রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ছয়টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯৪ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

   

‘শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে মানবাধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে মানবাধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র-ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পরিবেশবাদী ডা. মাহফুজুর রহমান।

শনিবার (১ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) পদে নিযুক্ত করায় সংগঠনটির চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগীয় শাখা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এম.এ.হাশেম রাজু'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ বিজ্ঞানী পরিবেশ ফোরাম (সিইউবিইএফ) সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. গফুর। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী নদী গবেষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, মানবাধিকার বিশ্বের কোনো দেশ, গোষ্ঠী, জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী সকল জাগতিক সম্পর্কের সীমানা পেরিয়ে সকল মানুষের চিরন্তন অধিকার। এই অধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ কারো নেই। শুধুমাত্র আইন তৈরি ও প্রয়োগ করে এ অধিকার রক্ষা করা কষ্টসাধ্য। এই অধিকার রক্ষা তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, মানুষের প্রতি সহানুভূতি, আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা।

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার সবাই মৌলিক অধিকারসমূহ ভোগ করার সুযোগ পাবে- এই প্রত্যাশায় মানবাধিকার বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব প্রফেসর ড. এম. এ. গফুর বলেন, যুগে যুগে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার যেমন হয়ে আসছে তেমনি অত্যাচারীদের প্রতিরোধ করার জন্য মানবতাপ্রেমিরাও এগিয়ে এসেছে সর্বদাই। মানবতার কল্যাণে, অসহায়, নিপীড়িত, দুস্থ জনতার পাশে সহানুভূতি ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসাই মানবাধিকার কর্মীদের আদর্শ।

সভাপতির বক্তব্যে এম এ হাশেম রাজু বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সকল পেশাজীবী, সুধীমহল, সচেতন নাগরিক সবার সম্মিলিত আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা না পেলে কখনোই মানবাধিকার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই মানবাধিকার বাস্তবায়ন, সংরক্ষণ ও লঙ্ঘন প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আসবেন।

সংবর্ধিত অতিথি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু বলেন, আমি আজকের অনুষ্ঠানে আগত সকল মেহমান ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার মত একজন নগণ্য মানবাধিকার কর্মীকে সংবর্ধনা প্রদান করার জন্য। আপনারা সকলে মানবাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসলে রচিত হবে সুন্দর বাংলাদেশ, শান্তিময় বিশ্ব- এই প্রত্যাশায় আগামীর পথ চলা।

সংবর্ধিত অতিথি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুকে ফুলেল শুভেচ্ছা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

;

‘আমেরিকা-ইসরাইল মানবতার শত্রু, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমেরিকা-ইসরাইল মানবতার শত্রু, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’ ফিলিস্তিনের মুক্তিকামীর জনতার পক্ষে করা চট্টগ্রামের এক সংহতি সমাবেশ থেকে এমন মন্তব্য এসেছে।

শনিবার (১ জুন) বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে চট্টগ্রামের প্রগতিশীল রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় তারা ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর গণহত্যা বন্ধের দাবি জানায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে, তাদের দেয়া অর্থ আর অস্ত্রে ফিলিস্তিনে যে হত্যায্জ্ঞ ইসরাইলি দখলদার বাহিনী চালাচ্ছে, এটা নিছক গণহত্যা নয়। এটা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। গত আট মাসে ৩৬ হাজার মানুষকে ইসরাইলিরা হত্যা করেছে। আর তাদের দোসর আমেরিকা নানা ছলাকলায়, কথার জাল বুনে এ অপরাধকে বৈধতা দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি তৈরি করে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার ঘটানোই আমেরিকা-ইসরাইলের কৌশল। এ দুই দেশকে মানবতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বের সকল বিবেকমান মানুষকে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশ্বের সকল শান্তিকামী রাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ আমেরিকা-ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশকেও ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার পাশে দাঁড়াতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে।

খেলাঘরের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্তের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কথাসাহিত্যিক-সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সিপিবি দক্ষিণ জেলার সভাপতি অধ্যাপক কানাই দাশ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার আইন বিষয়ক সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া, বোধন আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ, খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রথীন সেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি লাকী দাশ, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী, ছড়াকার অধ্যাপক অ্যালেক্স আলীম, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দিলীপ দাশ, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক দেবপ্রিয় বড়ুয়া অয়ন, চট্টগ্রাম জেলা যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি টিকলু কুমার দে, অগ্নিবীণা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সানি চৌধুরী এবং মুক্তধারা পাঠাগারের সংগঠক হামিদ উদ্দিন।

সভাপতির বক্তব্যে খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামে এ লাঠিয়াল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদের শেকড় বিস্তৃত হয়েছে। আরব রাষ্ট্রগুলোতে যখন গাদ্দাফি বা সাদ্দাম হোসেনের মতো শাসক যারা সাম্রাজ্যবাদকে নির্দ্বিধায় কুর্নিশ করে না, তাদের মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তেমনি ভাবে আমেরিকা হামাসের মতো একটি সংগঠন জম্ম দিয়ে তাদের মাধ্যমে উসকানি সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার এবং মধ্যেপ্রাচ্যেকে ক্রমাগতভাবে সাম্রাজ্যবাদের নখরের মধ্যে আটকে রাখার পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদে ও সহযোগিতায় ইসরাইল এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, সেটাকে আমি শুধু গণহত্যা বলতে রাজি নয়। আর কত হাসপাতালে, শরনার্থী শিবিরে, ত্রাণের লাইনের দাঁড়িয়ে থাকা নারী ও অবুঝ শিশুকে বোমা মেরে হত্যা করলে সেটা গণহত্যা হবে ? মার্কিন সাম্রাজ্যেবাদের মতো নিষ্ঠুর প্রকৃতির শাসকগোষ্ঠী এ নীতিবাক্যের কোনো জাবাব দেবে না। তার বিরুদ্ধে একমাত্র জবাব আমরা মানুষ ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সারা পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মানুষ আজ এ সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে।

চট্টগ্রাম জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অশোক সাহা বলেন, সাত দশক ধরে প্যালেস্টাইনের জনগণ যে জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম করছে সেটাকে টুটি টিপে হত্যা করার শেষ আয়োজন চলছে গাজায়। এ ইসরাইলি জায়নবাদ আমেরিকার দালালরা দীর্ঘকাল ধরে প্যালেস্টাইনের লাখ লাখ মানুষ খুন করেছে। তারাই চক্রান্ত করে প্যালেস্টাইনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতকে খুন করেছে।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিন জাতিসত্ত্বাকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও ইসরাইল। জাতিসত্ত্বা এমন এক জিনিস জবরদখল বা জবরদস্তি করে, বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না। দুনিয়ার যত অঘটন ঘটে, যত যুদ্ধের দামামা হয় সেখানেই আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ। এ আমেরিকা দেশে দেশে খুনোখুনি কম করেনি। আমাদের বাংলদেশেও পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসররা যতরকমের বর্বর কাজ করেছে সব কিছুর হোতা এ আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ। এ চক্রান্তকারী শক্তির বিরুদ্ধে আমরা সবাই প্রতিবাদ না জানালে সংকটের সমাধান হবে না।

সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ইসরাইলের ইহুদিরাও বিভিন্ন দেশে আজ ফিলিস্তিনে বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এ যে মনোভাব একজন ইসরাইলি ইহুদির সে মনোভাব আজ সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের। সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতাসীনেরা কারও কথা শুনে না। তারা পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে যুদ্ধকে ছড়িয়ে রেখেছে। গাজায়ও তাদের অস্ত্রের ঝনঝনি আমরা শুনতে পায়। আমাদের এ প্রতিবাদ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের প্রতিবাদের সঙ্গে একাকার হয়ে যাক।

;

নড়াইল নার্সিং কলেজের সমস্যা সমাধানের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল নার্সিং কলেজের শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ, স্থানীয় বখাটেদের উৎপাত বন্ধ, শিক্ষাবৃত্তি চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১ জুন) শিক্ষার্থীদের আয়োজনে কলেজ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া পূরণে স্লোগান দিতে থাকেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ক্লাসে ফিরে যাবেন না বলে ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, নড়াইল নার্সিং কলেজে শিক্ষক স্বল্পতার জন্য পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। আর দুই মাস পর পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পড়াশোনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া কলেজে কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। যার কারণে কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাছাড়া স্থানীয় বখাটে ও প্রভাবশালীদের উৎপাতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সব সময় চরম উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। কলেজে অনেক দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করছে। অন্যত্র সরকারি শিক্ষা বৃত্তি চালু থাকলেও নড়াইল নার্সিং কলেজে এখনো পযন্ত তা চালু হয়নি। এ কারণে তাদের পড়াশোনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া সুপেয় পানির অভাব থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে পানি কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এ সময় সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

;

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত নেতাদের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটির নেতারা।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে শিল্পী সমিতির নেতারা সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতকালে ডিএমপি কমিশনার সংগঠনটির নবনির্বাচিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশলাদি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় দেশীয় চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে কমিটির প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।

জানা গেছে, শিল্পীদের সম্মান, প্রশাসনিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পুলিশকে পাশে থাকার জন্য কমিশনারকে আহ্বান করা হয়। এসময় কমিশনারও তাদেরকে সহায়তা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, 'চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির নেতারা এসেছিল। তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। তাদের নানা সমস্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সব সময় পাশে থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'সমাজে শিল্পীদের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ, শিল্পী তাঁর সৃষ্টকর্ম দিয়ে সাধারণকে প্রভাবান্বিত করার ক্ষমতা রাখেন। শিল্পী সমিতির নেতাদের হাত ধরে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অনেক এগিয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী।'

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। অন্যদিকে মিশা-ডিপজলের সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়িকা পলি, রত্না, শাহনূর, দিলারা ইয়াসমিন, অভিনেতা জয় চৌধুরী, সনি রহমান, সুব্রত, আলীরাজ, চুন্নু, আরমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল জয়লাভ করেন।

;