জাবিতে ৪ লাখ টাকায় ভর্তির চুক্তি, সাক্ষাৎকারে এসে আটক ২

, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা) | 2023-09-01 16:53:09

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে রায়ান আমিন আফ্রিদি ও মোস্তফা কামাল নামে দুই ভর্তিচ্ছুকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এফ' ইউনিটের অধীনে আইন অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে এলে রায়ানকে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে, বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে আসা মোস্তফা কামাল নামে আরেক ভর্তিচ্ছুকে আটক করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলাও হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পাওয়া মোস্তফা কামালের ভর্তি পরীক্ষার মেরিট পজিশন আসে ৩০০ তম।

আটক মোস্তফা কামাল বলেন, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মেহেদী ভাইয়ের মাধ্যমে দুই বন্ধু আশিক ও ফরহাদ ডি ইউনিটে ৭৯ ও ২৪৯তম হয়েছে। তাদের মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তার সাথে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি হয়। পুরো টাকা তাকে পরিশোধ করেছি।

সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ওই ভর্তিচ্ছুর মূল পরীক্ষার ও এমআর এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময়ের হাতের লেখায় মিল ছিল না। আইন অনুষদের ডিন বিষয়টি আমাদের জানালে আফ্রিদিকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে তার অপরাধ স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে রায়ান আমিন আফ্রিদি জানান, আমার ফেসবুকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সনেট নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে জাবিতে এসে তার সঙ্গে দেখা করি। এ সময় তিনি আমার মূল কাগজপত্র নিয়ে যান। তিনি আমার হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে ভর্তি পরীক্ষায় আমার মেধাক্রম আসে ৫২। তার সঙ্গে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে ভর্তির সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি আমরা জালিয়াতি চক্রের বাকি সদস্যদের ধরার চেষ্টা করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর