বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ব্যাপক: এডিবি আবাসিক প্রধান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রধান এডিমন গিনটিং বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে যথেষ্ট। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগ কম। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত করে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত ত্রৈমাসিক মধ্যাহ্নভোজ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির(ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এডিমন গিনটিং বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা জরুরি। সেটি কেবল সাধারণ শিক্ষা নয়, কারিগরি শিক্ষাও থাকতে হবে এবং অব্যশই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এডিবি এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে অর্থনীতির উৎসগুলো বহুমুখী করা জরুরি। এজন্য তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং অর্থনৈতিক সুশাসন বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত, পুঁজিবাজার, রাজস্ব প্রশাসন এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সুশাসন বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

এডিবির আবাসিক প্রধান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন এবং অধিকতর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান বাংলাদেশে একটি বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ এবং ব্যবসাবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এডিবির সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা এবং বেসরকারি খাতে অর্থায়নের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বেসরকারি খাতে এডিবির অর্থায়ন আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান।

   

বরিশালে বইছে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কয়দিন স্বস্তির বৃষ্টির পর বরিশালে চলছে ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহ। এটি গত রাত থেকে শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল নয়টায় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করলেও বাতাসের আর্দ্রতা ৬৮ শতাংশ।

এজন্য এই গরম অসহনীয় অবস্থায় রূপ নিয়েছে। শীঘ্রই বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

কাজের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বলছেন, এই গরমে শরীর যেন পুড়ে যাওয়া অবস্থায়।

সরকারি অফিসের কর্মচারী রিয়াজ হোসেন বলেন, একটু হাঁটলেই শরীর ভিজে চুপচুপ অবস্থা। বার বার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, পানি পান করেও যেন তৃষ্ণা মিটছে না।

আর শ্রমিকরা বলছেন, এমন দুর্বিষহ গরমে কাজে নামা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে ছেদ পড়েছে কামাই রোজগারে। স্বাভাবিক দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যে পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব, আজ হয়নি তার অর্ধেকও। আবার অনেকে তো প্রচণ্ড তাপদাহে কাজেই বের হতে চাচ্ছেন না।

;

তীব্র তাপপ্রবাহে রংপুরে ভ্যান চালকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীতে ফার্নিচারের দোকানে মালমাল তোলার সময় জাফর ওরফে কালু (৪২) নামের এক ভ্যান চালকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে জাহাজ কোম্পানীর মোড়ে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কালুর বাড়ি রংপুর সিটি করপোরেশনের হাসনা বাজার এলাকায়।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, কালু কোম্পানীর মালামাল দোকানে তোলার সময় হঠাৎ বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করে। পরে সকলে মিলে তাকে চেয়ারে বসিয়ে মাথায় পানি দেয়া হয়। এরপর হঠাৎ সে শুয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হিটস্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে কালুর পরিবারের স্বজনরা এসে তার মরদেহ বাসায় নিয়ে যায়।

;

ডেঙ্গু সচেতনতায় জোরদারের তাগিদ ডিএনসিসি মেয়রের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডেঙ্গু সচেতনতায় জোরদারের তাগিদ ডিএনসিসি মেয়রের

ডেঙ্গু সচেতনতায় জোরদারের তাগিদ ডিএনসিসি মেয়রের

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের এলাকায় সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কাউন্সিলরদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ২৭তম করপোরেশন সভার আলোচনায় এই আহ্বান জানান তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী তাদের ঠিকানা সংগ্রহ করে রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালাতে হবে। কাউন্সিলরদের আহ্বান করছি আপনারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে যাবেন, খোঁজ নিবেন। তাদের আশেপাশের মানুষদের সচেতন করবেন।'

মেয়র আরও বলেন, 'স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা করতে হবে, সচেতনতামূলক র‍্যালি করতে হবে। এজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করা, পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা জরুরি। জনগণের মাঝে বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এডিসের লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য নিজেদের ঘর বাড়ি, অফিস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ছাদে, বারান্দায়, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলোতে পানি জমতে দেয়া যাবে না।'

কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, 'খাল উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যার যার এলাকায় খাল দখল রয়েছে এবং দখলদার কারা আমাকে জানাবেন। আপনারা তথ্য দিবেন সেই অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে খাল দখলমুক্ত করা হবে। খাল দখলদারদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না।'

গতবারের মতো এবছরও ডিএনসিসি এলাকার কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে বলে ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

সভায় ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ফারুকের বাগানে শতাধিক জাতের আঙুর, জাপানের সূর্য ডিম আম



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ফারুকের বাগানে শতাধিক জাতের আঙুর, জাপানের সূর্য ডিম আম

