‘সুষম উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নগরায়নে বাংলাদেশ ও নগর পরিবেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য গ্রামের মানুষের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। যথাযথ সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন ঠেকানো সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন টেকসই নগরায়নে বদ্ধপরিকর। অপরিকল্পিত নগরায়ন যেমন দীর্ঘমেয়াদে কোন সুবিধা বয়ে আনে না, তেমনি পরিবেশের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমার গ্রাম, আমার শহর উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগে গ্রাম ও সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষেদের জন্য যেমন অবকাঠামোগত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি গ্রামের স্বকীয়তা ও পরিবেশগত ভারসাম্য যাতে বজায় থাকে সেদিকেও গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

ঢাকায় নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধিতে বহুমুখী প্রয়াস ও সম্মিলিত উদ্যোগ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের বাস্তবায়ন ছাড়াও সাবওয়ে ও ঢাকা শহরের চারপাশে রিং রোড করার জন্যও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ফিলিস্তিন সংকট পুরো বিশ্বকেই সংকটজনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। স্রোতের প্রতিকূলতায়ও বাংলাদেশের যে অগ্রগতি সেটা অব্যাহত রাখতে সকল পেশাজীবী, শ্রমজীবী, ছাত্র, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস একান্তই অপরিহার্য।

ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপি সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাপা'র স্থপতি ইকবাল হাবিব।

   

চুয়াডাঙ্গায় মাঠে কাজ করার সময় সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় বিষধর সাপের কামড়ে শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শহিদুল ইসলাম দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আসিফ ইকবাল চঞ্চল।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে নিজের জমিতে ধান লাগানোর জন্য পাতো (চারা) তুলতে যান শহিদুল ইসলাম। এ সময় জমিতে থাকা একটি বিষধর গোখরা সাপ তার হাতে কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আসিফ ইকবাল চঞ্চল বলেন, সকালে মাঠে ধানের চারা তুলতে গিয়ে সাপের কামড়ে শহিদুল নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পরে মাঠের কৃষকরা দেখতে পেয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে। এ নিয়ে কয়েক মাসের ব্যবধানে সাপের কামড়ে এই গ্রামের তিনজনের মৃত্যু হলো।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বার্তা২৪.কমকে জানান, 'সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি আমরা খোঁজ নিচ্ছি।'

;

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অভিযান, ৮০ রোহিঙ্গা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৪টি বাসের ৭ জন চালক ও সহকারীকেও আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে এসব রোহিঙ্গাকে আটক করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৪টি বাস জব্দ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানিয়েছেন, ৪টি বাসযুগে ৮০ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে আসছে এমন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এছাড়া বাস চালক এবং হেলপারসহ জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্র সৈকতে আসতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে ক্যাম্প ইনচার্জের সাথে কথা বলে কুতুপালং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও তিনি জানান, ৪টি বাসের মালিককে ডেকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মুচলেকায় আবারো যদি রোহিঙ্গাদের অবৈধ উপায়ে পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে রোড পার্মিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা উখিয়ার ১৫, ১, ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কক্সবাজার শহরে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।

;

লোকসানে চামড়া বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটেঁ চামড়ার কেনাবেচা জমেনি।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হাটঁ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাহিরের জেলাগুলো থেকে বড় ব্যবসায়ীরা ও চামড়ার ক্রেতারা না আসায় প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল এ হাট।

যশোরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে আসা ব্যাপারীদের অভিযোগ, সরকার ট্যানারী মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও খোলা বাজারে সে দামের সাথে কোন মিল নেই।

যশোরের কেশবপুর থেকে ৭টা ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন চন্দর দাস। তিনি বলেন, '৭টা চামড়া খরচসহ কেনা দাম পড়েছে ৭৮০ টাকা। বিক্রি করতে আসলে ক্রেতারা ৭টা চামড়ার দাম বলছে ১৫০ টাকা।

মনিরামপুর থেকে ১৪০ পিস ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন সঞ্জয় কুৃমার। তিনি বলেন, '১৪০ পিস চামড়ায় কেনা খরচসহ ২৫০০ টাকা। প্রতি পিচ চামড়ার দাম বলছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লোকসান গুনেই চামড়া বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

যশোর শহরের তালতলা এলাকার চামড়া ব্যাপারী সুবদ দাস বলেন, আমি গতকাল ১৭ পিস কোরবানির গরুর চামড়া ১১০০ টাকা করে প্রতি পিস কিনেছি। বিক্রি করতে আসলে ক্রেতারা দাম বলছে ৯০০, সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকা। আমরা চামড়া ব্যাপারীরা এবার শেষ।

তিনি বলেন, 'অনান্য বছর বাহিরের জেলা থেকে ৫০-১০০ জন ক্রেতা ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসে। এ বছর বাহিরের জেলা থেকে বড় ব্যবসায়ীরা না আসায় ঈদ পরবর্তী আজ প্রথম হাটেঁ চামড়ার দাম কম। তাছারা বর্তমানে সবাই মাদ্রাসায় চামড়া দান করে দেয়। এজন্য কেউ গরজ করে চমড়া ছাড়ায় না, চামড়া ছাড়াতে গিয়ে চামড়ায় ফুটো-ফাটা করে ফেলে যার কারণে অধিকাংশ চামড়া চাতিল বলে ফিরিয়ে দেয় ক্রেতারা।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী ও ক্রেতা পদীপ দাস বলেন, ট্যানারী মালিকরা আমাদের অনেক টাকা আটকে রেখেছে। তা বাদে তারা অনেক চামড়া ফিরিয়ে দেয়। ফলে আমাদেরও লোকসানে পড়তে হয়। এজন্য চামড়ার দাম কম।

