দুর্গাপূজার অনার্য স্বর: সুরলোকে অসুর বন্দনা

বিবিধ, যুক্তিতর্ক

রাজীব নন্দী | 2023-08-28 14:32:13

শরৎ এসেছে বাংলার আকাশে। পথের ধারে কাশফুল, মাথার উপর মেঘ আর দেয়ালের ক্যালেন্ডার বলছে- বাঙালির শারদোৎসব সমাগত। প্রতিবছর সনাতনী বাঙালির এই পূজার আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সকল মানুষের মধ্যে। এখানে দুর্গাপূজা যতটা না শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান, তার চেয়েও বেশি উৎসব! সেই উৎসব উদযাপনেরই ভিন্ন চোখে দেখা কিছু বিশ্লেষণ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

দেখতে দেখতে বাংলাদেশের সমাজ বদলে যাচ্ছে। দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে এখন সধবা ও তরুণীদের মধ্যে সিঁদুর খেলার প্রচলন বাড়ছে। আগে এটা দেখা যেতো না। আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ বিদায়ের সুরে বাপের বাড়ি থেকে কন্যা বিদায়ের ক্ষণে এত আনন্দ কিসের বুঝি না! চার দিনের আনন্দযজ্ঞ শেষে মা চলে যাচ্ছেন, কোথায় বলবো, ‘আবার এসো মা’- তা না।

মা এলেন, চলে যাচ্ছেন, আবার আসবেন; এটাই তো নিরন্তর গতি প্রবাহ। এর সঙ্গে সিঁদুর খেলে মুখ রাঙানোর সম্পর্ক বুঝি না। সিঁদুর হলো সধবা রমনীর স্বামীত্বের গর্ব। স্বামী জীবিত থাকলেই স্ত্রী কেবল সিঁদুর পড়তে পারেন। এমন পুরুষতান্ত্রিক একটি চিহ্ন কেন সর্বশক্তিমান দুর্গার বিদায়ক্ষণের প্রতীক হয়ে উঠবে? ‘গাঁজাখোর স্বামী’কে (মহাদেবের প্রিয় নেশা গাঁজা!) পাত্তা না দিয়ে, কৈলাসে একা রেখে এসে যে দেবী একা অসুর বধ করলো, সেই পূজায় বাঙালি রমণী সিঁদুর খেলায় ব্যস্ততা দেখে করুণা জাগে। দুর্গাই যেখানে স্বামীকে পরোয়া করলেন না, সেখানে দুর্গাভক্ত বাঙালি কূলবধুর এমন সিঁদুরপ্রীতি কেন?

কলকাতার ‘হইচই’ ওয়েবসাইটের ‘হ্যালো’ সিরিজে দুর্গাপূজায় সিঁদুর খেলা


এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ওয়েবসিরিজ একটি মুখ্য ভূমিকা রাখছে। ভারতের দর্শকরা এখন বিনোদনের পর্দা ছেড়ে ছোটপর্দা হয়ে মোবাইল ফোনের ছোটপর্দা থেকে সোজা ওয়েব সিরিজে বুঁদ হয়েছে। হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনটাই এখন সিনেমার স্ক্রিন! সম্প্রতি হিট হওয়া তেমনিই একটি ওয়েব সিরিজের নাম ‘হ্যালো’। এই ‘হইচই’ ওয়েবসাইটের ‘হ্যালো’ সিরিজে দেখা যায় দুর্গাপূজার বনেদি বাড়িতে পরকীয়া আর প্রেমের মাঝে চলছে সিঁদুর খেলা। মনে প্রশ্ন জাগে, মাঙ্গলিক সিঁদুর মুখে মেখে এবং মাখিয়ে যারা উল্লাস করেন, তারা কি দয়া করে একবার ভেবে দেখবেন যে আপনারা যখন আনন্দযজ্ঞে রঙিন, তখন আপনারই বিধবা মা বা শাশুড়ি বা বোনটি ঘরের কোণে মুখ লুকিয়েছে মুখপোড়া স্বামীঘাতি কূলবধু বলে?