ফারুকের বাগানে শতাধিক জাতের আঙুর, জাপানের সূর্য ডিম আম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগানের চারদিকে নিরাপত্তা বেস্টনি। দূর থেকে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি চাষ হচ্ছে। প্রবেশের শুরুতেই চোখে পরে উন্নত জাতের মাল্টার বাগান। কিছুদুর এগিয়ে যেতেই দেখা যায় বাগানে ঝুলছে বাহারী রঙের আঙুর। দুপাশের উঁচু বেডের মাঝ দিয়ে পানি দেয়ার নালায় আগাছা পরিষ্কার করছেন এক দিনমজুর। তারও কিছুদুর এগোতে চোখে পরে হরেকরকম জাতের আম। কোনটি লম্বা, কোনটি গোলাকার, কোনটি আবার জাপানের বিখ্যাত সূর্য ডিম আম।

বিদেশি কোন বাগানের গল্প নয় এটি। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বেলগাছা ইউনিয়নের হরিরাম গ্রামের যুবক আবু রায়হান ফারুক নিজ বাসার পেছনের কয়েক বিঘা উঁচু জমিতে গড়ে তুলেছেন এই বাগান। বেশিদিন পুরোনোও নয় এটি। ২০২০ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান থেকে অনার্স শেষ করার পর উদ্যোগ নেন এমন বাগানের। জমি প্রস্তুত করে ২০২২ সালে রোপণ করেন মাল্টা, আঙুর ও বিদেশি কিছু জাতের আম। সেগুলো দুই বছরের মাথায় এখন ফলন দেয়া শুরু করেছে। মোটামুটি ভালো অঙ্কের বিনিয়োগের পর এখন লাভের অঙ্ক গুনতে শুরু করেছেন ফারুক।


বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এই বার্তা২৪.কম এর এই প্রতিবেদককে বাগানটি ঘুরে দেখান বাগানটির উদ্যোক্তা আবু রায়হান ফারুক।

আবু রায়হান ফারুক বলেন, আমি ২০২২ সালে এক বিঘা জমিতে আঙুর চাষ শুরু করি। ২০২৩ সালে কিছু জাতে ফলন পাই । এবছর প্রায় শতাধিক জাতের মধ্য থেকে  ৪০ টিরও বেশি জাত থেকে ফলন পেয়েছি। এই আঙ্গুল ফুলের যে কালার এবং কোয়ালিটি, আমরা বহির্বিশ্ব থেকে যে আঙুর গুলো আমদানি করে আনছি সেগুলোর তুলনায় কিন্তু এগুলো একই রকম। আমাদের দেশেও এগুলো সম্ভব। সরকার যদি এগিয়ে আসে তাহলে যুবককেরা আঙুর চাষে সফল হতে পারে। এতে বেকারত্ব যেমন দূর হবে, তেমনি আমাদের ফলের চাহিদা আমাদের দেশেই পূরণ করা সম্ভব। আঙুরের পাশাপাশি আমার বাগানে কয়েক জাতের মাল্টা, ডালিম, লটকন এবং ১৫ টির মতো বিদেশি জাতের আম রয়েছে। দুই বছরের মাথায় আমি মাল্টা এবং আম থেকে ফলন পাচ্ছি।


তিনি আরও বলেন, ফল বিক্রির পাশাপাশি আমি আঙুরের চারা বিক্রি করে থাকি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাকে প্রায় প্রতিদিনই কুরিয়ার করে পাঠাতে হয়। আশা করছি এই বছরে এই বাগান থেকে ফল ও চারা মিলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারব। কোন ব্যক্তি যদি এমন বাগান করতে চান তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করলে তাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

ফারুকের বাগান দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরতে আসেন দর্শনার্থীরা। এমনি একজন ঘুরতে আসা যুবক সালমান দিদার আজমী বলেন, আমি এখানে এসে খুবই অভিভূত। আমার বন্ধু কষ্ট করে এই বাগানটি দাঁড় করিয়েছে। কুড়িগ্রামের মাটিতে আঙুরের এমন চাষ হয় সেটা এখানে আসলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাছাড়া টাটকা আঙুর ও বিদেশি অনেক জাতের ফল কেনার সুযোগও এখন আমরা পাবো।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি কুড়িগ্রামের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফারুক একজন তরুণ উদ্যোক্তা। সে আঙুরের পাশাপাশি মাল্টা এবং আম চাষ শুরু করেছে। কুড়িগ্রামের আবহাওয়া আঙুরের ফলন কেমন হয় এটির জন্য আমরা ফারুকের আঙুর বাগানের খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় তাহলে আমরা কুড়িগ্রামে সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করবো। এজন্য তাকেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হবে।

;