সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

   

বাড়ছে তিস্তার পানি, নদীপাড়ে আতঙ্ক



আসিনুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের কাউনিয়ায় পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার খুব কাছ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীপাড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল ৩টায় রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় সকাল ৬ টায় ২৮ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় ২৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। 

অপরদিকে একইদিন বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই পয়েন্টে সকাল ৬ টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২ টায় ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। 

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় পানি বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪ গেটই খুলে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলের দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটিরদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই ভাটির অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে তিস্তায় পানি বাড়ায় নদী পাড়ের মানুষের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হলে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। 

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ভোর থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চল গ্রামের মানুষদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। 

চর গনাই গ্রামের বাসিন্দা মোজাফ্ফর বলেন, ভোর থাকি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভয়ে আছি। ঈদের আগে বন্যা হলে খুব বিপদে পড়ে যাবো।  

একই এলাকার আব্বাস আলী জানান, হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার আভাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে সকল ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

;

সিলেটে পাথরের নিচ থেকে ২০০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে-তামাবিল মহাসড়কে ট্রাকে করে পাথরের নিচে লুকিয়ে পাচারকালে ২০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দু'জনকে আটক করেছে এসএমপির শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সুরমা গেইট এলাকা থেকে চিনির এ চালান জব্দ করা হয়। 

এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- রাজশাহীর বেলপুকুর থানার দুরুল হুদার ছেলে ও ট্রাক চালক মো. সালাউদ্দিন (২৮), একই জেলার বহরমপুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে ও হেলপার মো. মহাশিন (২৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী।

পুলিশ জানায়, হরিপুর থেকে উপরে পাথর দিয়ে ভেতরে ভারতীয় চিনি সিলেট শহরের দিকে আসছে, এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শাহপরাণ (রহ.) থানার সুরমা গেইট বাইপাস এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে থানা পুলিশ। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একটি ট্রাককে থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুতবেগে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া দিয়ে ট্রাকটি জব্দ করা হয় ও ২ জনকে আটক করা হয়।

পরে গাড়ি তল্লাশি করে পাথরের নিচে থাকা ২০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

চট্টগ্রামে স্থায়ী ঈদগাহ উদ্বোধন, একত্রে নামাজ পড়বে ২ হাজার মুসল্লি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে তৈরি স্থায়ী ঈদগাহ ও জানাজার নামাজের স্থান উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

শুক্রবার (১৪) জুন বিকেলে উদ্বোধন হওয়া ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫২ ফুট প্রস্থের এই ঈদগাহে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন প্রায় দুই হাজার মুসল্লি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছিল এলাকায় ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার জন্য কোন স্থান না থাকায় অনেক সময় সড়কে নামাজ আদায় করতে হতো। এর ফলে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতো, অন্যদিকে মানুষের ভোগান্তি বাড়তো।

'‌মুরাদপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থান নিয়ে দীর্ঘদিনের সংকট নিরসন করতেই ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে এ প্রকল্প হাতে নিয়েছি৷ ঈদগাহ ও নামাজে জানাজার স্থানের চারপাশে ওয়াকওয়ে, বসার স্থান, ওজু ও টয়লেটের এবং লাশ ধোয়ার ব্যবস্থাও করেছি।'

সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম বলেন, মেয়র মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে অব্যবহৃত এই জায়গাকে ঈদগাহ ও জানাজার স্থানে পরিণত করায়৷ আমরা সবাই মিলে মেয়র মহোদয়ের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে নগরবাসীকে উন্নত চট্টগ্রাম উপহার দিব।

সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, জনগণের কল্যাণে এ উদ্যোগ নেয়ায় এলাকাবাসী খুশি৷ জনকল্যাণমুখী উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করব৷

এলাকাবাসী জানান, আগে ঈদের নামাজ আদায় করতে রাস্তায় নামতে হতো তাদের। এমনকি কেউ মারা গেলে জানাযা পড়ার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে নামাজ আদায় করতে হতো। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো। লোকজন ভোগান্তির শিকার হতেন। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ফ্লাইওভারে নিচে খোলা জায়গাটি নামাজ আদায়ের জন্য সুব্যবস্থা করে দেওয়ায় দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর হয়েছে। মেয়রের এই অভিনব উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

চসিকের বাস্তবায়নে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন এমন একটি উদ্যোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী। তিনি বলেন, ফ্লাইওভারে নিচে নামাজের জন্য যে জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, জায়গাটির চারপাশে ঘেরাও করে ভেতরে নান্দনিক ওয়াকওয়ে, ওজুখানা, বসার স্থান, ওয়াশরুম, স্টোররুম ও সিকিউরিটি রুম করা হবে।

ফ্লাইওভারের নিচে সড়কের মাঝখানে নামাজ আদায়ের কারণে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্সিলর জানান, পথচারী পারাপারের যাতে সমস্যা না হয় দুই জায়গায় জেব্রা ক্রসিং করা হবে। লোকজন খন্ডকালীন সময়ের জন্য জায়গাটা ব্যবহার করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, হাজী নুরুল হক, গোলাম মো. জোবায়ের, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, আবদুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার সবুজ৷ কাউন্সিলর মোবারক আলীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম৷ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফকাত আমিন৷

;

মামা দাম কত, ভাই দাম কত, চাচা দাম...?



