আলকারাজকে বিদায় করে ইউএস ওপেনের ফাইনালে মেদভেদেভ



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘটন ঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে দানিল মেদভেদেভ আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে যা করলেন, তাকে তার চেয়ে কমও কিছু বলা যাচ্ছে না। শীর্ষ বাছাই কার্লোস আলকারাজের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন যে! ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে রাশান এই তারকা রীতিমতো উড়তে থাকা শীর্ষ বাছাই আলকারাজকে হারিয়েছেন ৭-৬, ৬-১, ৩-৬, ৬-৩ সেটে। তাতে ফাইনালে নোভাক জকোভিচের সঙ্গে দেখা হয়ে যাচ্ছে মেদভেদেভের।

প্রতিযোগিতার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিলেন আলকারাজ। তার সামনে ছিল ১৫ বছর পর ইউএস ওপেন শিরোপা ধরে রাখার কীর্তি, ২০০৮ সালে যে কীর্তি সবশেষ গড়ে দেখিয়েছিলেন রজার ফেদেরার। তবে সেজন্যে সেমিফাইনালে মেদভেদেভকে হারাতে হতো আগে। সেটা হতে দেননি রাশান টেনিস তারকা।

ম্যাচের আগে এমন কিছু রীতিমতো অভাবনীয়ই ছিল যেন। আলকারাজ যে রীতিমতো উড়ছিলেন! তার ওপর শেষ দুই সাক্ষাতেও আলকারাজ হেসেখেলেই হারিয়েছিলেন মেদভেদেভকে। সে কারণেই কি না, ম্যাচের আগে মেদভেদেভ জা নিয়েছিলেন, আলকারাজকে হারাতে হলে দিতে হবে ‘১০ এ ১১’ গোছের এক পারফর্ম্যান্স।

সেটা ম্যাচে তিনি দিয়েছেনও। শুরুটা ইংগিত দিচ্ছিল রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের। প্রথম সেটটা গড়াল টাই ব্রেকারে। সেখানে আগুনে গ্রাউন্ডস্টোকের সঙ্গে ড্রপ শটের মিশেলে আলকারাজ ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিলেন মেদভেদেভের। সেসব সামলে সেটটা রাশান তারকাই জিতলেন শেষমেশ। এরপর দ্বিতীয় সেটে দাঁড়াতেই দেননি স্প্যানিশ তারকাকে।

আলকারাজ ম্যাচে ফেরেনে এরপর। তৃতীয় সেটটা জিতে নেন ৩-৬ গেমে। এরপর চতুর্থ সেটে মেদভেদেভ ৪-২ লিড নিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর আলকারাজও ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আরও একটা কামব্যাকের। ৫-৩ গেমে এগিয়ে গেলেন যখন মেদভেদেভ, তখন তিন তিনটে ম্যাচ পয়েন্ট রুখে দেন। তবে চতুর্থবার গিয়ে আর হলো না। অব্যর্থ এক উইনারে ম্যাচটা জিতে নেন মেদভেদেভ। চলে যান ইউএস ওপেনের ফাইনালে।

চূড়ান্ত লড়াইয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছেন নোভাক জকোভিচ। যাকে তিনি হারিয়েছিলেন ২০২১ সালের ইউএস ওপেনের ফাইনালে, তাতে ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকেও বঞ্চিত হতে হয়েছিল জকোভিচকে। সে শোধটা নিশ্চয়ই এবার তুলতে চাইবেন ‘জোকার’। তাই এবারের ইউএস ওপেন ফাইনাল আভাস দিচ্ছে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়েরই।

   

সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার রাতে নিজেদের লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আল হিলাল ও আল হাজম। যেখানে আল হাজমকে ৪-১ গোলে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। এই জয়ের মাধ্যমে সৌদি প্রো লিগে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই অলতি মৌসুমের শিরোপা নিজেদের নামে করে নিল নেইমাররা।

এটি আল হিলালের ১৯তম লিগ শিরোপা। লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি শিরোপা এখনও তাদেরই। যৌথভাবে দুইয়ে থাকা আল ইত্তিহাদ ও আল নাসর জিতেছে সমান ৯টি করে শিরোপা। 

ঘরের মাঠে আল হাজমের বিপক্ষে দাপুটে এই জয়ের পর আল হিলালের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৮৯। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের পয়েন্ট ৭৭। এই দুই টেবিল টপারের পয়েন্টের ব্যবধান ১২। তাই কাগজ-কলমের হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ শিরোপা আল হিলালের নামেই লেখা হয়ে গেল। 

গত গ্রীষ্মে সৌদিতে পাড়ি দেওয়ার পর আল হিলালের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার। এরপর গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএলের চোটে পড়েছিলেন তিনি। তাই বাকি মৌসুমে আর একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তার। তবে তার দল দারুণ পারফরম্যান্স করায় নিজের প্রথম মৌসুমেই সৌদি লিগ শিরোপার স্বাদ পেলেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি এই তারকা।

;

