চলবে না। মাদরাসার কেউ যেন বেকার না থাকে সেই ব্যবস্থা করছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ১৮০০ মাদরাসায় ৪তলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং ৬৫৩ মাদরাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করেছে। মাদরাসায়ও স্কুলের মতো উপবৃত্তি এবং স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।