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মেরাদিয়া হাট থেকে কোরবানির গরু কিনে বনশ্রী ‘এ’ ব্লকের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ইমপেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন। সঙ্গে তার বাবা, বাড়ির দারোয়ান; সঙ্গে বার্তা২৪. কমের এ প্রতিবেদক। হাট থেকে বাসার দূরত্ব প্রায় ৮০০ মিটার। পুরো পথে ৩৭ জন পথচারী জিজ্ঞেস করেছিলেন—মামা, দাম কত; ভাই, দাম কত; চাচা, দাম কত?

এসময় রবিন, তার বাবা, ও বাড়ির দারোয়ান সবাইকে দাম বলছে ১৫০ (মানে দেড় লাখ টাকা)। রবিনের ভাষ্য গরু কিনে যদি দামটা যদি গরুর গায়ে লেখা যেত, তাহলে ভালোই হতো!

কলেজ-শিক্ষার্থী রবিনের মত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত মেরাদিয়া হাট থেকে যারাই গরু কিনে হাট থেকে বের হচ্ছেন সবার বক্তব্য প্রায় একই। বিশেষ করে কোরবানির গরু কেনার পরে পথচারীরা সবাই ‘দাম কত’ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সবার উত্তর থাকে একই। এখানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া; অনেককে বিরক্ত হতে দেখা যায় না, আবার কেউ কেউ এক প্রশ্ন বারবার শুনে বিরক্তও হচ্ছেন।

বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা আজগোর হোসেন। মেরাদিয়া হাট থেকে গরু কিনে রওনা হয়েছেন বাসার উদ্দেশে। হাটে ব্যাপারীর সাথে গরুর দামাদামিতে বেশ বিরক্ত। একদিকে গরমে গায়ে গামে ভেজা গেঞ্জি, অন্যদিকে পথ জুড়ে পথচারীদের ‘দাম কত’ প্রশ্নে বিরক্ত। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বাজেটের বাইরে গিয়ে এমনিতে কিনতে হয়েছে গরু, তার ওপর তীব্র গরম, এরপর মানুষের প্রশ্ন—‘দাম কত ভাই?’

হাট থেকে কোরবানির গরু নিয়ে আসার সময় সবার একই প্রশ্ন মামা দাম কত, ভাই দাম কত, চাচা দাম...?

মেরাদিয়া হাটের প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে থেকে দেখা যায়, এই হাট থেকে যারাই গরু কিনে বের হচ্ছেন, তাদের প্রত্যেককে পথচারীরা জিজ্ঞেস করছেন—মামা, দাম কত; ভাই, দাম কত; চাচা, দাম কত?

এদিকে মেরাদিয়া হাট ঘুরে দেখা যায়, এবার কোরবানির ঈদেবেশি চাহিদা রয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের গরুর। যে কয়েকটি খণ্ডে বড় গরু রয়েছে সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি অনেক কম। ক্রেতারা বলছেন, ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও চাচ্ছেন ব্যাপারীরা।

আসন্ন কোরবানির ঈদের রাজধানীতে গরুর চাহিদা মেটাতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে দুই সিটি করপোরেশন ২০টি গরুর হাট ইজারা দিয়েছে। তারমধ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আওতাধীন ১১টি পশুর হাট আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন ৯টি পশুর হাট রয়েছে।

হাটের বেচাকেনা নিয়ে মেরদিয়া হাটের ইজারাদার আবু সাঈদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুরো বাজার গরু-ছাগলে পরিপূর্ণ। আমাদের মেরাদিয়া হাটে এখনও পশু আসছে। আজকে ছুটির দিন হওয়ায় এখানে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি। বিক্রিও হচ্ছে। তবে আগামীকাল থেকে বিক্রি আরও বাড়বে। এই হাটে সিটি করপোরেশনের ২০০ ভলান্টিয়ার এবং আমাদের পক্ষ থেকেও লোকবল নিয়োগ আছে। ক্রেতার উপস্থিতি বাড়াতে আমরা আশপাশের এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছি।

;