নীলফামারীর সৈয়দপুরের ১০০ শস্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে হাত এক্সরে করাতে এসে মমতা বেগম শুনেন, সরকারি হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাইরের হাসপাতালে এক্সরে করাতে বেশি টাকা লাগে যা বহন করা কষ্টসাধ্য।
হাসপাতালটিতে এক্সরে মেশিন টানা ২০ দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় সেবা-বঞ্চিত হচ্ছেন কয়েকশত মানুষ৷ বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করছেন রোগীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শহর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২০০ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। একদিনে দুর্ঘটনাসহ হাত-পা ভাঙা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন গড়ে ২০-২৫ জন। গত ১৬ এপ্রিল হঠাৎ এক্সরে মেশিনের ইউপিএস নষ্ট হওয়ার কারণে অচল হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত মেশিনটি অচল হয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সরে করতে আসা রোগীরা মেশিন নষ্ট হওয়ায় ফেরত যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রুমের দরজায় একটি চিরকুটে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য এক্সরে বন্ধ আছে লিখে রেখেছেন। বিশেষ করে দূর থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী হালিম বলেন, আমার ছোট বাচ্চা অসুস্থ। বাসায় খেলার সময়ে পড়ে গিয়েছিলো খুব কান্নাকাটি করছে। হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শে এক্সরে করাতে আসলাম এসে শুনি মেশিন নষ্ট এখন বাইরে বেশি টাকা দিয়ে এক্সরে করাতে হবে।
আরেক রোগী জিয়ারুল হক বলেন, এখানে এক্সরে করতে আসলাম এসে শুনি মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পরশুদিন এসেও আমি ঘুরে গেছি; আজকেও মেশিন ঠিক হয়নি ৷ এখানে করলে আমারা সুবিধা পাই। বাইরে করাতে গেলে বেশি টাকাও লাগে কষ্টও হয়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর ১০০ শস্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, এক্সরে মেশিন নষ্ট হয়েছে। আমরা এটি দ্রুত চালু করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
রাজধানীতে বেড়েই চলেছে অজ্ঞান করে সর্বস্ব হাতিয়ে চক্রের তৎপরতা। বিশেষ করে গণপরিবহনে চলাচল করা সমাজের মধ্যবিত্ত পুরুষদের টার্গেট করে সখ্যতা গড়ে তুলে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেন এই চক্রের সদস্যরা।
এর সর্বশেষ বলি হয়েছেন, যশোর থেকে ছেলের সঙ্গে ঢাকায় আসা নয়ন বিশ্বাস (৫৪)। ১১ মে বাসে করে ঢাকা এসে এই চক্রের হাতে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু পুলিশের সক্রিয় তৎপরতায় অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জানা গেছে, ১১ মে সকালে রাজধানীর মতিঝিলের টিটিপাড়া এলাকায় অজ্ঞান পার্টির দেওয়া পানি পান করে রাস্তায় জ্ঞান হারান নয়ন বিশ্বাস। পরববর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে পড়ে ছিল নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ।
এ ঘটনায় বাবা নিখোঁজ উল্লেখ করে শাহজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ছেলে শ্যারন বিশ্বাস। জিডির সূত্র ধরে তদন্তে নেমে নিহত নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ শনাক্ত ও জড়িত সন্দেহে অজ্ঞান পার্টি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নয়ন বিশ্বাসকে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে বিশ্বজিৎ কর্মকার ওরফে নূর মোহাম্মদকে। এ সময় নিহতের সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও হাতিয়ে নেওয়া কাপড় এবং বিপুল পরিমাণ ঘুমের ওষুধ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর পল্টনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান।
ডিসি হায়াত বলেন, যশোর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে গত ১১ মে ভোরে ঢাকার কমলাপুরে আসেন শ্যারন বিশ্বাস ও তার বাবা নয়ন বিশ্বাস। সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষার্থী শ্যারন বিশ্বাস বাবাকে কমলাপুরে বিদায় দিয়ে মোহাম্মদপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। অপরদিকে, তার বাবা নয়ন বিশ্বাস পায়ে হেঁটে টিটিপাড়া এলাকায় যান গাজীপুরগামী বাসে ওঠার জন্য। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাবাকে অনেক খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে শাহজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শ্যারন বিশ্বাস। জিডির পরিপ্রেক্ষিতে নয়ন বিশ্বাসের সন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমে কমলাপুর থেকে টিটিপাড়া পর্যন্ত সড়কের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, নয়ন বিশ্বাস কমলাপুর থেকে পায়ে হেঁটে টিটিপাড়া এলাকার বাস কাউন্টারের সামনে আসেন। এরপর সেখানে এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা বলেন। ওই ব্যক্তির দেওয়া পানি খান তিনি। এরপর কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া রাইদা পরিবহনের বাসে ওঠেন।
পরবর্তীতে রাইদা পরিবহন চলাচল করা রুট সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পারেন, ১১ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাতিরঝিল থানার রামপুরা টিভি গেট এলাকায় নামিয়ে দেয় বাসের হেলপার। খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ মে বিকেলে মারা যান তিনি। পরবর্তীতে নিহতের মরদেহ অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে মর্গে রাখা হয়। এ তথ্য পেয়ে নিহতের ছেলে মর্গে গিয়ে বাবা নয়ন বিশ্বাসের মরদেহ শনাক্ত করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টি চক্রের সদস্যকে শনাক্তে মাঠে নামেন তদন্তকারীরা। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নয়ন বিশ্বাসকে অজ্ঞান করে মোবাইল ফোনসহ সবকিছু হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, বিশ্বজিৎ কর্মকার ওরফে নূর মোহাম্মদকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্বজিৎ পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ১১ মে ভোরে টিটিপাড়া এলাকায় অবস্থান করে টার্গেটের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময়ে নয়ন বিশ্বাসকে হেঁটে আসতে দেখে তাকে টার্গেট করেন। এরপর কৌশলে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন বিশ্বজিৎ।
গাজীপুরের উদ্দেশে বাসে ওঠার আগে নয়ন বিশ্বাসকে পানি খেতে দেন তিনি। এরপর তার সঙ্গে বাসে উঠে পড়েন। বাসটি মালিবাগ আবুল হোটেলের সামনে গেলে নয়ন বিশ্বাসের দুটি মোবাইল ফোন ও কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে নেমে যান বিশ্বজিৎ। আর অসুস্থ অবস্থায় নয়ন বিশ্বাসকে রামপুরা নামিয়ে দেন বাসের হেলপার।