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা হলো না বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। এরচেয়ে কম রানের টার্গেট দিয়েও সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই প্রত্যাশা ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে আগের ম্যাচগুলোর ভুল শুধরে এদিন পরিণত ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা করেছে ৭৫ রান। বাংলাদেশের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। বেনেটের ৭০ রানের পর রাজা খেলেন ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস। তাতে ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ৪-১ ব্যবধানে।

শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। যেখানে দলে প্রাধান্য পেয়েছে ব্যাটাররা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শক্তি কমেছে বোলিংয়ে। যার খেসারতটাও ম্যাচ শেষে দিতে হয়েছে নাজমুল শান্তর দলকে। বিশ্বকাপের আগে দুর্বল জিম্বাবুয়েকেও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো দুর্বল জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে ফুটে উঠেছে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা।

বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা জুটি। দু’জনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৫ রান। এরপর বেনেট ৪৯ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে শেষ ২৯ বলে ৪৫ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ের। সুযোগ তাই তখনও ছিল বাংলাদেশের। তবে এদিন বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

আসর জুড়ে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া রাজা শেষ বেলায় রানের ক্ষুধা মিটিয়েছে। ব্যাট হাতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ৪৬ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। দায়িত্ব নিয়ে শেষটাই জয়ে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ সফর। বাঁচিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে নিশ্চিত হোয়াইটওয়াশ থেকে। শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৮ বল হাতে রেখে দারুণ এক জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলকে টেনে তুলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ হওয়া শান্ত শেষ ম্যাচে এসে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ পর্যন্ত থামেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। এরপর ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। মাঝে ১৭ বলে ২১ রান করেন সাকিব। মাঝের কোনো ব্যাটারই সেই অর্থে কেউই ভালো স্ট্রাইক রেট বজায় না করায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত গড়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় তো শঙ্কা জেঁকে বসেছিল দেড়শ পার করা নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন জাকের আলি। ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি পাইয়ে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের।

;

বেনেট-রাজার জুটিতে সহজ জয়ের পথে জিম্বাবুয়ে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ম্যাচে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। আগের ম্যাচে লক্ষ্যটা ছিল ১৪৩ রানে, সেখানেও ব্যাটিংয়ে দলীয় ব্যর্থতায় ৫ রানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। সিরিজ সমীকরণে ৪-০ তে পিছিয়ে তারা। এতে শেষ ম্যাচটা ছিল মান বাঁচানোর। সেই ম্যাচেই যেন জ্বলে উঠল সফরকারীদের ব্যাটাররা। বেনেটের ৭০ রানের পর অধিনায়ক সিকান্দার রাজার রানের ফেরার ইনিংসে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। 

১৬ ওভার শেষে স্রেফ ২ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১২৬ রান। শেষ চার ওভারে তাই জয়ের জন্য ৩২ রান চাই জিম্বাবুয়ের। ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন রাজা। এর আগে ৪৯ বলে ৭০ রান করে ফিরেছেন বেনেট। তাদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি থেকে আসে ৭৫ রান। 

এদিকে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকদের স্পিনেও ভুগিয়েছিল বেনেট। শুরুর তিন উইকেটের দুটিই নেন এই অলরাউন্ডার। ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে অধিনায়ক শান্তর ৩৬, মাহমুদউল্লাহর ৫৪ এবং শেষে জাকের আলীর ২৪ রানের ক্যামিওতে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। 

চট্টগ্রামেই অবশ্য তিন ম্যাচে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে ঢাকায় ফিরে চতুর্থ ম্যাচেও জয়টা সাকিব-শান্তদেরই। এতেই স্বাগতিকদের জন্য শেষ ম্যাচটা কেবল নিয়ম-রক্ষার। 

 

;

এক ঝাঁক নতুনদের নিয়ে মাদ্রিদের হালি পূরণ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লা লিগায় চার ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আরেকদিকে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চলতি মৌসুমের ইউএফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে কার্লো আনচেলত্তির দলের। তাই এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

শনিবার রাতে গ্রানাদার মাঠে যেয়ে তাদেরই এক হালি গোল হজম করিয়ে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে মজার বিষয় হলো, এই ম্যাচে একাদশে ছিল না রিয়ালের মূল সারির ১০ জন খেলোয়াড়ই। একমাত্র আন্তোনি রুডিগার বাদে পরিচিত বড় মাপের একজনও মাঠে নামেননি এই রাতে। তাতেই ৪-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

জুনের ২ তারিখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল, নিজের লিগেও এখনও বাকি আছে ৩টি ম্যাচ। তাই দলের মূল সারির তারকা খেলোয়াড়দের খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্রাম দিতে চাইছেন কোচ কার্ল আনচেলত্তি। বিশেষ করে ইউসিএল ফাইনালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই মাঠে নামতে চায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এজন্যেই মূলত বেশিরভাগ ফুটবলারকেউ এই মুহুর্তে বিশ্রাম দিচ্ছে কোচ।

গ্রান্দার বিপক্ষে রিয়ালের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ব্রাহিম দিয়াজ। বাকি দুটি গোল এসেছে ফ্রান গার্সিয়া ও আর্দা গুলারের পা থেকে। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট বর্তমানে ৯০। সমান ৩৫ ম্যাচে দুইয়ে থাকা জিরোনার পয়েন্ট ৭৫। ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা।

;