ইবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ক্লাসরুম সংকট: আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

, ক্যাম্পাস

ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-12 17:13:40

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন (ডিএস) বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষককে লাঞ্ছনা ও ক্লাসরুম সংকটের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় 'ক্লাসরুম সংকট কেন, প্রশাসন জবাব চাই,' 'প্রশাসনের প্রহসন, মানি না, মানবো না,' 'আমার শিক্ষক লাঞ্ছিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই'সহ বিভিন্ন স্লোগান এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায় তাদের।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা প্রকল্পের অংশ রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবন সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ সময় রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের আংশিক কাজ বাকি থাকায় বিভাগের সবাইকে আগামী ১ ঘণ্টার জন্য বের হয়ে যেতে বলা হয়। এসময় দায়িত্বরত শিক্ষকের সঙ্গে উপাচার্য অসদাচরণ করেন। শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচিতে যান। দুপুর ২টা থেকে বিভাগের চার শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে  অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগটি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করলে ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি মাত্র ক্লাসরুমে ক্লাস করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে সময়মতো ক্লাস, পরীক্ষা নিতে না পারায় সেশন জটের সম্মুখীন হয় বিভাগটি।

উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে ২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী জেসিয়া বলেন, 'এই হাফিজ, এইদিকে আসো, এই তালার চাবি কই পেয়েছো?' 'তোমাকে ৭ বছর যাবত চিনি'। 'তুমি কী করতে পারো, করো'! 'এক ঘণ্টার মধ্যেই তালা খুলে দাও এবং রুম ফাঁকা করো' এভাবেই উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম কথা বলেন স্যারের সঙ্গে। তখন আমাদের পরীক্ষা শুরুর মাত্র এক ঘণ্টা হয়েছে। আমাদের সামনে স্যারকে কেন এভাবে অপমান করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জবাব চাই আমরা'!

অন্য শিক্ষার্থী ইয়াশ রোহান বলেন, 'আমরা ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ইসলামিক স্টাডিজ পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ভিসি স্যারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমাদের ক্লাস রুমের দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঢুকে পড়েন এবং আমাদের সামনেই পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত স্যারকে লাঞ্ছিত করেন এবং এক ঘণ্টার মধ্যেই রুম ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন'। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'আমাদের মেগা প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান আছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই আমাদের এই ভবনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। তারপর ক্লাসরুমের কোনো সংকট থাকবে না। ক্লাসরুমের কাজ সম্পন্ন হলে তো তারাই পাবে, এই কক্ষগুলো'। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এর সমাধান করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর