সিলেটে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক টেস্ট চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। লাল বলের ক্রিকেটটা যেন ভালোমতনই বোঝে কিউইরা। গত বছর তাদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল কিউইদের মাঠেই। এবার পালা দেশের মাটিতে। বছর পেরোতেই যা করে দেখাল শান্ত-তাইজুলরা। নিজের ক্যাপ্টেন্সির অভিষেকে শান্তর শতক এবং মুশফিক-মিরাজের ফিফটি কিউইদের সামনে রেকর্ড লক্ষ্য দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। বাকি কাজ যেন একাই সারলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। লাল বলে তার ১২তম ফাইফারের দিনে দল জিতল ১৫০ রানে। 

বাংলাদেশের ১৯তম টেস্ট জয় এটি। জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদে কোনো দলের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট জয়। জয় দিয়ে নিজেদের ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের শুরুটা দারুণভাবে রাঙাল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলীয় ব্যাটিং পারফর্মের পর দ্বিতীয় ইনিংসটা লেখা থাকল অধিনায়ক শান্তর শতকে। আর বোলিংয়ের পুরো দায়িত্ব একাই যেন কাঁধে তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয়তে নিলেন ৬টা। এর আগে কেবল একবারই এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন তাইজুল। দুর্দান্ত এই পারফর্মের জবাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।  

সিলেটে টেস্টে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল জয় দিয়েই। টসের জয় দিয়েই। স্পিন নির্ভর উইকেটে শেষের দিনগুলোতে ব্যাটিং করা এড়াতে স্বাভাবিকভাবেই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শান্ত। সেখানে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রান, শান্তর ৩৭ রান এবং মমিনুল হকের ৩৭ রানের ভরে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করে স্বাগতিকরা।

সেখানে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারের উইকেট হারালেও পিচে থিতু হন কেন উইলিয়ায়মসন। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ভুলে ভরা ফিল্ডিংয়ের জবাবে সুযোগ পেয়ে ব্যক্তিগত শতরান পেরিয়ে যান উইলিয়ামসন। পরে শেষ দিকে তাইজুল ও মমিনুলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লিড বড় হতে দেয়নি কিউইদের। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু চাপে পড়ে বাংলাদেশও। কেবল ২৬ রানেই দুই উইকেট হারায় তারা। তবে সেখানে হাল ধরেন শান্ত ও মমিনুল। শান্তর ১০৫ রানের পর মুশফিকুর রহিমের ৬৭ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০ রানের ভরে শেষ পর্যন্ত সংগ্রহ দাড়ায় ৩৩৮, এতে জয়ের জন্য কিউইদের সামনে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। 

বাকি পথের দায়িত্ব একাই সামলান তাইজুল। ৩১ ওভার ১ বলে ৭৫ রান খরচে ৬ কিউই ব্যাটারকে ফেরান প্যাভিলিয়নে। সঙ্গে নাঈম হাসানের দুই উইকেট এবং শরিফুল-মিরাজের একটি করে শিকারে ৭১ ওভার ১ বলে ১৮১ রানেই থামে কিউইদের ইনিংস। 

 

 

 

   

'দলের ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে'



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। ক্রিকেটাররা ভালো ফর্মে থাকলেও দলের মধ্যে আরও উন্নতির জায়গা দেখছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

গতকাল রবিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। ব্যাটিং-বোলিং দুই ক্ষেত্রেই প্রভাব বিস্তার করেছে বাংলাদেশ। আসন্ন বিশ্বকাপে ক্রিকেটাররা এরকম ফর্ম ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছুর আশা করাই যায়।

তবে এদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তানজিদ তামিম। আরেক ওপেনার লিটন দাসও ছিলেন নিষ্প্রভ। অধিনায়ক শান্তও এদিন ইনিংস লম্বা করতে পারেননি, ১৫ বলে ১৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

টাইগার বোলাররা বেশ ছন্দে থাকলেও ব্যাটাররা অনেকদিন ধরেই রানখরায় ভুগছেন। গতকাল ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টাইগার অধিনায়ক জানিয়েছেন যে, দলের ব্যাটিং বিভাগে আরও উন্নতি প্রয়োজন। উন্নতির জায়গাও আছে, তবে এজন্য ব্যাটারদের নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত বোলাররা খুবই ভালো করেছে। তবে যেমনটা আগেও বলেছি, বৃষ্টির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই এবং ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। মূলত সেসব বিষয় আমাদের সামলাতে হবে। এমন অনেক জায়গা আছে (ব্যাটিংয়ে) যেখানে আমরা উন্নতি করতে পারি। এছাড়া ইনিংসের মাঝের দিকে জিম্বাবুয়ে আসলেই ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমি আমাদের বোলারদের নিয়ে চিন্তিত নই।‘

