বিজয় দিবস টেনিসে বিকেএসপির জয়জয়কার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘বিজয় দিবস জুনিয়র টেনিস টুর্নামেন্ট’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন। গতকাল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়।

বিজয় দিবস জুনিয়র টেনিসে বালক একক অনূর্ধ্ব-১৬ বছর গ্রুপে বিকেএসপির সুভিত বড়ুয়া জয় ৭-৫, ৬-৩ গেমে তানভির মুন তুষারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বালক একক অনূর্ধ্ব-১৪ এর শিরোপাও গেছে বিকেএসপির ঘরে। এই বিভাগে বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৬-৩, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির-ই আলিফ হোসেনকে ধরাশায়ী করে হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।

বালক একক অনূর্ধ্ব-১২ বছর বিভাগে বিকেএসপির বিজয়কেতন উড়িয়েছেন খুদে তারকা জোবায়ের ইসলাম। ৬-১, ৬-০ গেমে শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের সৌরব হাসান ফাহিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। 

বালিকা একক অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বিকেএসপির হালিমা জাহান ৬-২, ৬-১ গেমে বিকেএসপির জান্নাতুন ফেরদৌস মিতুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।

বালিকা একক অনূর্ধ্ব-১২ বছর মাদারিপুর টেনিস ক্লাবের জান্নাত হাওলাদার ৬-০, ১-৬, ৬-৩ গেমে শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের মাসতুরা আফরিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।

প্রতিযোগিতায় শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সসহ, বিকেএসপি, মাদারীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মাগুরা টেনিস ক্লাব, নরসিংদী টেনিস ক্লাব, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, সিলেট টেনিস ক্লাব, মানিকগঞ্জ টেনিস ক্লাব হতে বালক/বালিকা অনূর্ধ্ব-১২, ১৪ ও ১৬ বছর গ্রুপে ৫০ জন খেলোয়াড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

   

নির্ভার রাজা, কণ্ঠে তারুণ্যের জয়গান



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জায়গা হয়নি জিম্বাবুয়ের। দেশটির ক্রিকেট ভবিষ্যৎ পড়ে গেছে শঙ্কায়। যা এখনও পোড়ায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। তাই এক রকম বাধ্য হয়েই নতুন দল গড়চ্ছে দেশটি। পরিকল্পনা করছে ভবিষ্যৎ ক্রিকেট নিয়ে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ সফরে সুযোগ করে দেওয়া হয় দেশটির তরুণ ক্রিকেটারদের। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন সিকান্দার রাজা। আর সেই সফরটা লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।

সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে সফরকারী। জয় নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে রাজার দল। যা নিয়ে তৃপ্ত তিনি। তবে মুগ্ধ হয়েছেন দলটির তরুণ ক্রিকেটারদের লড়াই করার মানসিকতায়। জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্লাইভ মাদান্ডে ও ফারাজ আকরামে জিম্বাবুয়ের ভবিষ্যৎ ক্রিকেট দেখছেন তিনি।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও শেষ তিন ম্যাচে দারুণ লড়াই করেছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে তো অল্পের জন্য জয়টাও পাওয়া হয়নি জিম্বাবুয়ের। যার দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন রাজা। তবে শেষটা জেতায় আছে তৃপ্তিও। রাজা বলেন, ‘জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। গত তিনটি ম্যাচে আমরা জয়ের খুব কাছাকাছি ছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত অল্প ব্যবধানে হেরেছি। এ ম্যাচে তাই জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। তবে আমার কাজ যেহেতু রান করা আগের ম্যাচগুলোতে রান না পাওয়ায় শেষদিকে অল্প ব্যবধানে হারায় আমি ভেবেছিলাম এটা আমারই কাজ ছিল। তবে এ ম্যাচে এটি হয়েছে। আর তাতে আমি খুশি।’

তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়ে রাজা আরও বলেন, ‘এই সিরিজে অনেক ইতিবাচক দিক ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে জিম্বাবুয়ের অনেক কাজ করার আছে। আমি স্কোয়াড নিয়ে খুব গর্বিত। আমি নিশ্চিত এই তরুণরা জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

;

সিরিজ জিতে এবার বিশ্বকাপে চোখ শান্তর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ম্যাচে এসে সিরিজে প্রথম হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। তবে তাই বলে এতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার উপায় নেই একটুও। ব্যাটে-বলে পুরো সিরিজে চূড়ান্ত আধিপত্যটা যে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। 

আর তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মনে হচ্ছে, দলের পারফর্ম্যান্সে উন্নতির জায়গা আছে অনেক। আজ ম্যাচ শেষে তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যেভাবে আমরা এই সিরিজে খেলেছি, তাতে আমাদের অনেকগুলো উন্নতি করার মতো জায়গা বেরিয়ে এসেছে।’ 

তবে এক ম্যাচ পর আবারও দলের মিডল অর্ডার ছন্দে ফিরেছে। ১৫ রানে ৩ উইকেট খোয়ানোর পর শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, সাকিব আল হাসানরা মেলে ধরেছেন নিজেদের। এ বিষয়টা খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে অধিনায়ক শান্তকে। তিনি বলেন, ‘আজকের ম্যাচে রিয়াদ-জাকের আলী যেভাবে খেলেছে, তাদের জন্য আমি বেশ আনন্দিত। আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি। মাঝের দিকে সুযোগ ছিল। তখন সাকিব এসে হাল ধরেছেন। তাদের জন্য আমি বেশ খুশি।’

দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে আরও এক বিশ্বকাপ। তার আগে অবশ্য তিন ম্যাচের একটা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদেরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খেলবে তাদের সঙ্গে। সেই সিরিজটা দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চান শান্ত। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে নিজেদের। আরও একটা সিরিজ আছে আমাদের সামনে, সেখানে নিজেদের প্রস্তুত করে বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেব আমরা।’

;

সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার রাতে নিজেদের লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আল হিলাল ও আল হাজম। যেখানে আল হাজমকে ৪-১ গোলে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। এই জয়ের মাধ্যমে সৌদি প্রো লিগে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই অলতি মৌসুমের শিরোপা নিজেদের নামে করে নিল নেইমাররা।

এটি আল হিলালের ১৯তম লিগ শিরোপা। লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি শিরোপা এখনও তাদেরই। যৌথভাবে দুইয়ে থাকা আল ইত্তিহাদ ও আল নাসর জিতেছে সমান ৯টি করে শিরোপা। 

ঘরের মাঠে আল হাজমের বিপক্ষে দাপুটে এই জয়ের পর আল হিলালের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৮৯। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের পয়েন্ট ৭৭। এই দুই টেবিল টপারের পয়েন্টের ব্যবধান ১২। তাই কাগজ-কলমের হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ শিরোপা আল হিলালের নামেই লেখা হয়ে গেল। 

গত গ্রীষ্মে সৌদিতে পাড়ি দেওয়ার পর আল হিলালের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার। এরপর গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএলের চোটে পড়েছিলেন তিনি। তাই বাকি মৌসুমে আর একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তার। তবে তার দল দারুণ পারফরম্যান্স করায় নিজের প্রথম মৌসুমেই সৌদি লিগ শিরোপার স্বাদ পেলেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি এই তারকা।

;

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা হলো না বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। এরচেয়ে কম রানের টার্গেট দিয়েও সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই প্রত্যাশা ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে আগের ম্যাচগুলোর ভুল শুধরে এদিন পরিণত ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা করেছে ৭৫ রান। বাংলাদেশের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। বেনেটের ৭০ রানের পর রাজা খেলেন ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস। তাতে ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ৪-১ ব্যবধানে।

শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। যেখানে দলে প্রাধান্য পেয়েছে ব্যাটাররা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শক্তি কমেছে বোলিংয়ে। যার খেসারতটাও ম্যাচ শেষে দিতে হয়েছে নাজমুল শান্তর দলকে। বিশ্বকাপের আগে দুর্বল জিম্বাবুয়েকেও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো দুর্বল জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে ফুটে উঠেছে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা।

বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা জুটি। দু’জনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৫ রান। এরপর বেনেট ৪৯ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে শেষ ২৯ বলে ৪৫ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ের। সুযোগ তাই তখনও ছিল বাংলাদেশের। তবে এদিন বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

আসর জুড়ে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া রাজা শেষ বেলায় রানের ক্ষুধা মিটিয়েছে। ব্যাট হাতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ৪৬ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। দায়িত্ব নিয়ে শেষটাই জয়ে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ সফর। বাঁচিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে নিশ্চিত হোয়াইটওয়াশ থেকে। শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৮ বল হাতে রেখে দারুণ এক জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলকে টেনে তুলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ হওয়া শান্ত শেষ ম্যাচে এসে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ পর্যন্ত থামেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। এরপর ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। মাঝে ১৭ বলে ২১ রান করেন সাকিব। মাঝের কোনো ব্যাটারই সেই অর্থে কেউই ভালো স্ট্রাইক রেট বজায় না করায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত গড়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় তো শঙ্কা জেঁকে বসেছিল দেড়শ পার করা নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন জাকের আলি। ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি পাইয়ে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের।

;