ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন জোকোভিচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার জিতেছেন সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। পঞ্চমবার এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে রজার ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এর আগে পাঁচবার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছিলেন সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার।

বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। গত বছর স্পেনের নারী বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এই ফুটবলার।

এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ সেনসেশন জুড বেলিংহ্যামের হাতে উঠেছে ব্রেকথ্রু অব দ্য ইয়ার বা সেরা নবীন তারকার সম্মান। সেরা প্রত্যাবর্তনের (কামব্যাক) পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন নারী জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। শারীরিক প্রতিবন্ধী বিভাগে নেদারল্যান্ডসের হুইলচেয়ার টেনিস খেলোয়াড় ডিডা ডি গ্রুট হয়েছেন বর্ষসেরা। আর বছরের সেরা অ্যাকশন ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছেন স্কেটবোর্ডার অ্যারিসা ট্রিউ। স্পেনের টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের ফাউন্ডেশন জিতেছে স্পোর্ট ফর গুড অ্যাওয়ার্ড।

পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জোকোভিচ, ‘পঞ্চমবার জিততে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমার ২০১২ সালের কথা মনে পড়ছে, ২৪ বছর বয়সে প্রথমবার জিতেছিলাম এই পুরস্কার। ১২ বছর পরও এখানে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’

২০১২ সালে প্রথম লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব পান জোকোভিচ। পরবর্তীতে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালেও এই সম্মান দেয়া হয় তাকে।

   

মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা কাটিয়ে ১০১ রানের দারুণ জুটি গড়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আরও একবার ব্যর্থ সাগতিকদের টপ-অর্ডাররা। দলীয় ৯ রানের মাথায় ফেরেন দুই ওপেনার। দলীয় ১৫ রানের মাথায় ফেরেন হৃদয়ও। পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর রানে ফেরা, মাহমুদউল্লার ফিফটি ও শেষ দিকে জাকের আলীর ক্যামিওতে ১৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। 

সিরিজের শুরুর তিন ম্যাচ জিতে চট্টগ্রামেই সিরিজটা নিশ্চিত করে রেখেছে স্বাগতিকরা। পরের ঢাকায় ফিরে চতুর্থ ম্যাচেও শেষ ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে ৫ রানে জিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবার ১৫৭ রানের নিচে সিকান্দার-ক্যাম্পবেলদের আটকে দিলেই সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। 

সিরিজের পাঁচ ম্যাচে টসের পর সিদ্ধান্ত ওই একই। টসে জয়ে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই টসে জিতল জিম্বাবুয়ে এবং আগে ওই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। এতে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। 

আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ছিলেন পুরোদস্তুর ব্যর্থ। এবার সেই জুজু ফিরল টপ-অর্ডারে। ব্রিয়ান বেনেটের স্পিন ঘূর্ণি ও ব্লেসিং মুজারাবানির পেস তোপে ১৫ রানেই শুরুর তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। পরে সেই চাপ সামলে নেয় শান্ত-মাহমুদউল্লাহ জুটি। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি থেকে ৪৫ বলে আসে ৬৯ রান। সেখানে আগের তিন ম্যাচের রান খরা কাটিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রান করেন শান্ত। 

পরে পর পর দুই ওভারে ফেরেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। ১০ মাস টি-টোয়েন্টি ফিরে আগের ম্যাচে ১ রানের ম্যাচে এ ম্যাচে ২১ রান আসে সাকিবের ব্যাটে। এদিকে ১৮তম ওভারে শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে। পরে জাকেরের ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে শেষ দুই ওভারে আসে ২৯ রান। এতেই ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজিতে পোঁছায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন বেনেট ও মুজারাবানি।  

;

দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জিতল মায়ামি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকদিন পর এমন দেখা গেল যে ইন্টার মায়ামি জয় পেয়েছে তবে ম্যাচে লিওনেল মেসি ছিলেন নিষ্প্রভ। কিন্তু মেসি এদিন নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও ঠিকই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন উরুগুইয়েন তারকা লুইস সুয়ারেজ। মায়ামির খেলোয়াড়দের দলীয় নৈপুণ্যে শুরুতে দুই গোল হজম করেও ম্যাচ জিতে এসেছে তারা।

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল ইন্টার মায়ামি। শনিবার রাতে প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে যেয়েও দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে মেসি-সুয়ারেজের দল। মন্ট্রিয়লকে ৩-২ গোলে হারিয়ে লিগের ম্যাচে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে তারা।

প্রতিপক্ষের মাঠে এদিন শুরু থেকেই চাপে ছিল মায়ামি। বলের দখল কিংবা আক্রমণ, সবদিকেই ছিল পিছিয়ে। প্রথমার্ধের ২২ আর ৩২তম মিনিটে গোল হজম করেন মেসিরা। বিরতির ঠিক আগে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যান মেসি, তবে গুরুতর অবস্থা না হওয়ায় পরে আবারও মাঠে নামেন দলকে ম্যাচে ফেরত আনার লক্ষ্য নিয়ে।

বিরতির আগেই পরপর দুটি গোল শোধ দিয়ে দেয় মায়ামি। শুরুতে মাতিয়াস হোতাস এবং যোগ করা সময়ে লুইস সুয়ারেজের গোলে সমতায় ফেরে ফ্লোরিডার দলটি। এই ম্যাচে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে দেখাবে মায়ামি এটা তখনই আন্দাজ করা যায়।

বিরতির পর ৫৯তম মিনিটে এবার গোলের খাতায় নাম লেখান বেনজামিন ক্রেমাক্রি। পরে স্বাগতিকরা আর কোনো গোল আদায় করতে না পারায় ৩-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির দল। এই জয়ের পর মেজর লিগ সকারে ইস্টার্ন কনফারেন্সে শীর্ষেই আছে ইন্টার মায়ামি, ১৩ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ২৭।

;

প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নেমেছিল কলকাতা নাইত রাইডার্স। যেখানে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি নির্ধারিত ওভার থেকে কমিয়ে আনা হয় ১৬ ওভারে। বরাবরের মতোই নিজেদের দাপট ধরে রাখল স্বাগতিকরা। মুম্বাইকে ১৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল তারা।

এই ম্যাচটি মুম্বাইয়ের জন্য ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন হার্দিক-রোহিতরা। তবে কলকাতার জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করতে এবং শীর্ষস্থান ধরে রাখতে এই ম্যাচে জয় পেতে হতো তাদের।

এদিন টসে জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে ছিল কলকাতার টপ অর্ডার। দুই বিধ্বংসী ওপেনার সল্ট ও নারাইনও ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ওপর ভর করে মুম্বাইকে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় কলকাতা।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। তবে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে খেই হারান মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ ওভারের শেষ বল প্ররযন্ত গড়ায় খেলা। যেখানে ১৩৯ রানেই থাকে সফরকারীদের ইনিংস। ফলস্বরূপ কাঙ্ক্ষিত জয়ই তুলে নেয় কলকাতা।

এই জয়ের পর এবারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১২ ম্যাচ শেষে ৯ জয়ের সঙ্গে ১৮ পয়েন্ট তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

কলকাতাঃ ১৫৭/৭ (১৬ ওভার); ভেংকাটেশ ৪২, নিতিশ ৩৩; পীযুশ ২-২৮, জসপ্রীত ২-৩৯।

মুম্বাইঃ ১৩৯/৮ (১৬ ওভার); কিশান ৪০, তিলক ৩২; বরুণ ২-১৭, রাসেল ২-৩৪।

ফলাফলঃ কলকাতা ১৮ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য সিরিজঃ বরুণ চক্রবর্তী।

;

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজের ৫ম ও শেষ ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। আজ শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিজেই মাঠে নামছেন শান্তরা।

আরও এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিজেদের নামে করে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এরপর লক্ষ্য ছিল জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের। সে উদ্দেশ্যেই এগোচ্ছে টাইগাররা। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজটি ৫-০ ব্যবধানে জিতে নিবে শান্ত-সাকিবরা।

অপরদিকে জিম্বাবুয়ের মিশন হলো হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। সে লক্ষ্যে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে মাঠে খেলবে তারা। সবশেষ ম্যাচেও বাংলাদেশের নড়বড়ে ব্যাটিং নিয়ে হয়েছে তীব্র সমালোচনা। আজ সেটি কাটিয়ে ওঠাও শান্তদের জন্য বড় একট্টি চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের একাদশে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাদের পরিবর্তে এই ম্যাচের জন্য বিশ্রামে আছেন তানভীর ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। বাড়তি আরও এক পরিবর্তন হলেন শেখ মেহেদী, তানজিম সাকিবের বদলি হিসেবে নামানো হয়েছে তাকে।

সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলে আছে একটি পরিবর্তন। পেসার রিচার্ড এনগারাভা বাদ পড়েছেন, একাদশে এলেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস।

বাংলাদেশ একাদশঃ নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান

জিম্বাবুয়ে একাদশঃ তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), জনাথন ক্যাম্পবেল, রায়ান বার্ল, লুক জংওয়ে, ফারাজ আকরাম, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।

;