দলের ওপেনাররা সেভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করছেন কিনা তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘তামিম ও লিটনের ৪০+ (৪১) রানের ওপেনিং জুটিতে ইনিংসে আমাদের ভালো শুরু এনে দিয়েছে। পরে হৃদয় ও রিয়াদ ভাই সেটি শেষ করে আসে। পরের ম্যাচটি দিনের আলোয়, তাই আমাদের সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে।’

;

চলে গেলেন ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মেনোত্তি। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে রক্তশূন্যতায় ভুগে অনেকদিন হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকায় বিষয়টি আলোচনায় আসেনি।

রোজারিও শহরে ১৯৩৮ সালে জন্ম মেনোত্তির। ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮, মোট ১১ বছর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জিবনের ইতি টেনে ৩৭ বছর ছিলেন কোচিং ক্যারিয়ারে। ১১টি ক্লাব ও দুইটি দেশের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। নিজ দেশ আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে ছিলেন ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত।

তিনি কোচ থাকাকালীনই ১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনা। ঠিক তার পরের বছরই অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জেতান যুব বিশ্বকাপ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন ক্রীড়াঙ্গনের একাধিক তারকাও।

আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি মেনোত্তির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা।‘

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের বর্তমান কোচ লিওনেল স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব কথা ও উপদেশের জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল আপনি হৃদয়ে থাকবেন।’

১৯৮৩ সালে বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মেনোত্তি। সেখানে দুই মৌসুমে দুটি কাপও জিতেছেন। ম্যারাডোনা তাঁর অধীনেই সেসময় বার্সাতে খেলতেন। বার্সার হয়েই কোচিং ক্যারিয়ারে শেষ শিরোপাটি জেতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে কাতালান ক্লাবটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সাবেক কোচ সিজার লুইস মেনোত্তির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে বার্সেলোনা।’

;

শেষ দুই দল হিসেবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও স্কটল্যান্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। গতকাল রবিবার সকল ম্যাচের সূচিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে আইসিসি। টুর্নামেন্টে আট দল এর আগেই জায়গা করে নিলেও বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে সবশেষ আরও দুই দল পেল বিশ্বকাপের টিকিট।

বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় স্কটল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা-আরব আমিরাত। যেখানে যার যার ম্যাচে জয় তুলে নেয় স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল মঙ্গলবার ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে এই দু’দল।

বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হলেও এই দুই দলের মধ্যে কে কোন গ্রুপে খেলবে তা নিশ্চিত হবে ফাইনাল ম্যাচের ফলাফলের ওপর। ফাইনালে যারা জিতবে তারা খেলবে গ্রুপ ‘এ’-তে, যেখানে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান।

অপরদিকে বাছাইপর্বের রানার্স-আপ দল খেলবে গ্রুপ ‘বি’-তে। যেখানে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। 

আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টটি চলবে টানা ১৮ দিন। ২০ অক্টোবর ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়।

;

ইতিহাস গড়ার পথে লেভারকুসেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জার্মান লিগ বুন্দেসলিগার ম্যাচে রবিবার রাতে ফ্র্যাংকফুর্টকে তাদের মাঠেই ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইতোমধ্যে লিগ শিরোপা জিতে নেওয়া বায়ার লেভারকুসেন। জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল জাবি আলোনসোর দল।

সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ফুটবল ইতিহাসে এর আগে সর্বোচ্চ টানা ৪৮টি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন ছিল পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার নামের পাশে। তবে এবার সে রেকর্ড স্পর্শ করে তাতে ভাগ বসালো চলতি মৌসুমের অপ্রতিরোধ্য বায়ার লেভারকুসেন।

গতরাতে ফ্র্যাংকফুর্টের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নেওয়া মাধ্যমে এই বিরল রেকর্ড স্পর্শ করল চলতি মৌসুমের বুন্দেসলিগা শিরোপাজয়ীরা। সামনে লেভারকুসেনের জন্য অপেক্ষা করছে এক বিশ্বরেকর্ড। নিজেদের পরের ম্যাচে তারা মাঠে নামছে রোমার বিপক্ষে, ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে। এই ম্যাচে অপরাজিত থাকতে পারলেই ইতিহাস গড়বে জার্মান ক্লাবটি, স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে কোচ জাবির নাম।

নিজেদের লিগে আর বাকি দুই ম্যাচ, যেগুলোয় জয় পেলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরাজিত থেকে বুন্দেসলিগার মৌসুম শেষ করবে লেভারকুসেন। গতরাতের ম্যাচ শেষে জাবি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। বিশাল চ্যালেঞ্জ! আর মাত্র দুটি ম্যাচ। আমরা তা করে দেখানোর চেষ্টা করব।‘

;