অনলাইন জুয়া, বেটিংয়ের প্রচার, প্রসার ও অর্থপাচারে টিআইবির উদ্বেগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে অনলাইন জুয়ার ব্যাপক বিস্তারে মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অর্থপাচার এবং জুয়ার ব্যাপক প্রসারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন জুয়া বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো ভিন্ন মোড়কে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংস্থার আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি’র এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অনলাইন জুয়ার নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ ও জুয়া প্রতিরোধে আইন প্রণয়নসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায় টিআইবি।

উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি জানায়, দেশের প্রচলিত আইনে যে কোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছেই। মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যমে আইপিএল, বিপিএলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা সম্প্রচারসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেটিং সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন ভিন্ন মোড়কে বা ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হচ্ছে। এমন কী এ বছরের বিপিএল-এর একটি দলের জার্সিতে জুয়ার ওয়েবসাইটের সারোগেট বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চরম উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, দেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনের মহোৎসব চলছে। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধু মুনাফার লোভে দেশকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনোমতেই দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না। ইদানিং শহরের বিভিন্ন বিলবোর্ডেও অনলাইন জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন; বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপনের রমরমা প্রচার চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ধরনের বিজ্ঞাপনের কুফল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, টিআইবি মনে করে, শুধুমাত্র অনলাইন জুয়ার মাধ্যমেই দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকাও পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা আরো বড় উদ্বেগের বিষয়! গণমাধ্যম ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে গ্রামসহ সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

এর মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার হয়। অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের বেশির ভাগই রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পরিচালনা করা হলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলোর স্থানীয় এজেন্ট রয়েছেন।

এসব এজেন্টরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে টাকা আদান-প্রদান করেন। আবার এই এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অথচ চোখের সামনে হয়ে যাওয়া এই পাচার রোধে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-সহ কোনো দায়িত্বশীল সংস্থারই কোনো কৌশলগত উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার কথা জানা যায় না।

একইভাবে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনে চলছে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের বিশাল ব্যবসা, যা অবৈধ ও অনৈতিক!

অনলাইন জুয়ার ফলে সামাজিক নানা সংকটেরও জন্ম হচ্ছে উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময়ে জুয়ায় আসক্ত হওয়া ও সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার ঘটনা আমরা নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন সংবাদে দেখছি। সম্প্রতি, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ৩৫ বছরের যুবক অনলাইন জুয়ায় ১৫-২০ লাখ টাকা হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পারিবারিক অশান্তি, কলহ, বিষণ্ণতা, সর্বোপরি জুয়ায় সর্বস্ব খোয়ানোর ঘটনার পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে বিপুল বিত্ত-বৈভব অর্জনের ঘটনাও ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, জুয়ার নেশা আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় তারুণ্যের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে তুলছে।

অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে বহুমুখী উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের জুয়া প্রতিরোধ করতে সরকারের ওপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশে এখনো জুয়া প্রতিরোধে ব্যবহার হচ্ছে ১শ ৫৭ বছরের পুরনো আইন।

সরকার ‘জুয়া প্রতিরোধ আইন-২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও এখনো তা খসড়া পর্যায়েই রয়ে গেছে। অথচ বর্তমান প্রেক্ষাপটে জুয়া প্রতিরোধে কঠোর ও যুগোপযোগী আইন আরো আগেই প্রণীত ও প্রয়োগ হওয়া প্রয়োজন ছিল।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনটি এখনো খসড়া অবস্থাতেই রয়েছে। খসড়া আইনের ৬ ধারায় দূরবর্তী জুয়া ও অনলাইন জুয়ার প্রকৃতি এবং ৭ ধারায় বাজি বা বেটিং সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বেটিং, অনলাইন জুয়া প্রচারণার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার এবং অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে অর্থ পাচারের যোগসূত্রের ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে।

আবার, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার ৪.৫.৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, বাজি ধরা বা জুয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা/কোম্পানি/ব্যক্তির বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হলেও সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কোনো নির্দেশনা দেওয়া নেই।

অন্যদিকে, অনলাইন জুয়া রোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত ভূমিকা দেখা যায় না। অনলাইনের অবারিত দুনিয়ায় জুয়া বা বেটিংয়ের প্রসার রোধে সবার আগে এর প্রচারণা রোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

এমতাবস্থায়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বিএফআইইউ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, নাগরিক অধিকার সংগঠনসহ সব অংশীজনের সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে খসড়াটি অতি দ্রুত সংশোধন করে আইন প্রণয়ন ও অবিলম্বে প্রয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

পাশাপাশি, অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায় টিআইবি।

   

কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজার মনিটরিংয়ে জোরালোভাবে নজর দিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কিছু পণ্যে বাজারে জোগানের সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার জন্য বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।

;

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচে সকল শিশুকে চিহ্নিত করা এবং আরও নিখুঁতভাবে অধিকতর কভারেজের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে টিকাদান কার্যক্রমে ই-ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

সোমবার (২০ মে) নগরীর পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে ইউনিসেফের সহায়তায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকারের মতো একটি আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমে সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে ভেকসিন হিরো'র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্য। ই-ট্র্যাকার চালুর মূল উদ্দেশ্য নগরীতে টিকা না পাওয়া বা কম পাওয়া এবং ভাসমান শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা। আমরা টীকাদানকে শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই।

'চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই কার্যক্রম অধিকতর জোরদারকরণের লক্ষ্যে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে ইপিআই E-Tracker এর কার্যক্রম ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে GIS-Based Online Microplanning & Reporting ইপিআই কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৩ হাজার শিশুকে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে। আজ এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল।'

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জী, চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন স্থাপন করেন ইউনিসেফ এর হেলথ্ স্পেসালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।

উপস্থিত ছিলেন-চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান।

;

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণপদক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক চালু করেছে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) পাবেন। এছাড়া তাকে ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুব রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিমালা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ (খসড়া) প্রস্তুত করা হয়। ২০ মে বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনও সংস্থা প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। তবে কোনও ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে (১৭ মার্চ) পুরস্কারের নাম ঘোষণা করা হবে, আর নিকটতম সময়ে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে।

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় জুলিও কুরি পদক। সেই পদক প্রাপ্তির ৫২তম বার্ষিকী হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি।

;

রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে রংপুর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপ প্রধান নগরের কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার, মোবারক আলম ও শাহ আলম।

তাদের মধ্যে জাহিদকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড এবং মোবারক ও শাহ আলমকে চার বছর করে কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে র‌্যাব-১৩ এর একটি দল রংপুর নগরের কেরানীপাড়ার আব্দুল্লাহর ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসারের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একত্রিত হয়েছেন বলে জানতে পান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সময় জাহিদ আটক হলেও অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। অভিযানে র‌্যাব জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত গান পাউডার, মোটরসাইকেলের বল বিয়ারিং, পুরাতন ক্যাপাসিটর, স্কচটেপ, ইলেক্ট্রিক তার, ব্যাটারি ও মোবাইল সেট জব্দ করে। সেই সঙ্গে জাহিদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতি, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা সংক্রান্ত নানা তথ্যাবলি পায় র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব জাহিদ ও তার সহযোগীদের আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পলাতক আসামি মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার এ রায় দেন বিচারক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার।

;