ফিলিপসে স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের, নিউজিল্যান্ডের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বল মাঠে গড়ায়নি দেড় দিন। এরপরও স্বস্তিতে ছিল বাংলাদেশ। কেননা যে গতিতে এগুচ্ছিল মিরপুর টেস্ট; তাতে জয়টা যে প্রত্যাশিত ছিল বাংলাদেশেরই। তৃতীয় দিনের দুপুর গড়াতেই যেন পাল্টে গেল দৃশ্যপট। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে টেনে তুললেন গ্লেন ফিলিপস। তার করা ৮৭ রানেই ইনিংসেই বাংলাদেশের ১৭২ রান টপকে ৮ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের ১৩৭ রানের টার্গেট ছুড়ে বাংলাদেশ। প্রায় দুইদিন বাকি থাকলেও মিরপুরের স্পিন স্বর্গে সেটা রীতিমতো পাহাড়সম। চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেও জয়ের পথ রচিত করে রেখে গিয়েছিলেন তাইজুল-মিরাজ। ৪৭ রানের আগে ৪ উইকেট তুলতে হতো বাংলাদেশকে। তবে সে পথে আরও একবার বাধা হয়ে দাঁড়ালেন গ্লেন ফিলিপস। সঙ্গ পেলেন মিচেল স্যান্টনারের থেকে। দেখে শুনে খেলার বদলে আগ্রাসী হয়ে উঠলেন দু’জনে। বদলে গেলে মিরপুর টেস্টের গতিপথ। ৪ উইকেটের জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। সুযোগ পেয়েও ঘরের মাটিতে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারল না নাজমুল শান্তর দল।


লক্ষ্যটা মাত্র ১৩৭ রানের হলেও চতুর্থ দিনের চা বিরতির আগেও দারুণভাবে ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। ৫১ রানে তুলে নিয়েছিল কিউইদের পাঁচ টপ অর্ডার ব্যাটারকে। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা ড্যারেল মিচেলকে চা বিরতির আগে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। স্বপ্ন দেখছিল চা বিরতি শেষ করে জয় তুলে নেওয়ার। তবে সে পথে আরও একবার বাধা হয়ে দাঁড়ান ফিলিপস। স্যান্টনারে সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭০ রান। তাতেই নিশ্চিত হয় সফরকারীদের জয়। জয়ের পথে ৪৮ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন ফিলিপস। অন্যদিকে ৩৯ বলে ৩৫ রান এসেছে স্যান্টনারের ব্যাট থেকে।

এর আগে এদিন মিরপুরের স্পিন-স্বর্গে কিউইদের ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে বল হাতে বাংলাদেশকে দারুণ এনে দেন পেসার শরীফুল ইসলাম। কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়েকে রীতিমতো নাচিয়ে সাজঘরে ফেরান ২ রানে। ৫ রানে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ।

অবশ্য পাল্টা আক্রমণটা ভালোই দিচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। টম ল্যাথামকে নিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়া করতে উইকেটে জমে উঠতে শুরু করেছেন দু’জনে। বাংলাদেশি বোলারদের জন্য যা রীতিমতো হুমড়ি স্বরূপ। তবে ১১ রানে থাকা উইলিয়াসমনকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছেন তাইজুল। ২৪ রানে ২ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের।

এরপর দ্রুতই ফিরেছেন হেনরি নিকোলাস। টিকতে পারেননি টম ব্লান্ডেলও। ল্যাথাম ভয় ধরালেও তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দেন মিরাজ। ২৬ রানে ফিরতে হয় তাকে। এরপর থিতু হয়ে উঠছিলেন মিচেল। তাকেও ফিরতে হয়েছে মিরাজের কাছে পরাস্ত হয়ে। তাতে মিরপুর টেস্টে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। যদিও পরে ফিলিপস এসে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নে পানি ঢেলে দেন। বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে সিরিজে ভাগ বসান।

ঢাকা টেস্ট স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস:
বাংলাদেশ ১৭২/১০ (৬৬.২ ওভারে, জাকির হাসান ৮, মাহমুদুল ১৪, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, দিপু ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম হাসান ১৩, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০, অতিরিক্ত ১৪ স্যান্টার ৩/৬৫, এজাজ ২/৫৪, ফিলিপস ৩/৩১)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৮০/১০ ( ৩৭.১ ওভারে, ল্যাথাম ৪. কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১৮, ব্লানডেল ০, ফিলিপস ৮৭, স্যান্টার ১, জেমিসন ২০, সাউদি ১৪, এজাজ ০, অতিরিক্ত ১১, মেহেদি ৩/৫৩, তাইজুল ৩/৬৪, নাঈম ২.২১, শরিফুল ২/১৫)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৪/১০ ( ৩৫ ওভারে জাকির হাসান ৫৯, এজাজ ৬/৫৭)। নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ১৩৯/৬( গ্লেন ফিলিপস ৪০*, স্যান্টনার ৩৫*, মেহেদি ৩/৫১)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: গ্লেন ফিলিপস। সিরিজ: ১-১ ড্র।

   

বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী



বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনী প্রাণপণ লড়াই করেছে। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে বসুন্ধরা কিংসের দুর্গ ভাঙার। তাতে সফল হয়নি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা। টেবিল টপার বসুন্ধরা ঠিকই ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী। শর্ট কর্নার থেকে শট নিয়েছিলেন মিগেল দামাসেনো। তবে সে শট থমকে যায় আবাহনীর গোলমুখে। কিন্তু সুযোগ বুঝে জটলা থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন রাকিব হোসেন।

১৯ মিনিটে শট ঠেকাতে গিয়ে আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান বসুন্ধরার গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। রক্তাক্ত হয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

তবে দলের মূল গোলকিপারকে হারিয়ে ভেঙে পড়েনি বসুন্ধরা। উল্টো ৩৫ মিনিটে আরও একটা গোল পেয়ে যায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দামাসেনোকে বক্সের ভেতর পেছন থেকে ফাউল করে বসেন আবাহনীর ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে মোটেই কালক্ষেপণ করেননি। সে পেনাল্টি থেকে সহজেই আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল ইসলাম সোহেলকে পরাস্ত করে গোল পেয়ে যান দামাসেনো। 

২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে বসুন্ধরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এক গোল ফিরিয়ে দেয় আবাহনী। ৫০ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ওয়াশিংটনের কাটব্যাক ধরে বসুন্ধরার বদলি গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণকে পরাস্ত করেন কর্নেলিয়াস।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময় এবং যোগ করা ছয় মিনিটেও আর সমতাসূচক গোলটি খুঁজে পায়নি আবাহনী। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অবশ্য সমতায় যাওয়ার একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দারুণ এক শট নেন মোহাম্মদ হৃদয়। তবে বসুন্ধরার গোলবারে লেগে বল ফিরে এলে হতাশা নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে হয় আকাশি-হলুদদের।

এই জয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার পয়েন্ট ৩৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন ৯। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে আবাহনী।

;

লিটনের ব্যাটিং দুর্দশায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা



ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২২, ৬, ১, ০, ০- শেষ পাঁচ আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ম্যাচে এটি তার রান। রানের যোগফল ২৯। গড় ছয়েরও কম!

০, ৩৬, ৭, ১- শেষ চার আর্ন্তজাতিক টি- টোয়েন্টিতে এটি তার রান। রানের যোগফল ৪৪। প্রতি ম্যাচে গড় ১১। 

এই ব্যাটারের নাম লিটন দাস। জাতীয় দলের উইকেটকিপার কাম ওপেনার। কিপিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তার সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে, লিটন এখন সমাধান নন, বরং সমস্যা বাড়াচ্ছেন!

অথচ ঘরোয়া টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপিএলে তার সময়টা তেমন মন্দ যায়নি। ১৪ ইনিংসে ৩৯১ রান। স্ট্রাইকরেটও মন্দ না, ১৩০.৭৬। হাফসেঞ্চুরি ছিল ৩টি। সর্বোচ্চ রান ৮৫। ছক্কা-চারও ভালোই হাঁকিয়েছিলেন এবারের বিপিএলে। ৪০টি চার। ১৭টি ছয়। তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফাইনালে খেলেছিল। ফরচুন বরিশালের কাছে ফাইনালে হেরে যায় কুমিল্লা।

তবে বিপিএলের সেই ফর্ম আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে রাখতে পারছেন না লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টি- টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজটা চরম বাজে কেটেছে তার। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই লিটন আরেকবার শুরুতেই ব্যর্থ। খেললেন ৩ বল। করলেন মাত্র ১ রান। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল তার স্ট্যাম্প উপড়ে দিল। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির গতি ও সুইংয়ের কাছেই মুলত পরাস্ত হন লিটন। ম্যাচ জয়ের জন্য সহজ ১২৫ রানের লক্ষ্য। এমন ম্যাচে শুরুতেই এতো তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু লিটনের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছিল রানে ফেরার জন্য অনেক বেশি টেনশন পেয়ে বসেছে তাকে। 

