কেএনএফ’র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জাপার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র কয়েক দিনের সন্ত্রাসী হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য হতাশা প্রকাশ করে কারণসমূহ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে বলেন, কেএনএফ’র সদস্যরা কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে বান্দরবানে। ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ও বাজারে লুটপাট করছে তারা। পুলিশ থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আক্রমণ চালিয়ে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তাদের এ নৃশংসতায় সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে ঘর থেকে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প।

জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। তাই, কেএনএফ’র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

   

আওয়ামী লীগ কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

আওয়ামী লীগ কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি: নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিন কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনোদিনও কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনতার জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করেছে।

তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার সামরিক অফিসারকে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন গঙ্গা পানির চুক্তি সমাধান করেননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে আছে, সেই রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো আতাত করে না।

বিএনপির লজ্জা নেই এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। মির্জা ফখরুল আপনারা যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলা২৪ এর নির্বাহী পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. আফিজুর রহমান, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।

;

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের খাবার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এতিমখানায় খাবার বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করে দলটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এসময় অতিথিরা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিলো দুষ্কৃতকারীরা। তবে সে সময় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই আজকে দেশের এতো উন্নয়ন। শৃঙ্খল মুক্ত গণতন্ত্র। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। তিনি ফিরে এসেছেন বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর হবার স্বপ্ন দেখছি।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;

জন্ম থেকেই দেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় ভারত: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজও নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার তাদের প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পরাজয়ের ভয়ে, নিশ্চিহ্ন হওয়ার ভয়ে নিজেদের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বিকল্প নেই, সবাইকে দলমত নির্বিশেষে এক হতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে জয়যুক্ত হবো। আমাদেরকে কোনো শক্তি রুখতে পারবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরকেই আদায় করতে হবে, অন্য কেউ এসে কাজ করে দেবে না।

এসময় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজকে বাংলাদেশের জাতির জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা দিবসের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। ফারাক্কার সমস্যার কারণে উত্তরবঙ্গকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনের নামে এবার ফোর টোয়েন্টি হয়ে গেছে। সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না। সরকার নড়বড়ে অবস্থায়, রিজার্ভ নেই। দেশ বিক্রি হওয়ার অবস্থায় চলে গেছে। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবেগ দিয়ে নয়, কর্মসূচি দিয়ে, যুক্তি দিয়ে মানুষকে রাজপথে এক করতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

;

‘লু'র বক্তব্যের পর বিএনপির কথায় আর মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডোনাল্ড লু'র বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কথায় আর মন্তব্য করার প্রয়োজন পড়ে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নির্বাচনের আগের অবস্থায় আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রশ্নটা মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি কীভাবে জানলেন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা, এখনো আগের জায়গায়। সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বক্তব্য কি মির্জা ফখরুল সাহেব শুনেননি? ফখরুলের প্রশ্নের জবাব, ডোনাল্ড লু তার বক্তব্যে পরিষ্কার। এখানে আর মন্তব্য করারও প্রয়োজন পড়ে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখান থেকেই প্রশ্নের উত্তর বের করুন। আমি নতুন কোনো উত্তর দিতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা বলেছেন, সেই অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাজ্যের একজন সহকারী মন্ত্রী। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপরে মির্জা ফখরুলের যে বক্তব্য এর কোনো মূল্য নেই।

এর আগে, বুধবার ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আবার ডোনাল্ড লু…আমি জানি না, আপনারা (গণমাধ্যম) তাদের কী অবস্থান ভেবেছিলেন। আমরা যেটা দেখেছি, প্রকৃতপক্ষে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এটা তারা এখনও অব্যাহত রেখেছেন।'

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;