ধিক! বঙ্গবন্ধুর খুনি নরপিশাচদের!

, যুক্তিতর্ক

কণা ইসলাম | 2023-08-25 04:33:35

রক্তচোষা ড্রাকুলার অনেক ফিল্ম দেখেছি। সেদিন একদল কুৎসিত রক্ত পিপাসু ড্রাকুলা রক্তের নেশায় হানা দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। ছোট থেকে বড় সবার রক্ত চুষে সেদিন তারা উল্লাসে ফেটে পড়েছিল সেখানে।

কিন্তু তফাত শুধু ফিল্মে দেখা ড্রাকুলারা হলো কাল্পনিক, রূপকথা। আর সেদিনের সেই ড্রাকুলাগুলো ছিল সত্যিকারের নরপিশাচ। ঐরকম সত্যিকারের নরপিশাচ পৃথিবীর আর কোথাও জন্ম নেয়নি, নেবেও না। শুধু ঐ পিশাচগুলো জন্মেছিল আমাদের সোনার বাংলাদেশে। ধিক ধিক ধিক শত, সহস্র, লক্ষ, কোটি ধিক ঐ পিশাচদের।

ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ঘাতক নরপিশাচদের ক্ষমা করে নি। আইন সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে জাতির জনকের খুনিদের। তবুও কয়েকজন খুনি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যতদূর জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে কানাডা ফেরৎ দেয়না, এই আইনের ফাঁকে আটকে আছে খুনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি। কিন্তু এখনো একাধিক পয়েন্টে নূর চৌধুরীকে ফেরৎ দেয়া যেতে পারে।

আমরা যারা প্রবাসে বসবাসকারী, তারা চাই, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফেরত নেওয়া সম্ভব।  দুই দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি করে তা করা যায়।

কিংবা তাকে তৃতীয় দেশে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করলে, অর্থাৎ তিনি যে দেশ হয়ে কানাডায় অনুপ্রবেশ করেছেন, সেই দেশে প্রেরণ করলে সেখান থেকেও আটক করা যায়।

আমরা যারা ইউরোপে বসবাস করি, তারা মনে করি, কানাডা শান্তিপূর্ণ দেশ। সেখানে কোনো সন্ত্রাসী বা খুনির বসবাবাসের নিরাপদ অভয়ারণ্য কানাডাবাসীর কাছে কখনোই কাম্য নয়। তেমন ব্যক্তি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ।

যুদ্ধ ও মানবতা বিরোধী হত্যার বিচার করা এবং হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা সভ্যতার দায়িত্ব। আমরা দেখেছি, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধী ইউক্রেনের ওয়াসিল বাগুতিন ৫০ বছর পর তার কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিল করে কানাডা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী ত্রিস্তোবাল গনজালেস রামিরেস, চোরাচালানকারীদের গড ফাদার লাই চ্যাংজিং এদেরকেও গ্রেফতার করে বের করে দেয়া হয়েছে। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শাস্তি হয়েছে। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।

বাঙালি জাতি ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় মানবতা বিরোধী হত্যার বিচার চায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছে তাদের বিচার চায়। মানবতাবাদের দেশ আমার সোনার বাংলা নরপিশাচদের দেখতে চায় না। ড্রাকুলার ঠাঁই নেয় শ্যামল বাংলায়। আজ কিংবা কোন একদিন রক্তলোলুপ খুনিদের শাস্তি পেতেই হবে।

কণা ইসলাম জার্মানি প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর