রিজার্ভ এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 15:01:56

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে এখন ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৮৬ কোটি ডলার। বুধবার (৩০ নভেম্বর) রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রিজার্ভ থেকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জ্বালানি, কীটনাশক ও খাদ্য আমদানির জন্যই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করা হয়েছে, তাতে প্রতি ডলারের দাম ধরা হয়েছে ৯৮ টাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আসে। তখনও রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তোলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করলে সবমিলিয়ে বর্তমানে রিজার্ভে যে অর্থ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ, সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে।

এবিষয়ে আইএমএফ বলছে, রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে আলাদাভাবে বিভিন্ন তহবিল গঠন ও সেখান থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আবার সেসব অর্থ রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ বেশি দেখানো হচ্ছে।

রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে দেখানো হচ্ছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত, গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে।

এদিকে ডলার–সংকট কাটাতে রেমিট্যান্স বাড়া‌নোর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় দেশে আনতে এখন প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দর দিচ্ছে। আর রফতানি আয় নগদায়নে ডলারের দর ধরা হচ্ছে ১০০ টাকা। ফলে আমদানিতে ডলারের দাম পড়ছে ১০৫-১০৬ টাকা।

ডলার সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক ঋণপত্র বা এলসি খুলতে পারছে না। এর ফলে বিপাকে পড়ছেন বেশ কয়েকটি খাতের ব্যবসায়ীরা। সংকট সমাধানে প্রতিনিয়ত বাজারে ডলার ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতেই ব্যাপকহারে কমছে রিজার্ভ। অন্যদিকে বৈধ উপায়ে আসা রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়াসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো যাচ্ছে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর