রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীর অবস্থান কর্মসূচি

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-28 10:21:28

 

রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। রনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তিনি। অনলাইন ভোগান্তি হ্রাস, সিন্ডিকেট বন্ধ ও নিরাপত্তা বিধানের কথা উল্লেখ করে ট্রেন ও সিট সংখ্যা বাড়ানোর দাবি রনির।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, এবার ‌অনলাইনে টিকিট করতে গিয়ে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আমি। প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য পদ্মাসেতু করে দিয়েছেন। নিশ্চয় তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের ভোগান্তি কমাতেও পদক্ষেপ নেবেন। রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নেই। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রেলওয়ে সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি কমতে পারে।

অবস্থানরত মহিউদ্দিন রনি শিক্ষার্থীসহ সবার ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জনগণকে তার সঙ্গে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এই শিক্ষার্থী লিখেন, 'আমি রেলওয়ের সমস্যার শেষ দেখতে চাই। আল্লাহই ভরসা, দৃঢ়চিত্তে বলছি সমাধান করেই তবে বাড়ি ফিরবো। যেহেতু আমার একার পক্ষে দুঃসাধ্য। তাই আমি নিরুপায় হয়ে জনগণের দ্বারে এসেছি। অনেকেই বলেছেন এটা খুবই রিস্কি জায়গা। প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা প্রবল। তবে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্টেটমেন্ট, 'দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টোলারেন্স'' অনুযায়ী বুকভরা সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি। আমি রিস্ক নিতে প্রস্তত এবং আমি কমলাপুর রেলস্টেশনে একা অবস্থান করছি। আপনারাও আপনাদের অবস্থান থেকে কথা বলুন। এই সমস্যা সমাধানে সবাই এগিয়ে আসুন। সবাই মিলে রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করবোই, ইনশাআল্লাহ।'

তার ৬ দফা দাবি হলো:

১. সহজ.কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে।

২. টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৩. টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. ট্রেনের সিট সংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এবং তার সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর