চীনকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে হবে

, যুক্তিতর্ক

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন | 2023-09-01 05:56:26

 

পাঁচ বছর ধরে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কোন কার্যকরী প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘ সময় চলমান থাকলে বাস্তুচ্যুত এই জনগোষ্ঠীর কট্টরপন্থা, সন্ত্রাস এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে এবং এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও বৃহত্তর এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।উদ্ভুত এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এবংআঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ২৪ টি ক্যাম্পে অমানবিক পরিস্থিতিতে প্রায় ১,৩০,০০০ রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে জীবিকা, চলাচল, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং পর্যাপ্ত খাদ্য ও আশ্রয়ের উপর গুরুতর সীমাবদ্ধতা এবং মানবিক সহায়তা প্রায় না থাকার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের শুরুতে এসব ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদেরকে তাঁদের পূর্বের আবাসস্থলে এবং গ্রামগুলোতে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসিত করার কার্যক্রম  শুরু করলে সামগ্রিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া গতি লাভ করবে বলে আশা করা যায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সার্বিক পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত। সামরিক সরকার এখন চীনের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এ কারণে চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারে। চীনের এই পদক্ষেপ রাখাইনে স্থিতিশীলতা এবং চীনা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। জাতীয় ঐক্যের সরকার (এন ইউ জি) ৭ সেপ্টেম্বর জনগণের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধের ডাক দেওয়ার কারণে সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে এবং পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। এই অবনতিশীল পরিবেশে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ স্বত্বেও এই সংকট সমাধানে এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখ যোগ্য অগ্রগতি হয়নি।চীন মিয়ারমারে বন্ধু প্রতিম দেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য।  চীন তার বৈশ্বিক অবস্থান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মিয়ানমারের উপর তার অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখতে ও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারকে জবাবদিহি করতে কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারেনি কারণ চীন ও রাশিয়া এ ধরনের কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের পক্ষে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে চীন ও রাশিয়া।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা সংকটের একটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের জন্য এবং আমেরিকা এবং পশ্চিমাবিশ্বের রাষ্ট্রগুলো মিয়ানমারের উপর চাপ অব্যাহত রাখার পরও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন যে চীন একটি "যোগাযোগের সেতু" হিসাবে কাজ করে যাবে এবং দ্রুত ফলাফলের সুবিধার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে কারণ বাংলাদেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়।চীন প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহকে সমর্থন করে এবং এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীকে সাহায্য করার জন্য চীনের ভুমিকা চলমান থাকবে।এটি একটি মানবিক সমস্যা এবং চীন এটি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার চেষ্টা চালাবে। এই সংকটের সমাধান হলে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে তা নয়, এই অঞ্চলের দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বেও অন্তত একটি সংকটের অবসান হবে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তির ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন হয়। এর পর ২০১৮ সালেবাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, ওই বৈঠকে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত মাঠপর্যায়ের চুক্তি সই হয়। এই প্রক্রিয়ায় মিয়ানমারের সদিচ্ছার পাশাপাশি চীনের উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।বাংলাদেশ ৯ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছে, এর মধ্যে থেকে মাত্র ২৯ হাজার রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক বলে স্বীকার করেছে মিয়ানমার। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময়মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং চীন একত্রে বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় কার্যপ্রণালী তৈরি করে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নের জন্য তিন দেশ একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়।২০১৯ সালে দুই দফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয় নাই।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে চীন।২০১৯ সালের জুলাই মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেইজিং সফরের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে চীনের উদ্যোগে প্রথম দফায় ত্রিপক্ষীয় বৈঠক এরপর ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারিতে ভার্চুয়ালি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আলোচনা শেষে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে আশা করেছিল যদিও বাস্তবে তা শুরু হয়নি। চীনের নেতৃত্বে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরির করার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব। ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতভার্চুয়াল বৈঠকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি চীনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও ঝাওহুই উপস্থিত ছিলেন এবং আলোচনা শেষে প্রত্যাবাসন শুরু করতে সব পক্ষ সম্মত হয়। চীনের আন্তরিক উদ্যোগ সংকটকে সমাধানের দিকে এগিয়ে নিতে পারে।মিয়ানমারের উপর চীনের প্রভাব থাকায়চীন এ সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অর্থনৈতিক, ভু‚-রাজনৈতিক, কৌশলগত নিরাপত্তাসহ আরও নানা ইস্যুতে মিয়ানমার ও চীন একে অপরের ওপর অনেক নির্ভরশীল এবং তাদের মধ্যে সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। চীন মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষার মাধ্যমে তাঁদের ভূখণ্ডে গ্যাস এবং জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করছে।রাখাইন রাজ্যের চকপিউতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পাওয়ার প্ল্যান্ট, গভীর সমুদ্র বন্দরতৈরির কাজ চীনের অর্থনৈতিক সহযোগিতায় চলছে।মলাক্কা প্রণালী দিয়ে চীনের ৮৫ শতাংশ তেল এবং জ্বালানি গ্যাস আসে।মালাক্কা সংকটের কথা মাথায় রেখে এই তেল এবং জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের জন্য বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করে চীন ওই বন্দর দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসিয়েছে এবং তা দিয়ে জ্বালানী তেল এবং গ্যাস চীনের কুনমিংয়ে পাঠানো হয়।এই পাইপলাইন রাখাইন অঞ্চলে থাকায় রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সরকারের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা চীনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু চীন। ভারত মহাসাগরে উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাখাইন অঞ্চল চীনের সামরিক কৌশলগত কারণেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক বিবেচনায় ও অর্থনৈতিক কারণে চীনের জন্যে মিয়ানমারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এসবের প্রেক্ষিতে বলা যায় যে চীন আন্তরিক উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশরোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সক্ষম হবে এবং মিয়ানমারও এগিয়ে আসবে। ২০১১ সাল থেকে, মিয়ানমারে প্রায় ৯০ শতাংশ বৈদেশিকবিনিয়োগ এসেছে এশিয়ার দেশগুলো থেকে, এইদেশগুলোমিয়ানমারেরসাথেক্রমাগত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াচ্ছে।চীন মিয়ানমারে বৃহত্তম বিদেশী বিনিয়োগকারী দেশ। মিয়ানমারে অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে, চীন শুধুমাত্র দেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক বিষয়েই নয় বরং ব্যাপকভাবে কৌশলগত স্তরেও তার দৃঢ় এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও সহায়তা নিশ্চিত করছে। যতই দিন যাচ্ছে এই বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।প্রতি বছর ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, জনসংখ্যার এই বাড়তি চাপ মোকাবেলা ক্রমেই মানবিক সহায়তার উপর চাপ ফেলছে। ইউক্রেন, আফগানিস্তান ও চলমান বৈশ্বিক সংকটে  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা তহবিল সংকটের আশঙ্কায় মে মাসে ঢাকা সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।রোহিঙ্গা তহবিল সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করে আঞ্চলিক দেশগুলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেরক্ষেত্রে জোরালো ভুমিকা রাখতে এগিয়ে আসার আহ্বান  জানান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সফরকরবেন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। রোহিঙ্গা ইস্যু এই সফরে বাংলাদেশের টপ প্রায়োরিটিতে থাকা এজেন্ডা। এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ এই সফরে রোহিঙ্গা সংকটে চীনের আরও জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানাবে ও প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চীনের সহযোগিতা চাইবে। বাংলাদেশের অনেক অর্থনৈতিক প্রকল্পে চীনের সহায়তা রয়েছে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে।বাংলাদেশের সাথে চীনের শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের পাশাপাশি চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং উন্নয়ন সহযোগী।রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ওই দেশের ওপর চীনের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এজন্য রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে চীন বড় ভূমিকা রাখতে পারে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন ত্রিপক্ষীয় মেকানিজমে কাজ করছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময়ে এটি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে প্রত্যাবাসনে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময়ে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি মানবিক সহায়তার উপর চাপ ফেলছে যা ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার জন্য উদ্বেগজনক। এর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংকট এই অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে, যা কারো কাম্য নয়। এই সংকটের সমাধানে আঞ্চলিক ক্ষমতাধর দেশগুলোকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে। আঞ্চলিক ও ভু-রাজনীতিতে ক্ষমতাধর বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ চীন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করে এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এটাই হোক সবার প্রত্যাশা।

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীন, এনডিসি,  এএফডব্লিউসি,  পিএসসি, এমফিল, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর