ভারতের রান পাহাড়ে চাপা পড়ল অজিদের লড়াইয়ে ফেরার স্বপ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার রান পাহাড় ডিঙিয়ে ম্যাচ জিতেছে ভারত। এ ম্যাচে তাই টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান আজি অধিনায়ক ম্যাথু উয়েড। উদ্দেশ্য ভারতকে যতটা সম্ভব অল্পতে আটকে রাখা। এরপর ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা টানা। হয়নি সেটি, বরং ঝড়ের গতিতে রান তুলেছে ভারত। তিনটি পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ইনিংসে ৪ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ২৩৫ রান জমা করে সূর্যকুমার যাদবের দল।

রান পাহাড়ে উঠতে গিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৩ ও ৬০ রানের আগেই ৪ উইকেট খরচ করে ফেলে অজিরা। এরপর দেখার ছিল অজিদের ইনিংসটা ঠিক কোথায় গিয়ে থামে। মাঝে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন টিম ডেভিড ও স্টয়নিস। সেই ঝড় থামার পর অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের জয়। ভারত ম্যাচ জিতে ৪৪ রানে। এ জয়ে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে থাকল ভারত।

ভারতের রান পাহাড় ডিঙাতে নেমে শুরুতেই ভারতীয় বোলারদের ওপর আগ্রাসী হয় অজিদের দুই ওপেনার। অবশ্য কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি স্মিথ ও শর্ট দুজনেই ফিরেছেন ১৯ রানে। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি ইঙ্গলিস ও ম্যাক্সওয়েল। বড় ধাক্কা খায় অজিরা।

সেই ধাক্কা কিভাবে সামাল দেই অজিরা এমন প্রশ্ন যখন দানা বাঁধতে শুরু করেছে তখন স্টয়নিসের সঙ্গে জুটি গড়ে ভারতীয় বোলারদের ওপর চড়াও হন ডেভিড।  ভারতীয় বোলারদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছিল এই জুটি। তবে বিপদ বাড়তে দেননি রবি বিষ্ণই। ডেভিডকে ফেরান ৩৭ রানে। খানিক পর ফিরে যান ২৫ বলে ৪৫ রানে থাকা স্টয়নিস। ম্যাচটা ওখানেই হেরে যায় অজিরা। এর পর বাকিরা কেবল হারের ব্যাবধান কমিয়েছে। ২০ ওভারে অজিরা ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯১ রান। ওয়েডের ৪২ রানের ইনিংস লড়াই চালালেও জয় সেখান থেকে ছিল বহুদুর। 

ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন বিষ্ণই ও প্রাসিধ।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ঝড়ো শুরু এনে দেন জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ। এ জুটিতে আসে ৭৭ রান। ২৫ বলে ৫৩ রানে ফেরেন জয়সওয়াল। তবে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন ঈশান কিষান। ৩২ বলে ৫২ রানে কিষান ফেরার আগে দলকে রেখে আসেন শক্ত অবস্থানে। সেটাকে শেষ দিকে পোক্ত দালানে রুপান্তরিত করেন সূর্য ও রিংকু। মাঝে ঋতুরাজ ৪৩ বলে করেন ৫৮ রান। শেষ দিকে ৯ বলে রিংকুর ৩১ রানের ইনিংসে বড় করে ভারতের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ২৩৫ রান।

   

প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পারফরম্যান্স শুরু থেকেই হতাশাজনক। বিরাট কোহলি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেলেও একের পর এক হারের মুখ দেখেছে দল। পয়েন্ট তালিকার তলানিতেই পড়ে ছিল তারা। তবে শনিবার রাতে গুজরাট টাইটান্সের সঙ্গে জয় তুলে নেওয়ায় এখনও শীর্ষ চারে জায়গা করার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল তারা।

নিজেদের ঘরের মাঠে গুজরাটকে এদিন ৪ উইকেটে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। এতে ১ ম্যাচে ৮ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার সাতে অবস্থান করছে তারা।

হিসেবটা খুব কঠিন, তবে অবাস্তব নয়। বেঙ্গালুরুকে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে হলে বাকি আর তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। অপরদিকে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, দিল্লি এই দলগুলোকে অন্যদের সঙ্গে হারতে হবে। তাতেই কোনোমতে চতুর্থ অবস্থানে জায়গা করে প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বাড়বে বেঙ্গালুরুর।

এদিন টসে জিতে শুরুতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বেঙ্গালুরু। ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিল গুজরাটের খেলোয়াড়রা। নির্ধারিত ওভার শেষ হওয়ার তিন বল আগেই সবকটি উইকেট হারায় তারা। ব্যাটারদের ছোট ছোট ইনিংসের ওপর ভর করে দলীয় ১৪৭ রানেই থামে গুজরাটের ইনিংস।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার বিরাট কোহলি এবং অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লেতেই ৯২ রান আসে স্কোরবোর্ডে। তবে হোঁচট খায় তাদের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পরপর চারজন ফেরত যান সাজঘরে।

শেষে দিনেশ কার্তিক ও স্বপ্নিল সিংয়ের ব্যাটে চড়ে ৩৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বেঙ্গালুরু। এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের সাতে উঠে এসেছে তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

গুজরাটঃ ১৪৭ (১৯.৩ ওভার); শাহরুখ ৩৭, রাহুল ৩৫; দয়াল ২-২১, বিজয়কুমার ২-২৩।

;

বাংলাদেশের ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ নামবে বাংলাদেশ। এদিকে লিগ ফুটবলে একাধিক ম্যাচ ছাড়াও আইপিএলে আছে দুটি ম্যাচ।


২য় টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

সন্ধ্যা ৬টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

আইপিএল

পাঞ্জাব-চেন্নাই

বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

চেলসি-ওয়েস্ট হাম

সন্ধ্যা ৭টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

ব্রাইটন-অ্যাস্টন ভিলা

সন্ধ্যা ৭টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

লিভারপুল-টটেনহাম

রাত ৯টা ৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

বুন্দেসলিগা

ফ্রাঙ্কফুর্ট-লেভারকুসেন

রাত ৯টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস ২

সেরি আ

রোমা-জুভেন্টাস

রাত ১২টা ৪৫ মিনিট, র‍্যাবিটহোল

;

বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী



বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনী প্রাণপণ লড়াই করেছে। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে বসুন্ধরা কিংসের দুর্গ ভাঙার। তাতে সফল হয়নি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা। টেবিল টপার বসুন্ধরা ঠিকই ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী। শর্ট কর্নার থেকে শট নিয়েছিলেন মিগেল দামাসেনো। তবে সে শট থমকে যায় আবাহনীর গোলমুখে। কিন্তু সুযোগ বুঝে জটলা থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন রাকিব হোসেন।

১৯ মিনিটে শট ঠেকাতে গিয়ে আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান বসুন্ধরার গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। রক্তাক্ত হয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

তবে দলের মূল গোলকিপারকে হারিয়ে ভেঙে পড়েনি বসুন্ধরা। উল্টো ৩৫ মিনিটে আরও একটা গোল পেয়ে যায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দামাসেনোকে বক্সের ভেতর পেছন থেকে ফাউল করে বসেন আবাহনীর ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে মোটেই কালক্ষেপণ করেননি। সে পেনাল্টি থেকে সহজেই আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল ইসলাম সোহেলকে পরাস্ত করে গোল পেয়ে যান দামাসেনো। 

২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে বসুন্ধরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এক গোল ফিরিয়ে দেয় আবাহনী। ৫০ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ওয়াশিংটনের কাটব্যাক ধরে বসুন্ধরার বদলি গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণকে পরাস্ত করেন কর্নেলিয়াস।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময় এবং যোগ করা ছয় মিনিটেও আর সমতাসূচক গোলটি খুঁজে পায়নি আবাহনী। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অবশ্য সমতায় যাওয়ার একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দারুণ এক শট নেন মোহাম্মদ হৃদয়। তবে বসুন্ধরার গোলবারে লেগে বল ফিরে এলে হতাশা নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে হয় আকাশি-হলুদদের।

এই জয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার পয়েন্ট ৩৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন ৯। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে আবাহনী।

;

লিটনের ব্যাটিং দুর্দশায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা



ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২২, ৬, ১, ০, ০- শেষ পাঁচ আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ম্যাচে এটি তার রান। রানের যোগফল ২৯। গড় ছয়েরও কম!

০, ৩৬, ৭, ১- শেষ চার আর্ন্তজাতিক টি- টোয়েন্টিতে এটি তার রান। রানের যোগফল ৪৪। প্রতি ম্যাচে গড় ১১। 

এই ব্যাটারের নাম লিটন দাস। জাতীয় দলের উইকেটকিপার কাম ওপেনার। কিপিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তার সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে, লিটন এখন সমাধান নন, বরং সমস্যা বাড়াচ্ছেন!

অথচ ঘরোয়া টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপিএলে তার সময়টা তেমন মন্দ যায়নি। ১৪ ইনিংসে ৩৯১ রান। স্ট্রাইকরেটও মন্দ না, ১৩০.৭৬। হাফসেঞ্চুরি ছিল ৩টি। সর্বোচ্চ রান ৮৫। ছক্কা-চারও ভালোই হাঁকিয়েছিলেন এবারের বিপিএলে। ৪০টি চার। ১৭টি ছয়। তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফাইনালে খেলেছিল। ফরচুন বরিশালের কাছে ফাইনালে হেরে যায় কুমিল্লা।

তবে বিপিএলের সেই ফর্ম আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে রাখতে পারছেন না লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টি- টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজটা চরম বাজে কেটেছে তার। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই লিটন আরেকবার শুরুতেই ব্যর্থ। খেললেন ৩ বল। করলেন মাত্র ১ রান। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল তার স্ট্যাম্প উপড়ে দিল। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির গতি ও সুইংয়ের কাছেই মুলত পরাস্ত হন লিটন। ম্যাচ জয়ের জন্য সহজ ১২৫ রানের লক্ষ্য। এমন ম্যাচে শুরুতেই এতো তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু লিটনের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছিল রানে ফেরার জন্য অনেক বেশি টেনশন পেয়ে বসেছে তাকে। 

ওপেনিং ব্যাটিং একটি বিশেষায়িত পজিশন। টেকনিক্যালি দক্ষতার সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তার ভীষণ প্রয়োজন। ব্যাট হাতে বাজে সময়কে কিভাবে কাটিয়ে উঠতে সেই আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিটনের ব্যাটে এবং খেলার ধরণে সেই আত্মবিশ্বাসই যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে ওপেনারের কাছ থেকে বড় আসা মানেই দলের বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যাওয়া। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং তো সেই প্রমানই রাখলো। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং- বোলিং এবং বড় জয়ের সাফল্যের দিনে বাংলাদেশের চিন্তার বিষয় শুধু একটাই, দলের আরেক ওপেনার লিটন দাসের ফর্ম। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনের মাসে। আর দলের ওপেনারের এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকদের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।   

লিটন ক্রমশ দলের চিন্তা ও টেনশন বাড়াচ্ছেন! ৫ মে, সিরিজের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি হোক সেই চিন্তামুক্তির সন্ধ্যা।

;