আরেক ক্রেতা শিবপদ দাস বলেন, 'আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ী। আমরা চামড়া কিনে ঢাকায় পাঠাই, আমাদের বহন খরচ আছে। তারপরেও আমাদের অনেক চামড়া তারা বাতিল বলে ফিরিয়ে দেয়। লবনের দাম বেশি, চামড়া সংরক্ষণে খরচ বেশি। তাছাড়া ট্যানারী মালিকরা আমাদের টাকা বাকি রাখায় আমরা ব্যাপারীদের কাছ থেকে ভালো দামে চামড়া কিনতে পারি না।'

রাজারহাট চামড়া মোকামের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুর পলাশ বলেন, আজকে ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটেঁ চামড়ার দাম কম। বাহিরের জেলা থেকে ক্রেতারা আসেনি। অনান্যবার, নাটোর, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া থেকে ক্রেতারা আসে। আমরা তারপরেও চেষ্টা করছি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া কিনে ঢাকায় সরবরাহ করতে। আশা করি আগামী শনিবার সামনের হাঁটে বাজার জমজমাট হবে।

;

প্রস্তুত সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি, হবে আরও দুটি: শিল্প সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপিকে পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সাভারের হেমায়েতপুরের বিসিক চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, এবার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপিকে পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে। এর সবগুলো মডিউলকে ওভারহোলিং তথা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামতপূর্বক ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দিয়ে তরল বর্জ্যকে পরিশোধন করা হয়েছে। তাছাড়া বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রাথমিক পরিশোধন ছাড়া যাতে কোনো ট্যানারির বর্জ্য সিইটিপিতে আসতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের পুরো টিম নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। এখানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আছেন বিসিকে চেয়ারম্যান আছেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা রয়েছেন আমরা সবাই মিলে এসেছি মূলত গতকাল কোরবানির সেটির যে চামড়া আনা হয়েছে তা দেখতে। এখানে যে সিইটিপি রয়েছে, তা পুরোপুরি প্রস্তুত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটি সরেজমিনে দেখতে আমরা এখানে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, সব সময় বলা হতো, সিটিভি কার্যকর নয় সিইপিটি কার্যকর হচ্ছে না এসব কারণে আমাদের আউটলেটে যে পানি রয়েছে বা স্যাম্পল যেটা হচ্ছে সেটার মানমাত্রা বেশি হচ্ছে, সেই জায়গা নিরসন করতে পারি তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা কাজ করছিলাম আমরা বলেছি। সিইটিপির যে মডিউল গুলা সেটির সবগুলোকে ওভারহোলিং করা হয়েছে। বায়োলজিক্যাল যে সব কাজ ছিল, সেগুলোকে আমরা লাইভ করেছি বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট এর উদ্দেশ্যে। আর যেটা করা হয়েছে হলো- পানির পিউরিফাই করার জন্য ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা সেটা আমরা করেছি।

জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিটি ট্যানারি মালিককে বলা হয়েছে, তারা কোনোভাবেই অন ট্রিটমেন্ট ভাবে কোন পানি যদি ছাড়ে, তাহলে তাদের আর কোনো পানি দেবে না কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পেরেছি পুরো সিইটিপি ঘুরে দেখেছি, গত কয়েক বছর ধরে আমরা উন্নতি করছিলাম, এই সিইটিপিতে বারবার এসেছি। সব সংশ্লিষ্টরা মিলে যে টাস্ক ফোর্স সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হলো, সেটি দেখেছি।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, লবন মাখানো ছাড়া কেনো চামড়া ঢুকবে না। সেটিও দেখলাম, এবার উন্নতি হয়েছে। গত ৬৩ বছরের মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ পরিমাণ ২৪ লাখ ৩৭ হাজার টন। ফলে লবনের সঙ্কট নেই। আর এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তৃণমূলে প্রচারণা করা হয়েছে। কারণ আমাদের সিইটিপির যে কার্যক্ষমতা ২৫ হাজার লিটারের মতো, সেটির ওপর চাপ কম পড়বে। এজন্য বলেছি, ঢাকার বাইরের চামড়া সাত দিন এখানে ঢুকবে না। ফলে ক্রমান্বয়ে চামড়া এলে সিইটিপির ওপর একবারে চাপ তৈরি হবে না। এটার ভালো ফল আমরা এরমধ্যে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকায় সিইটিপি-২ ও চট্টগ্রামে আরও একটি সিইটিপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি করা গেলে, আমাদের সারা বছরের চামড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা, কোরবানির সময় এক কোটি আর সারা বছর আরও এক কোটি, মোট দুই কোটি চামড়া প্রসেসের জন্য যত ধরনের ক্যাপাসিটি প্রয়োজন, তা আমরা অর্জন করবো।

সচিব বলেন, এলডব্লিউজির সক্ষমতা অর্জন করতে আমরা কাজ করছি। বেশ কয়েকটি ট্যানারি এরইমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট চালু করেছে। এভাবে সব ট্যানারি যদি ক্রোম রিকভারি ইউনিট চালু করে, আমরা এতে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের বিষয়ে হাইকোর্টের চারটি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে। বড় ট্যানারিগুলো ইতোমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট (সিআরইউ) স্থাপন করেছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের মধ্যে ক্রোমিয়াম ও বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) ছাড়া অন্যান্য প্যারামিটারগুলো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের সঠিক মান নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও আমাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে।

পরিদর্শনকালে বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;