ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন
কারচুপিসহ নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জি এম সেলিম পারভেজ।
বুধবার (৮ মে) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে জানালেও নির্বাচন কমিশনার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি ভোট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।
জিএম সেলিম পারভেজ ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য সাবেক ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, আমি জানতে পেরেছি স্থানীয় সংসদ সদস্য (গাইবান্ধা-৫) মাহামুদ হাসান রিপন তার বাসায় নির্বাচনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ, ও শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে গিয়ে আর্থিক সুবিধা দিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীকে (আবু সাঈদ) বিজয়ী করতে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং হুমকি ধামকি করেছেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ডিসি, এসপি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে উনি (সাংসদ রিপন) ভোট দিতে এলাকায় আসতেই পারেন, ভোট দিতেই পারেন। কিন্তু কাউকে বাসায় ডেকে নিয়ে আর্থিক সুবিধা, হুমকি-ধামকি ও পরামর্শ দেওয়া এটা সম্পূর্ণ আচরণবিধি লঙ্ঘন। ভোটের পরিবেশ উনি রাতেই কলুষিত করেছেন।
সেলিম পারভেজ বলেন, তারপরেও আমার বিশ্বাস ছিলো ভোট সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সকাল থেকেই ৩৪ ও ৬০ নম্বর কেন্দ্র দুর্গম চরাঞ্চলে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে জাল ভোট মেরেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সেলিম পারভেজ বলেন, এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এই তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সাথে থেকে ন্যাক্কারজনকভাবে ভোট কারচুপি করেছে।
নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমি সকাল থেকে মিনিমাম ২০ বার বিষয়গুলো নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানাই। কিন্তু তিনি দেখছি, দেখতেছি বলে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি প্রতিকার পাইনি।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল মোত্তালিব মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রার্থীর ভোট বর্জনের ঘোষণার বিষয়টি তার একান্ত ব্যক্তিগত। এমন ঘোষণায় ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না। ভোটগ্রহণ নিয়ম অনুযায়ী চলছে এবং বিকেল ৪টা পর্যন্তই চলবে। এসময় তাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।