শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীর পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র, মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়।

তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান মন্ত্রী। শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের বেশিরভাগই পাকিন্তান আর্মি ফেরত। যদিও এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, তথাপি তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশরক্ষার জন্য গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিলো আরও একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত হয়েছে, এ যুদ্ধে যুবলীগ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ছোট ছিলো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই জাতিকে তারা শোষণ ও নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান শেখ ফজলে শামস পরশ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

   

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে হলে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। চামড়া শিল্পে মান মাত্রায় কোন ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘চামড়া শিল্প পরিবেশবান্ধব না হলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। এছাড়াও চামড়া শিল্প লাভজনক করতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনগার বা সিইটিপি নতুন করে তৈরি করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল হাই-লেভেল ডায়লগ ফর গ্রিনিং দ্যা ট্যানারি এন্ড লেদার সেক্টর’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নদী মারা গেলে এ ক্ষতি কোনও কিছু দিয়েই পূরণ হবার নয়। পানিতে বিওডি ৩০ এর মধ্যে থাকতে হয়, ধলেশ্বরীর পানিতে আছে চার গুণের বেশি। হেভি মেটাল ২ গুণের বেশি। এতে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসকল ক্ষতির দায় কে নেবে? ব্লেম গেম করা যাবে না। সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধান করতে হবে। যাত্রা নতুনভাবে করতে হবে। ভুল থেকে শিখতে হবে। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই রোল মডেল, চামড়া শিল্পেও রোল মডেল হতে চাই। অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করা আমাদের অগ্রাধিকার। এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে।’

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা; ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ড ফাহমিদা খানম; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ইমেরিটাস ড আইনুন নিশাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিনিস্টার কাউন্সেলর ও হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ড মিশাল ক্রেজা বক্তব্য রাখেন।

এই সংলাপে ট্যানারি ও চামড়া খাতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, পরিবেশবিদ এবং সরকারি প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং খাতটিকে আরও পরিবেশবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও সুপারিশ পেশ করেন।

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাওয়াদের পরিবারের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের পরিবার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় আসিম জাওয়াদের বাবা মো. আমান উল্লাহ, মা নিলুফার আক্তার, স্ত্রী রিফাত আন্তোরা, কন্যা আয়েজা ও পুত্র আয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাক্ষাৎকালে জাওয়াদের মা প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে দুপুর পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান। এর আগে ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামের একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

এর পরপরই পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ প্যারাস্যুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসিম জাওয়াদ পতেঙ্গার নেভি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।

;

বগুড়ায় বোরোর ফলন বেশি, দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। ধানের ফলন এবং দাম ভালো পেয়ে কৃষকও খুশি। ধান চাষের খরচ মেটাতে জমি থেকে কাটা মাড়াই পরপরই ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা।

হাটবাজারে নতুন ধান কাঁচা অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা। জেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

জেলার শাজাহানপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে কৃষক মাঠ থেকে ধান কাটা মাড়াই করে কাঁচা ধান হাটে নিয়ে আসছে বিক্রির জন্য।

শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক এবং পানি সেচের টাকা পরিশোধ করার জন্য ধান শুকানোর আগেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, তিনি কাটারি জাতের ধান কাটা মাড়াই করে পরের দিনই হাটে বিক্রি করেছেন ১২০০ টাকা মণ দরে।

তিনি বলেন, ১১৫০ টাকা থেকে ১২৫০ টাকার মধ্যে ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধান শুকাতে পারলে দাম আরও বেশি পাওয়া যাবে।

বগুড়া সদরের ঘোলাগাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতি বছরই সার, বীজ, কীটনাশক ও পানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ধান চাষে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। একারণে কৃষক দিন দিন ধান চাষ কমিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার ফলনের পাশাপাশি ধানের দাম ভালো।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিতে এবার ধান চাষ এবং কাটা মাড়াই করতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। ২০ মণ ধান পাওয়া গেলে বিক্রি হবে ২৩ হাজার টাকায়। যাদের নিজের জমি তারা লাভবান হলেও বর্গা চাষিদের ধান চাষ করে তেমন লাভ নেই।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বগুড়া জেলায় এক লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল এক লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। তার আগের বছর এক লাখ ৮৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী গত তিন বছরে বগুড়া জেলায় এক হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ কমেছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ার কারণে কৃষক ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। যার কারণে প্রতি বছরই বোরো চাষে জমির পরিমাণ কমছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ বোরো চাষে কৃষকদের উৎসাহ যোগাতে বিভিন্ন সময় প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাতেও বোরো চাষ বাড়ানো যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, কম খরচে অধিক লাভের আশায় ভুট্টা চাষ বেড়ে যাওয়ার কারণেই বোরো চাষের জমি কমছে। তবে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষক লাভবান হচ্ছেন।

;

টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে দুই গৃহবধূর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একদিনের ব্যবধানে সাপের কামড়ে পৃথক স্থানে দুই গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী আরিফা বেগম (২২) ও থলপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার স্ত্রী রুলিয়া বেগম (৪০)।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ও বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর ও থলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার রাতে রুলিয়া বেগম তার বসতঘরের সোফায় বসে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনদের জানালে তারা স্থানীয় এক ওঝাকে দিয়ে ঝাড়ফুঁক করান। এ সময় রুলিয়া বেগম অচেতন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে গৃহবধূ আরিফা তার বাড়ির পাশে বসে তার বাচ্চাকে খাবার খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ এসে তার পায়ে কামড় দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ বলেন, সাপের কামড়ে এক গৃহবধূ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এবং অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। দুই জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;