সিঁদুর তত্ত্ব শেষ। এবার দুর্গা বন্দনার ভিন্ন দিকে চোখে তাকাই। ইতিহাস লেখেন বিজয়ীরা। তাতে থাকে গৌরবগাঁথা। পরাজিতরা মুছে যায়। হিন্দু-মিথলজির রামায়ণ, মহাভারত, চণ্ডীর পাতায় রয়েছে মহান চরিত্রদের বিজয়গাঁথা।

মিথলজির জনপ্রিয় বয়ানে কোথাও নেই পরাজিতের বীরত্ববাণী। তাই না? আছে কি রাবণ, দুর্যোধন কিংবা অসুরের স্তুতি? না, নেই। আমার এই আলোচনা দুর্গাপূজার অসুরকে নিয়ে। এই লেখায় ধর্ম ও মিথলজির দ্বন্দ্ব খোঁজা হয়নি। বিশ্বাসকে ‘সাইনআউট’ করে তলিয়ে দেখা হয়েছে বাস্তবতা। বলা যেতে পারে, এই লেখা আর্যদের সৃষ্টি ছলনাময়ী নারীর কাছে একজন অনার্য, কালো-পেশীবহুল ভূমিপুত্র অসুরের পরাজয়ের সুরতহাল।

দেবতারা অপার্থিব মহান ব্যক্তি, অসুর বলতে অত্যাচারী ভয়ানক কিছু বোঝায়। কিন্তু অসুর শব্দের অর্থ বীর, যে যোদ্ধা জাজ্বল্যমান। পুরাণে অসুর কোনো নিন্দা-সূচক শব্দ নয়। বরং বহুবার প্রশংসাসূচক ও অভিবাদন রূপে বর্ণিত। ইন্দ্র,সূর্য, বরুণ তো অসুর। শারদোৎসবের মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গার জয়গান। দুর্গার পদতলে মুমূর্ষু কিন্তু পেশীবহুল প্রবল এক পুরুষ আছেন। যার নাম মহিষাসুর। তিনি আসলে কে? ভয়ানক দানব? যাকে নিধন করেছিলেন দেবী? না কি, এক অসামান্য বীর? ভূমিপুত্র, রাজা? যাকে এই ধরণীর বহিরাগত সুন্দরী রমণী ছলাকলায় ভুলিয়ে ‘খুন’ করেছিলেন?

অসুর এই ভূমিজ সন্তান, ভূমিপুত্র আদিবাসী নেতা


পৌরাণিক স্বর্গরাজ্য থেকে নেমে আসা যাক বাস্তবতার মর্ত্যধামে। পশ্চিমবঙ্গের লেখক অনিরুদ্ধ চক্রবর্তীর মতে, দেবী দুর্গার ত্রিশূলের আঘাতে যে মহিষাসুরের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁর বংশধর রয়েছে। ভারতবর্ষের কিছু বিশেষ অঞ্চলের আদিবাসীরা নিজেদের মহিষাসুরের বংশধর বলেই ভাবেন! দেবী দুর্গা তাঁদের কাছে যমদূতের প্রতিনিধি। বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজার পাশাপাশি ভারতের প্রায় ৫০০টি জায়গায় দলিত-বহুজন-আদিবাসীরা হুদুড় দুর্গা অর্থাৎ মহিষাসুর স্মরণ দিবস পালন করে থাকে।

আশ্বিনের শারদোৎসবের চারদিন ‘অসুর বংশ’র এরা বাড়ি থেকে পারতপক্ষে বের হন না। আতঙ্ক, দেবী দুর্গার কোপে বেঘোরে প্রাণটা হারাতে হয় বুঝি। এক-দুটি পরিবার নয়, এমন ‘অসুর’-এর সংখ্যাটা হাজার হাজার।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালের ভারতীয় আদমশুমারি অনুসারে অসুর বংশের সদস্যদের সংখ্যা ১০ হাজারের কিছু বেশি। তাদের ধারণা, দুর্গাপূজার চারদিন দেবী মর্ত্যে আগমন করে অসুর নিধন করেন। সেই ভয় থেকেই আজও তারা নিজেদের ঘরে বন্দি করে রাখেন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দ্রেরকুঠি গ্রামে রয়েছে অসুরদের বাস। যদিও ছোট একটি দল তারা এবং তাদের ইতিহাস নিয়ে রয়েছে নানা তথ্য। কারো মতে, ওদের আদিবাস ঝাড়খণ্ডে, কারো মতে আসামের গৌহাটি।

ভারতের কবি ও লোকসংস্কৃতির গবেষক রণজিৎ দেব ইতিহাস ঘেঁটে যতটুকু জানতে পেরেছেন- এই অসুরবংশীয় মানুষদের আবাস প্রাগজ্যোতিষপুরের আসাম রাজ্যের একটি অংশ এবং উত্তরবঙ্গের একটি অংশে। প্রাগজ্যোতিষপুরের সে সময় সেখানকার রাজা ছিলেন নরকাসুর। যারা মূলত মহাদেবের ভক্ত। ভারত-ভুটানের সীমান্ত আলীপুরদুয়ারের চা-বাগানের কয়েকটি এলাকায় থাকেন অসুরবংশীয়রা।

অসুররা অনার্য-মূলনিবাসী-ভারতীয়, পেশীবহুল শারীরিক গঠন বলে দেয় ওরা পরিশ্রমী জাতি


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের গবেষক ও লেখক সায়ন্তনই অধিকারীর মতে, ভারতে হুদুড় দুর্গাপূজা নামে অসুর বন্দনা চলে। দেবী দুর্গা আদতে আর্যদের মুখপাত্র। যিনি চাতুরীর দ্বারা অসুররাজকে পদানত করে হত্যা করেন।

ভারতের মত দেশে সংস্কৃতির বহুধারাই যেখানে চিরকালীন ঐতিহ্য, সেখানে পশ্চিমবঙ্গীয় দুর্গাপূজার উন্মাতাল আনন্দযজ্ঞের বাইরে প্রান্তিক পুরুলিয়ায় অসুর জনগোষ্ঠী থেকে পালন করা হয় মহিষাসুর শহিদ দিবস (নবমীর দিন)। খুব আশ্চর্যজনক কি? হ্যাঁ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিছুটা আশ্চর্যেরই খবর বটে।

ভারতবর্ষের ৪০টি শিডিউল ট্রাইব গোষ্ঠীর মধ্যে একটা হল ‘অসুর’। যারা মহিষাসুরকে নিজের সর্বশ্রেষ্ঠ পূর্বপুরুষ মনে করেন। এরা কিন্তু অসুরকে পূজা করে না। আমাদের জনপ্রিয় দুর্গাপূজা তাদের কাছে প্রকৃত অর্থেই ভূমিপুত্রের শহিদ দিবস।

অসুরেরা বিশ্বাস করেন, তাদের পরম পূর্বপুরুষ শ্রীশ্রী মহিষাসুর মহাশয় কোনো কাল্পনিক চরিত্র নন। তাই দুর্গাকে পূজা করা হলেও অসুরের মধ্যে কোনো অলৌকিক ব্যাপার নেই। অসুর সম্প্রদায় সত্যিই এই দাবি করে আসছেন, মহিষাসুর তাদের বীর পূর্বপুরুষ, তাঁকে অন্যায় যুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। দুর্গা মূর্তির পদতলে কখনো খয়েরি, কখনো লাল, কখনো বা স্পা করা চুল, কখনো কমেডিয়ান বা জোকার কিংবা শরণাগত আর্ত কোনো চরিত্র নন, বংশধররা মনে করেন, প্রচলিত দুর্গা মহিমায় তাদের বংশের মহান বীরের অপমান।

নিজের আরাধ্য দেবীকে উপাসনা করাটা অধিকার, তাই মহিষাসুরের মত আদিবাসী বীর কি কারো পায়ের তলায় রেখে অপমান করা চলে? উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে কিছু বছর আগেও বাঙালির ‘শ্রেষ্ঠ উৎসব’-এ বাড়ি থেকে বেরতেন না মহিষাসুরের ভক্ত অসুর সম্প্রদায়। জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার ক্যারন্, গুরজংঝোড়া বাগান, আলিপুরদুয়ার জেলার মাঝেরডাবরি, নিমিতিঝোরা এবং শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি চা-বাগানে সর্বমোট ৬০০ জন অসুর জনজাতির মানুষ বসবাস করেন (সূত্র: মহিষাসুরের বংশধর ‘অসুর’ সমাজও এবার পুজোর মণ্ডপে, ৭ অক্টোবর, ২০১৬, এবেলা)। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার খেরওয়াল জনজাতির পালন করে মহিষাসুর শহিদ দিবস। কাঠি নাচ, দাশাই নাচের মাধ্যমে পুরো পূজার সময়টুকু শোক পালন করেন তারা। পুজোর মাসটা তাদের কাছে দাশাই মাস বা দুঃখের মাস। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে এবং কর্ণাটকের কিছু জনজাতিরাও তাই মনে করেন।

আসুন তবে চণ্ডী মতে দেবীনির্মাণের ব্যাখ্যা শুনি। দেবতাদের নানা শক্তি সমন্বয়ে দুর্গা এক অসমান্য দেবী। অর্থাৎ, একটি বিশেষ কার্যসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বানানো যন্ত্র। বস্তুবাদী ব্যাখ্যায়- নারীবেশী যুদ্ধাস্ত্র। দুর্গাপূজার আগে মহালয়া নামক যে সোয়া-অ্যাকশন ও পৌনে-থ্রিলারে ভরা দুর্গার বায়োপিক আমরা ফি বছর দেখি, সংশয় রয়েছে সেটা কি তবে অর্ধসত্য? কারণ, মহিষাসুর কঠোর তপস্যা করে ব্রহ্মার কাছে অজেয় হওয়ার বর চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁকে খুশি হয়ে দিলেন বর। কি সেই বর? ‘কোন পুরুষই মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে না’। অথচ মোক্ষম সময়ে সব দেবতাদের সৃষ্ট ‘যৌথবাহিনী’র শক্তি দিয়ে তৈরি করে ‘লেলিয়ে’ দেওয়া হল দুর্গাকে। মহিষাসুর ‘হা রে রে রে’ করে ছুটে এসে দেখেন, একি! সম্মুখে যে নারী দণ্ডায়মান। তাই যুদ্ধ-নিয়মের ব্যতয় ঘটাননি তিনি। যুদ্ধের সাধারণ নিয়ম, নারী বা শিশুকে আক্রমণ করা যাবে না, নিরস্ত্রের ওপর অস্ত্র তোলা বারণ, সন্ধ্যের পর যুদ্ধে বিরতি। কিন্তু দেবতারা কি সেসব মানলেন? মহাভারতের অর্জুন কি নিয়ম মেনে ভীষ্মবধ করছিলেন? জয়দ্রথ বধ? কর্ণ বধ? সবই তো ছলনা আর যুদ্ধের রীতি ভেঙ্গে। রামায়ণের লক্ষণ কি মেঘনাদকে বধ করতে পেরেছিলেন নিয়ম মেনে? দুর্গাপূজাতেও আমরা দেখি চূড়ান্ত নিয়মবিরুদ্ধ অসম যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করতে পাঠানো হল এক ছলনাময়ী নারীকে। ফলে, ‘ভিক্টোরিয়ান এথিকস’ মেনে চলা পারফেক্ট জ্যান্টলম্যান মহিষাসুরও নারী দেখে আর অস্ত্র হাতে তুললেন না। ফলে, ঘ্যাচাং। ডাইরেক্ট স্বর্গ!

যদিও মহিষাসুর আজ পৌরাণিক বয়ানে ভিলেন। যেভাবে ছলনাময়ী কৃষ্ণ হয়ে ওঠে পুরাণের ঈশ্বর, যেভাবে আজ্ঞাবহ দাস ভীষ্ম হয়ে ওঠেন মহাভারতের মহান পুরুষ, পক্ষপাতদুষ্ট দ্রোণাচার্য হয়ে ওঠেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, সুবিধাভোগী অর্জুন হয়ে ওঠেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তীরন্দাজ!

কিন্তু, বহুশ্রুত ও বিচিত্র লোককথা আমাদের জানায়, শরৎকালে যাকে আমরা উৎসব হিসেবে জানি, সেটি এই ভারতবর্ষীয় ভূমিপুত্রকে উচ্ছেদের করুণ কাহিনী হয়তো। আদিবাসী মহিষদের তাড়না করে জলাজমির দখল নেয়ার আখ্যান হয়তো!

দুর্গাপূজার ঝলমলে উৎসব অসহায় অনার্যদের ওপর আর্যদের অন্যায় উৎসবের উদযাপন হয়তো! এরফলে পতন ঘটল 'দখলদার', 'অসুর', 'বর্বর' মহিষাসুরের, যিনি প্রকৃতার্থেই ছিলেন রাজা। আজ আমরা সেই ভূমিপুত্রের পরাজয় আনন্দোল্লাসে পালন করি, আমাদের বুকে-শূলবিদ্ধ, অনার্য অধিপতির। ইতিহাস এভাবেই রচিত হয়। অসুর যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে সত্য, কিন্তু শতাব্দী ধরে তাঁকে যেভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে সেটি কি ঠিক?


রাজীব নন্দী: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, বার্তা টুয়েন্টিফোর.কম-এর কনসালটিং এডিটর

এ সম্পর্কিত আরও খবর