পর্দা নামলো এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে জমকালো আয়োজনে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের পর্দা নামলো আজ (রোববার)। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত তিনদিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে বিজয়ী হয়েছেন শেহজাদ আর মজিদ। রানার আপ হয়েছেন মেজর গোলাম মওদুদ (অব:), নারী বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন ফাতেমা রহমান। 

কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের বেংকুয়েট হলে টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ । পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান, এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ৬৬৫ গলফাররাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো  ছিলেন বাংলানিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ ২৪ এর এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম।

বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আসরটি আয়োজিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গলফ একটি সম্ভাবনাময় খেলা। এই খেলাকে এগিয়ে নিতেই পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ক্রীড়ামোদী কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। ১৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া তিনদিনের এই টুর্নামেন্টের আজ (রোববার) আনুষ্ঠানিক ভাবে পর্দা নামলো। শুরুতেই ৫০ জন বীরমুক্তিযদ্ধা সেনাসদস্যদের সম্মাননা দেয়া হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের চে়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তাদের হাতে উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট তুলে দেন। শহীদ মুক্তযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে পালন করা হয় দুই মিনিট নিরবতা।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন,  'এবিজি  বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। প্রথমেই আমি বিনম্রভাবে শ্রদ্ধা জানাতে চাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি, যাদের বীরত্বপূর্ণ,  নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ ৫২ বছর আগে আমাদের এনে দিয়েছিল বহুল আকাঙ্খিত বিজয়। তাদের অদম্য সাহস, শৌর্য এবং জাতির প্রতি ভালোবাসা এখনো আমাদের সকলের হৃদয়ে স্পন্দিত। সেই একই চেতনায় আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।'

'একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নের অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হয়েছে, সেই সাফল্যের গল্প রচনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।' যোগ করেন তিনি।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্রীড়া ক্ষেত্রে দেশ ভালো করছে। বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময় ক্রীড়া উন্নয়ন এর পাশে ছিল। আগামীতেও থাবে এমন প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেন, 'ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের রয়েছে উল্লেখযোগ্য  অজর্ন । ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু  করে গলফ পর্যন্ত, আমাদের এবং ক্রীড়াবিদরা অর্জন ও সাফল্যের এক অনন্য গল্প বনুছেন, বাংলাদেশের পতাকাকে গবের্র সাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে  নিয়ে যাচ্ছেন যা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী। আমি দৃঢ়ভাবে সকলকে জানাতে চাই যে জাতির অগ্রগতির অংশীদার হিসাবে বসুন্ধরা গ্রুপ, দেশের খেলাধুলার পরিধি এবং পরিসরের বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে  আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। '

এবিজি  বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্ট অংশ নেয়া সকলকে অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানিয়েছেন তিনি। আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, 'আমি আজ এবিজি  বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্ট এর বিজয়ীদের এবং অংশগ্রহণকারীদের তাদের সাফল্য এবং কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই এবং সামনের সময়গুলোতে তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।'

আগামীতে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র পরিণত হবে বলে আশাবাদ জানান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন , 'পরম করুনাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের জাতিকে ক্রমাগত সাফল্য দ্বারা সমৃদ্ধি করুন  এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত জাতি এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন পূরণে  আমাদের সক্ষম করুন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা শীঘ্রই বাস্তবায়িত হোক, এবং এটি আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক। সকলকে নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা।'

এরপর সকল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, পৃষ্টপোষক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান মঞ্চে উপস্থিত থেকে সকল বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। প্রধান অথিতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান  জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আহমেদ আকবর সোবহান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান  জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ' গলফ একটি ব্যায় বহুল খেলা। এখানে পৃষ্ঠপোষকদের ভূমিকা অনেক। বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ গলফের পাশে থাকার জন্য। আমি আশা করি আগামীতেও তারা গলফের উন্নতিতে আমাদের পাশেই থাকবেন।'

এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্দা নামে এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের।

 

   

ব্যাটিং ধসের পর জয়ে স্বস্তি বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে শেষ ৪২ রানে ১০ উইকেট হারিয়েও দিন শেষে হাসিমুখ বাংলাদেশের। কারণ ১৪৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও তালগোল পাকিয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেরে গেছে ৫ রানে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। লিটন দাস ধারাবাহিক বাজে ফর্মের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গা নেন সদ্য হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা সৌম্য সরকার।

তানজিদ তামিমের সঙ্গে সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে সুদিন ফেরার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে যে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা করেন তারা।  লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন।

একই বোলারের বল বোল্ড হয়ে ফেরা সৌম্যর রান ৩৪ বলে ৪১। বাংলাদেশ যখন বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে তখনই আচমকা যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। একই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল।

আগের দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন ১২ রানে। ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা সাকিব করেন ১ রান। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে তো রানখরা চলছেই, ৭ বলে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকেও।

বিনা উইকেটে ১০১ রান করা দলটা ১৪৩ রানে যেতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার দিনে ৩ উইকেট নেন পেসার লুক জংওয়ে।