ওপেনিং ব্যাটিং একটি বিশেষায়িত পজিশন। টেকনিক্যালি দক্ষতার সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তার ভীষণ প্রয়োজন। ব্যাট হাতে বাজে সময়কে কিভাবে কাটিয়ে উঠতে সেই আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিটনের ব্যাটে এবং খেলার ধরণে সেই আত্মবিশ্বাসই যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে ওপেনারের কাছ থেকে বড় আসা মানেই দলের বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যাওয়া। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং তো সেই প্রমানই রাখলো। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং- বোলিং এবং বড় জয়ের সাফল্যের দিনে বাংলাদেশের চিন্তার বিষয় শুধু একটাই, দলের আরেক ওপেনার লিটন দাসের ফর্ম। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনের মাসে। আর দলের ওপেনারের এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকদের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।   

লিটন ক্রমশ দলের চিন্তা ও টেনশন বাড়াচ্ছেন! ৫ মে, সিরিজের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি হোক সেই চিন্তামুক্তির সন্ধ্যা।

;

কোন টনিকে এমন আগ্রাসী প্রত্যাবর্তন সাইফউদ্দিনের?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফিরেছিলেন; ফিটনেস এবং ফর্ম ফিরে না পাওয়ায় দল থেকে ছিটকেও গিয়েছিলেন। আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন সামনে, ঠিক তখনই আঠারো মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনের। ফিট থাকলে সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত।

ইনজুরি থেকে ফেরার পর বিপিএলের মাঝপথ থেকে শুরু করে, ডিপিএল ঘুরে এবার জাতীয় দলে। সবখানেই বল হাতে বেশ উজ্জ্বল সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৪ ওভার বল করে মোটে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। কোন টনিক বদলে দিয়েছে সাইফকে? সে কৌতূহলের জবাব নিজেই দিলেন এই অলরাউন্ডার, ‘২০২২ বিশ্বকাপে আমি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। এ জন্য অনেক সিরিয়াস ছিলাম। পারফর্ম করতে চাচ্ছিলাম।’

আঠারো মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন। নার্ভাস থাকাটা অস্বাভাবিককিছু নয়৷ তবে সাইফের নার্ভাসনেসের কারণটা একটু ভিন্ন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন চ্যালেঞ্জের মুখে, টাইগারদের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার, ‘আজকে অনেক নার্ভাস ছিলাম। এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও এত নার্ভাস ছিলাম না। যেহেতু দুই ম্যাচ পরে ফিজ আসবে। একাদশ কী হবে না হবে, ম্যানেজমেন্ট জানে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার।’

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অটোচয়েজ হিসেবেই থাকছেন সাইফ। তবে একাদশে নিজের জায়গা শক্ত করতে এভাবেই পারফর্ম করার কথাই শোনালেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইকোনমি রেখেছেন তিনের ঘরে, উইকেটও তিনটা। এটা ধরে রাখাই আপাতত এই অলরাউন্ডারের লক্ষ্য৷ যেটা লাভটা বাংলাদেশেরই।

;

চলতি মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন কোর্তোয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুম শেষের পর এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। ২০২৩/২৪ মৌসুমে তার মাঠেই নামা হয়নি। অবশেষে লা লিগায় আজ (শনিবার) কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াবেন এই বেলজিয়ান গোলকিপার।

কোর্তোয়ার মাঠে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। লম্বা বিরতির পর দলের মূল গোলকিপারের মাঠে ফেরার সুসংবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘(আজ) কোর্তোয়া খেলবে।’

কাদিজের বিপক্ষে খেললেও এখনো বড় ম্যাচে কোর্তোয়াকে খেলানোর পক্ষে নন আনচেলত্তি। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের গোলপোস্টের প্রহরী কে হবেন সে প্রশ্নের জবাবে এই ইতালিয়ান কোচের সাফ জবাব, ‘বায়ার্নের বিপক্ষে (আন্দ্রি) লুনিন খেলবে।’

তবে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছালে কি লুনিনের জায়গা নেবেন কোর্তোয়া, এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই রিয়াল কোচের, ‘সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালে কে খেলবে? এটা আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৩ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৯ পয়েন্টে বেশি ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিউখের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে সমতায় রয়েছে। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ফাইনালের টিকিট কাটার সুযোগ এখন তাদের সামনে।

;