খেটে খাওয়া মানুষের পাশে উচ্চবিত্তদের দাঁড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের
খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ পরবর্তী সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ইতিমধ্যে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকদের মাঝে একটি করে ছাতা ও ১২টি খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির পট বিতরণ করেন মেয়র আতিক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র তিনি।
রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে মেয়র আতিক বলেন, তাপদাহ যতই তীব্র হোক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা বিশেষ করে রিকশাচালকরা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে না। তীব্র এই তাপদাহ তারা যে কষ্ট করছে তা অসহনীয়। আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।
চীনা অ্যাম্বেসি রিকশাচালকদের জন্য ১৫০০ ছাতা ডিএনসিসিকে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত রিকশা আছে ৩০ হাজার। অন্যান্য মিলিয়ে আমরা মাত্র ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। শহরে আরও হাজার হাজার রিকশাচালক রয়েছে যারা একই কষ্ট করছে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সবার পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু সমাজের উচ্চবিত্তরা চাইলেই সম্ভব। তাই আমি উচ্চবিত্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আপনারা এগিয়ে আসুন।
মেয়রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একজন রিকশাচালক মো. শামিম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কে কি কইবো জানি না, কিন্তু মেয়র সাহেব যে আমগো লাইগা চিন্তা করছে এইটাই অনেক। যেই রোইদ পরে শইলডা জ্বলে। এই ছাতা দিয়াতো আর রিকশা চালাতে পারুম না। যাত্রী নামাইয়া দিয়া অন্তত ছাতার নিচে একটু খাড়াইতে পারুম। এইডাই আলহামদুলিল্লাহ।’
রিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘এমন তাপে কোনো জায়গায় যে একটু ছায়ায় খারামু ওই অবস্থাও নাই। শহরে কোনো গাছ আছে, মাইনষের দোকানপাটেও বেশিক্ষণ খারান যায় না। অনেকক্ষণ গাড়ি চালাইয়া হেই রোইদের মধ্যেই জিরাইতে হয়। ছাতাটা কামে লাগবো।’
ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির পট পেয়ে খুশি অন্যান্য রিকশাচালকরাও।
রিকশা চালকদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।