সরকারের জালিয়াতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ এখন কাঁপছে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অভ্যুত্থানের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তেব্য করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান সরকারের জালিয়াতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ এখন কাঁপছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে তিনি একথা বলেন।

বর্তমান সরকারকে ঝাড়ু দিয়ে পিটালেও নামবে না মন্তব্য করে মান্না বলেন, একজন প্রশ্ন করেছে কাপড়ের মধ্যে সই করলেই কি ওরা (সরকার) চলে যাবে? আরে ওদের তো ঝাড়ু দিয়ে পিটালেও যাবে না, দেখছি আমরা। যেতে চায় না। কিন্তু আমরাও এমন করে আন্দোলন করবো, যেতে হবে, তখন বাপের নাম ভুলে যাবেন। তখন ফিরে দাঁড়িয়ে নিজের জন্য একবার দোয়াও করতে পারবেন না। সেই পরিস্থিতি আসছে।

তিনি বলেন, সাকিব আল হাসানের মতো আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার, উনি এখন দেশের জনগণের কাছে ভুয়া হয়ে গেছেন। কারণ একটি ভুয়া নির্বাচনে তিনি ভুয়া এমপি হয়েছেন। আপনি (সাকিব আল হাসান) অনেক বড় খেলোয়াড়, নজর তো উপরে যাবে, নিচে কেন গেলো।

মান্না বলেন, গতকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ গণস্বাক্ষর করেছে। আমাদের এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলমান থাকবে। প্রত্যেকদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণস্বাক্ষর কর্মসূচি চলবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এই সরকার ডাকাতদের সরকার। ওরা নিজেরাই ডাকাত, ভোট ডাকাতি করেছে। এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে নিয়ে গেছে। এখন আবার বলছে, ভোট ভালো হয়েছে। সবাই স্বীকৃতি দিচ্ছে আমাদের। পিটার হাস আমাদের নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে গেলো। পিটার হাস আর শেখ হাসিনার ছবি তো আমরা কোথাও দেখলাম না। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বরং বলেছে, যে অত্যাচার, নির্যাতনের মধ্য দিয়ে এই দেশ অগ্রসর হচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। ইউরোপীয় দেশগুলো তাই বলেছে। এখন জাতিসংঘের মহাসচিবের চিঠি নিয়েও জালিয়াতি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারাই আবার গণতন্ত্রের নামে ‘ডামি’ নির্বাচনের সরকার পরিচালনা করার জন্য অঙ্গীকার করছে। বর্তমান সরকারকে কেউ অটো পাস সরকার বলে, কেউ নিশিরাতের সরকারও বলে। জনগণ এবারের নির্বাচনকে ‘আমি’ আর ‘ডামি’ নির্বাচন বলে।

তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় তারা একটু কষ্ট দেয়। তারা জনগণকেও কষ্ট দেয়, রাজনৈতিক দলগুলোকেও কষ্ট দেয়। নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার করে, হয়রানি করে, এগুলো সহ্য করেও আমরা টিকে আছি। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাদের সাথে আছে।

গণফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণভবনের প্রতি এত লোভ আমি আর কোথাও দেখি নাই। উনি নাকি (শেখ হাসিনা) ওখানে মাছ চাষ করেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখন খামারি হয়েছে ৷ জাতিসংঘ নাকি শুভেচ্ছা জানিয়েছে ৷ উনি (শেখ হাসিনা) ভুয়া বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।

   

জন্ম থেকেই দেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় ভারত: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ ভারত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজও নির্যাতন নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার তাদের প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পরাজয়ের ভয়ে, নিশ্চিহ্ন হওয়ার ভয়ে নিজেদের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, আমাদের কোনো বিকল্প নেই, সবাইকে দলমত নির্বিশেষে এক হতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে জয়যুক্ত হবো। আমাদেরকে কোনো শক্তি রুখতে পারবে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরকেই আদায় করতে হবে, অন্য কেউ এসে কাজ করে দেবে না।

এসময় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজকে বাংলাদেশের জাতির জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা দিবসের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। ফারাক্কার সমস্যার কারণে উত্তরবঙ্গকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনের নামে এবার ফোর টোয়েন্টি হয়ে গেছে। সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না। সরকার নড়বড়ে অবস্থায়, রিজার্ভ নেই। দেশ বিক্রি হওয়ার অবস্থায় চলে গেছে। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবেগ দিয়ে নয়, কর্মসূচি দিয়ে, যুক্তি দিয়ে মানুষকে রাজপথে এক করতে হবে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

;

‘লু'র বক্তব্যের পর বিএনপির কথায় আর মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডোনাল্ড লু'র বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কথায় আর মন্তব্য করার প্রয়োজন পড়ে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সুষম খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নির্বাচনের আগের অবস্থায় আছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রশ্নটা মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি কীভাবে জানলেন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা, এখনো আগের জায়গায়। সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বক্তব্য কি মির্জা ফখরুল সাহেব শুনেননি? ফখরুলের প্রশ্নের জবাব, ডোনাল্ড লু তার বক্তব্যে পরিষ্কার। এখানে আর মন্তব্য করারও প্রয়োজন পড়ে না।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখান থেকেই প্রশ্নের উত্তর বের করুন। আমি নতুন কোনো উত্তর দিতে চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা বলেছেন, সেই অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাজ্যের একজন সহকারী মন্ত্রী। তিনি যে কথা বলেছেন, এরপরে মির্জা ফখরুলের যে বক্তব্য এর কোনো মূল্য নেই।

এর আগে, বুধবার ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আবার ডোনাল্ড লু…আমি জানি না, আপনারা (গণমাধ্যম) তাদের কী অবস্থান ভেবেছিলেন। আমরা যেটা দেখেছি, প্রকৃতপক্ষে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এটা তারা এখনও অব্যাহত রেখেছেন।'

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

;

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আ.লীগের কর্মসূচি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী সারাদেশে এসব কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

বুধবার (১৫ মে) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আছে, এদিন সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এতে বক্তব্য রাখবেন জাতীয় নেতারা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এ ছাড়া মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি এ দিন এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে।

দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

;

মিরসরাই উপজেলা আ.লীগের সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিরসরাই উপজেলা আ.লীগের সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

মিরসরাই উপজেলা আ.লীগের সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়াকে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় অফিশিয়াল প্যাডে দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থি। শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে প্রদত্ত আপনার বক্তব্য সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

‘এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ আপনার লিখিত জবাব আগামী ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মাননীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া জানান, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি অনুষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি বক্তব্যের জন্য দলের কেন্দ্র থেকে আমাকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই কেন্দ্রের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিবো।

এর আগে গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমানের ঘোড়া মার্কার সমর্থনে উপজেলার বড়তাকিয়া ইভা কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে কর্মী সমাবেশে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী, প্রিয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য সন্তান মাহবুব উর রহমান রুহেলকে জেতানোর জন্য আমরা অনেক অপকর্ম করেছি। আগামী ৮ তারিখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অপকর্ম ছাড়া ভোট কেন্দ্র খোলা রাখবো।’ এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলায় তোলপাড় শুরু হয়।

;