সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

   

হার দিয়ে শুরু এবং শেষ, মাঝে কেবলই হতাশা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ভারতের বিপক্ষে ১ টা জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে তো সিরিজেও ভাগ বসিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার তাই প্রত্যাশা ছিল খানিক বেশি। এই সিরিজের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করায়; ভাবা হচ্ছিল, ভারতের বিপক্ষে এবার প্রতিদান দেবে জ্যোতির দল।

সেই ভাবনা অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভাবনাতেই থেকে গিয়েছে, বাস্তবে ধারা দেয়নি। ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে হার দিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর পর হার দিয়েই শেষ করেছে বাংলাদেশ। পুরো সিরিজে জিততে পারেনি একটি ম্যাচও। অর্জনের ঝুলি ফাঁকা হলেও হতাশার ঝুলিটা ফুলেফেপে একাকার। বিশ্বকাপের আগে ফুটে উঠেছে বেশকিছু দুর্বলতাও। সেই দুর্বলার বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ব্যাটিং ও ফিল্ডিং।

সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো বাংলাদেশকে। টপকাতে হতো ১৫৬ রানের পাহাড়। লক্ষ্য তাড়ায় নেহায়েত মন্দ করেনি বাংলাদেশ। সিরিজের সবচেয়ে বেশি ১৩৫ রান করলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে ২২ রানের ব্যবধানে।

ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই দেখা গেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অসহায়ত্ব। একমাত্র ফর্মে ছিলেন অধিনায়ক জ্যোতি। তিনিও শেষ পর্যন্ত ভেসেছেন বাকিদের ব্যর্থতার মিছিলে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন তিনি। শেষ ম্যাচে এসে অবশ্য রানের দেখা পেয়েছেন রিতু মনি। তার ৩২ বলে করা ৩৮ রানেই হারের ব্যবধানটা কমিয়ে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে ২১ বলে ২০ রান করেন রুবায়া হায়দার। ১১ বলে ১৬ রান আসে স্বর্ণার ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাধা যাদব।

;

জামালকে ২ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ ফিফার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বর্তমানে খেলছেন আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সোল দা মায়োতে। তবে দেড় বছরের চুক্তি থাকলেও যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছিলেন তিনি। সেই ক্লাবে কোনো বেতন না পাওয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করেই ফেরত আসেন তিনি।

ফিফার কাছে তার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এতদিন ছিলেন রায় ঘোষণার অপেক্ষায়। অবশেষে গতকাল বুধবার ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে জামালের পক্ষেই এসেছে রায়। যাতে বলা আছে, সোল দে মায়োকে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৮০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ ২৯৮০ টাকার সমান) পরিশোধ করতে হবে।

আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই অর্থ জামালকে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন ক্লাবটিকে। যদিও ক্লাবটির কাছে ১০ দিন সময় আছে আপিল করার জন্য। এখানে উল্লেখ্য যে, ফিফাকে নিজেদের পক্ষে কোনো অফিশিয়াল ডকুমেন্টস সোল দে মায়ো দেখাতে পারেনি।

বর্তমানে আবাহনীতে খেলা জামাল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি অনেক আশা নিয়ে সেখানে খেলতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এমনটা করতে ভাবতে পারিনি। আমি তাই চুক্তি ছিন্ন করে ফেরত চলে আসি। আমার পক্ষে রায় পেয়ে আমি খুব খুশি।‘

;

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ১৫৭



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সামনে ১৫৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ভারত।

মান বাঁচানোর ম্যাচে এদিন বোলিংয়ে শুরুতে সাফল্য পেলেও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারালেও দলকে টেনে তুলেন স্মৃতি মান্ধানা। তাদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও। পুরো সিরিজ জুড়ে ভোগানো বাংলাদেশি ফিল্ডাররা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সিরিজের শেষ বেলাতেও। পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া।

ফিল্ডারদের এমন ভুল রান তোলার বড় সুযোগ হিসেবে লুফে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। মান্ধানা ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরার পর হেমলতা ফিরে যান ২৮ বলে ৩৭ রান করে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩০ রান। এরপর মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট পড়লে রানের গতি কমে ভারতের।

তবে বড় সংগ্রহের পথ থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতে সরাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টেনে তুলেছেন রিচা ঘোষ। মাঝে দ্রুত উইকেট পড়লেও তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সেটা। ১৭ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহটাকে নিয়ে গেছেন ৫ উইকেটে ১৫৬ তে। যা এই সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রান।

;

আইপিএলে ছক্কার রেকর্ডও এখন হায়দরাবাদের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এবারের আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লক্ষ্যটাই যেন একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ার। যার নেপথ্যে মূলত ব্যাটাররা। হেড-অভিষেক-ক্লাসেনদের তোপে একের পর রেকর্ড গড়েই চলেছে অরেঞ্জ আর্মিরা। যার শুরুটা হয়েছে লিগটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দিয়ে। গত ১৫ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রেকর্ড ২৮৭ রানের দলীয় সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। এছাড়া এক আসরে এক দলের সবচেয়ে বেশি তিনবার ২৫০-এর ঊর্ধ্বে দলীয় সংগ্রহ। এবার আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করলো তারা। 

আইপিএলের এক আসরে কোনো এক দলের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন হায়দরাবাদের। গতকাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্রেফ ৯ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় প্যাট কামিন্সের দলটি। সেখানে ৩০ বলে ৮৯ রান করা ট্রাভিস হেড হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা, অন্যদিকে ২৮ বলে ৭৫ রান করা অভিষেক শর্মা মেরেছেন ৬টি। এই ১৪ ছক্কাসহ আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে হায়দরাবাদের মোট ছক্কার সংখ্যা ১৪৬টি। তারা ছাড়িয়ে গেছে ২০১৮ সালে গড়া চেন্নাই সুপার কিংসের ১৪৫ ছক্কার রেকর্ডটিকে।

এদিকে আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত না হলেও প্রথম পর্বে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি হায়দরাবাদের। এতেই ছক্কার রেকর্ডের সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে ফ্রাঞ্চাইজিটির। 

হায়দরাবাদকে এমন উচ্চতায় মূল কারিগর হেড-অভিষেক ও ক্লাসেন। তারা তিনজনেই হাঁকিয়েছেন ৯৭টি ছক্কা। হেড ও ক্লাসেন মেরেছেন সমান ৩১টি। এবং তাদের ছাড়িয়ে নিজ দলসহ চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিষেক।  

;