কিন্তু ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েও জিম্বাবুয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। কোনো রান তোলার আগেই হারিয়েছে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। জোনাথান ক্যাম্পবেল বাদে দায়িত্ব নিয়ে খেলার যেন আগ্রহই ছিল না অন্য কোনো ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করে ক্যাম্পবেল নিজেও একাকী লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেন। শেষদিকে অবশ্য ৮ বলে ১৯* রানের ক্যামিও ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তবে রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে সাকিব দুই উইকেট তুলে নিলে ১৩৮ রানে জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসান, তিন উইকেট ঝুলিতে পোরেন মুস্তাফিজ।

আগামী ১২ মে একই মাঠে সকাল ১০টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;

শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট খোয়াল আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের শিরোপার দৌড়ে আবাহনী নেই বললেই চলে। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য ১১। এছাড়া দুই নম্বর মোহামেডানও একেবারে মন্দ খেলছে না। আবাহনীর জন্য এখন তাই চ্যালেঞ্জ একটা সম্মানজনক অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করা। কিন্তু আজ (শুক্রবার) পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সে লক্ষ্যে একটা হোঁচট খেলো আকাশি-হলুদরা।

অথচ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আবাহনীর। নবম মিনিটে বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর এনামুল গাজীর ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি পুলিশের ডিফেন্ডার আবদুল্লায়েভ। বল চলে যায় বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢোকা কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের পায়ে। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরও ভালো কিছু সুযোগ এলেও সেসব লুফে নিতে ব্যর্থ হয় আবাহনী। পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া পুলিশ দ্বিতীয়ার্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ে পরম আরাধ্য গোল খুঁজে পাচ্ছিল না।

শেষ পর্যন্ত ৮৭ মিনিটে আবাহনীর গোলকিপার ভুলে গোলের দেখা পেয়ে যায় পুলিশ। এম এস বাবলুর বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে আবাহনী গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের দুই পায়ের ফাঁক গলে বল পৌঁছে যায় জালে।

শেষ মুহূর্তের গোলে হতাশায় পুড়তে হয় আবাহনীকে। ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনেই রয়েছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে পুলিশ।

;

উড়ন্ত শুরুর পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং সমর্থকদের স্বস্তি দিতে পারেনি। তবে সৌম্য সরকার চোট থেকে ফিরে ওপেনিংয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশকে। তানজিদ তামিমও ব্যাটে সুর খুঁজে পেয়েছেন। সমর্থকরাও তাদের শতরানের জুটিতে বড় স্কোরের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু এই দুই ওপেনার বাদে দলের অন্য ব্যাটারদের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে দুরন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারেই ১০০ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। ফিফটি তুলে নেন তানজিদ। ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস আসে সৌম্যর ব্যাটে। তাদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ।

আগের তিন টি-টোয়েন্টিতে তানজিদের সঙ্গে ইনিংস শুরু করেছিলেন লিটন। তবে তাদের রসায়ন যে ওপেনিংয়ে একেবারেই জমছে না, তা আজ সৌম্যর সঙ্গে তানজিদের বোঝাপড়াতে পরিষ্কার।

১২তম ওভারে লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন। সেই ওভারে ৩৪ বলে ৪১ রান করা সৌম্যও সাজঘরের পথ ধরেন।

দুই ওপেনার বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেও হঠাৎ ধসে সে সম্ভাবনা নস্যাৎ হয়। গত দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় (১২) ও ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামা সাকিব আল হাসান (১) তিন বলের মধ্যে আউট হয়ে যান।

টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেটের কারণে সমালোচিত হওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ৭ বলে ২ রান করে ব্রায়ান বেনেটের বলে সাকিবের মতো তিনিও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বিনা উইকেটে শতরানের ঘর ছোঁয়া বাংলাদেশ এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে ১৪৩ রানে পৌঁছাতেই সব উইকেট খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান জংওয়ে। ৬৪ উইকেট নিয়ে এখন টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই পেসার।

;

তানজিদ-সৌম্যর ব্যাটে বাংলাদেশের দুরন্ত শুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আগে ব্যাট করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় অবশ্য খুব একটা স্বস্তি পায়নি দল। তবে আজ (শুক্রবার) দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং সৌম্য সরকার মিলে শতরানের জুটি গড়ে তুলেছেন।

লিটন দাস ফর্মের কারণে একাদশে জায়গা পাননি। দলে এসেই সরাসরি ওপেনিংয়ে লিটনের জায়গা নিয়েছেন। হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠার পর মাঠে নেমে কিছুটা ধীরগতিতে খেলে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছেন সৌম্য।

তবে অন্যপ্রান্ত ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন তানজিদ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে ৩৪ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই ওপেনার মিলে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন ১০০ রান। ৩৬ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রানে ব্যাট করছেন তানজিদ। ৩০ বলে বলে সমান দুটি করে চার-ছক্কায় সৌম্যর রান ৩৪।

;