জিয়া মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, স্বীকার করলেন বিএনপি’র হারুন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি’র সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: এত দিন সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বলা হচ্ছিল, এই দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দিয়েছে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এমনকি কয়েক দিন আগে বাজেট বক্তৃতায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীও বিষয়টি উত্থাপন করেন। তবে এবার সেই কথা স্বীকার করলেন খোদ বিএনপি’র সংসদ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিব মো. হারুনুর রশীদ।

তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তার এই কথায় মদের পক্ষে সাফাই গাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। মতিয়া চৌধুরীর সেদিনের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন, কিন্তু মদের লাইসেন্স কি মুসলমানদের জন্য? তখন মদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলা হয়েছে। আবার ভেতরে বলা হয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সমমর্যাদা, সমঅধিকার নিশ্চিত করবে। এই দেশে সাওতালরা তাদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন, ডোমরা মদ পান করেন, সুইপাররা পান করেন। এখানে বিদেশি কর্মীরা রয়েছেন, যাদের মদ লাগত।

সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, যে সমস্ত মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, কোথাও কি দেখাতে পারবেন ওই লাইসেন্সের মধ্যে মুসলমানদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? মদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল শর্ত স্বাপেক্ষে। শর্ত না থাকলে আমরা অনেকেই মদ পান করে সংসদে চলে আসতাম। তখন কোনো আইন ছিল না মদ বন্ধ করার। কেউ যদি মদ পান করে সংসদে প্রবেশ করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাহিনী আমাদের ধরে নিয়ে তার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতায় তো আছেন বিশ বছর ধরে। জিয়াউর রহমানের করা আইনটা কেন আপনারা বাতিল করে দেন না? এটা সংশোধন করেন না?

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তোলেন হারুনুর রশীদ। বলেন, যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এই সংসদ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি, পরের দিন গণনা। যে কারণে এই পার্লামেন্টকে বলা হচ্ছে, মধ্যরাতের পার্লামেন্ট। নির্বাচনে ভোটাররা প্রতারিত-অপমানিত হয়েছেন। স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি বলেন, চোরের মায়ের বড় গলা! যখন চুরি তরে তখন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে চুরি করে, কারণ ধরা পড়লে উত্তম মধ্যম পড়বে, তাই সতর্ক। যে কারণে বলা হয়, চোরের দশ দিন গেরস্তের একদিন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশতি প্রতিবেদনের রেফারেন্স দিয়ে ভোটের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটের ফলাফল সঠিকভাবে প্রকাশ করা, আমরা কি বলতে পারি, ৩০ ডিসেম্বর ইসি সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অযোগ্য। কোনো সদস্য নেই, কেউ বলবে না এই কথা অসত্য।

হারুনুর রশীদ বলেন, এই সরকারের আমলে গত ১০ বছরের নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ১২০০ মানুষ। গুম ও ক্রস ফায়ারের শিকার কতজন হয়েছেন, তা আমি জানি না।

‘অনেক মন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। আজকে বিএনপির কত নেতাকর্মী ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন? বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন? এর হিসেব চাইলে আমি স্পষ্ট দেব। আজ বিএনপি মহাসচিবের নামে ৮৪টি মামলা! অবাক লাগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গায়েবি কোনো মামলা নেই, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দীন সরকারের বয়স ৮৪ বছর, খন্দকার মাহবুবরের বয়স ৮৪ বছর, আজকে তারা নাকি হাতিরঝিলে বসে বোমা তৈরি করেছেন, নাশকতায় লিপ্ত ছিলেন! এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়।’ 

‘স্বারষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গায়েবী মামলা বলে কিছু নেই। আমি স্বরাষ্ট্রন্ত্রীকে বলবো আপনি একটা তদন্ত কমিটি করে দেন। গত দশ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কম করে হলেও ৯০ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এই ৯০ হাজার মামলার মধ্যে অধিকাংশই ভুয়া। প্রায় ২৫ লাখ নেতাকর্মী আসামি হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজকে আমাদের সংকট থেকে বেরিয়ে অসতে হবে। আজকে জাতীয় যে কৌশল তৈরী হয়েছে, এখানে কৌশলের কথা নয়। সংসদ নেতাকে পথ বের করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইন দিয়ে হত্যকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা যায় না। আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, ৭৫ সালের হত্যকাণ্ডের বিচার যারা বন্ধ করেছিল, সেটা সম্পূর্ণ কোরআনের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, এই সরকার অদ্ভুত সরকার। কিছু দিন আগে মহাজোটে ভোট করলেন। ভোট করার পরে এখানে মহাজোটের শরিকদের বিরোধী দলে বসিয়ে দিলেন। আজকে মহাজোটের শরীকদের চেহারা কিন্তু মলিন, এটা হয় না। ছয় মাস আগে একসাথে কাজ করলাম, একসাথে ঘর করলাম, এখন আপনি বলছেন বিরোধিতা করতে, এটা কি হয়?

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা নির্বাচনে গিয়েছি, এই নির্বাচনের মতো কোনো নির্বাচন দেখিনি। এ নির্বাচনে আমাদের ২২ জন প্রার্থী গ্রেফতার হয়েছেন, প্রায় ৪০ জন প্রার্থী আহত হয়েছেন। অতীতের কোনো নির্বাচনে এমন হয়নি। বালিশ-কাণ্ডের বালিশ মাসুদ বুয়েটের ছাত্র ছিল না, ভিপিও ছিল না। আর বিএনপির একজন ভিপি রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের গুরু দায়িত্ব পালন করবে, এটা কি সম্ভব?

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;