যেভাবে টার্গেট নির্ধারণ করা হয় হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সমাজের উচ্চবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের টার্গেট করে না। তাদের টার্গেট মধ্যবিত্ত। বিশেষ করে যাদের হাতে মোটামুটি দামের মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা থাকে। এই ধরনের মানুষ, যারা গণপরিবহনে চলাচল করেন। তাদের সঙ্গে ঠিকানা জানা হিসেবে কৌশলে পরিচিত হয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর আস্থা অর্জন করে পানি বা অন্য কোনো দ্রব্যের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যান।
বিশ্বজিতের বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের ডিসি বলেন, গ্রেফতার বিশ্বজিৎ কর্মকার ২০ বছর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসিলম হয়ে নুর মোহাম্মদ নাম ধারণ করেন। মাদকাসক্ত বিশ্বজিৎ মতিঝিলের মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি ১৪ বছর ধরে মতিঝিল, সায়েদাবাদ ও পল্টন এলাকায় অজ্ঞান করে সব কিছু হাতিয়ে নিতেন। গত সপ্তাহেও অন্তত দুটি অজ্ঞান করার কাজ করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ।
তবে তার হিসাব সঠিক নয় দাবি করে উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, কারণ, গত ১১ মে তিনি আরো একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে রাজধানীর মুগদা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন থানায় মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তিনি এর আগে শত শত ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আমরা চাই বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
আমরা চাই বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক, বিরোধীদলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি - সাপ্তাহিক জয় বাংলা।
বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে এমন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাবো, আপনারা যে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন সেই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয় নাই। বরং আপনারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন, এতে করে বিএনপির জন্য আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন তাহলে এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। কারণ গণতন্ত্রকে সংহত করতে হলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটি পালন করুক সেটিই আমরা চাই।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম দুই একজন নেতা খেই হারায়। গয়েশ্বর বাবু খেই হারায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আবোল তাবোল বলে। এখন দেখি আরও সিনিয়র নেতারাও আবোল তাবোল বলে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। আসলে কেউ যখন আশার আলো দেখে না, তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতারা কোনো কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর তাদের (বিএনপি) মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। উনারা আশা করেছিল কী না কী বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এবং আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য বিএনপির নেতাদের মাথা খারাপ। এখন তারা নানা ধরনের কথা বলছে।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো: সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।
আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)। একই সঙ্গে ছিনতাইকারী চক্রের ৪ জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬মে) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এম. জে. সোহেল বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজ ও ৪ জন ছিনতাইকারী আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে র্যাব-১০ এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ-৩ হাজার ৫৬০ টাকা ও ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গতকাল (১৫ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে ২ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৪ হাজার টাকা ও ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গতকাল যাত্রাবাড়ী মোড় এলাকায় র্যাব-১০ আরেকটি অভিযানিক দল অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৪ জন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের নিকট থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, জানা যায় যে, আটককৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ীসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেল্পারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় এবং পথচারীদের ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ ছিনতাই করে আসছিল।
আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু কতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের মধ্যদিয়ে শুরু হলো আম বাজারজাতকরণ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মহিলা কলেজ পাড়ায় মহলদার আম্রকাননে আম পেড়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা একটি আম সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলার উৎপাদিত আমের স্বাদ ও সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। আমের সেই খ্যাতি ধরে রাখতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জাতভেদে আম সংগ্রহ শুরু হলো। এছাড়া আমে যাতে কেউ কোনো ধরনের ক্ষতিকর দ্রব্য কিংবা ফরমালিন মেশাতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ রয়েছে প্রশাসন। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ আম ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আজ ১৬ মে আঁটি গুটি ও বোম্বাই আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর আগামী ২৪ মে থেকে হিমসাগর, ৩০ মে ল্যাংড়া, ৭ জুন আম্রপালি (বারি আম-৩), ১৫ জুন থেকে ফজলি ও ১লা জুলাই থেকে আশ্বিনা বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে।
এসময় উপস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলা চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, এ মৌসুমে দামুড়হুদা ও জীবননগর মিলিয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছর দেড়শ কোটি টাকার আম কেনা-বেচা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তারসহ এলাকার আমচাষীরা।