বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি: সিলেটে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি ও ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ করায় সিলেটে ৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬মে) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার আহারগাঁও গ্রামের মো.ওয়াব আলীর ছেলে ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবু ছুফিয়ান মামলাটি দায়ের করেন। সাইবার মামলা নং-১৩২/২০২৪ইং।
মামলার আসামীরা হলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ থানার চিনির চক মুন্সিপাড়া গ্রামের শামসুল হক লস্করের ছেলে আবুল কালাম আজাদ লস্কর(২৮), মৌলভীবাজার থানার জুড়ি উপজেলার জারফর নগর গ্রামের মো.মুজিবুর রহমানের ছেলে এবাদুর রহমান(২৮), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের এনায়েত নগর গ্রামের মো.জাহাঙ্গীর আলম(৩০), গোলাপগঞ্জ থানার ফতেহপুর ভাদেশ্বর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলাম মাহি (২৬), সুনামাগঞ্জের দোয়ারাবাজারের উনগ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে রফিক উদ্দিন (৩০) ও কানাইঘাট থানার বড়দেশ উত্তর গ্রামের মো. এখলাছুর রহমানের ছেলে মো.আব্দুল্লাহ নাঈম(২৬)।
সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মো.মনির কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ছাতক থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আমিনুল হক খান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবু ছুফিয়ান দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ছবি প্রচার করে আসছেন। তার সেই সব ছবিতে কমেন্টে আসামীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করে। এছাড়াও আসামীরা বিভিন্ন সময় তাদের নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি ও ফেইক আইডি খুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। এসব ব্যাপারে বাধা দিলে তারা আরও বেশী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একজন সচেতন নাগরিক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে সাইবার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে মামলাটি দায়ের করেন আবু ছুফিয়ান।
উপজেলা নির্বাচন
১৫৭ উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ১৫৭টি উপজেলায় আগামী ২১ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অফ বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। যা গতবারের তুলনায় ৪ লাখ ৪৪ হাজারটি বেশি। এছাড়াও এবার সারা দেশে ৩ হাজার গরুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপণ, সরবরাহ ও অবাধে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেন ঢাকায় আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ মন্তব্য করেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, আগামী কোরবানি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার প্রস্তুত। কোরবানিকে সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও কোরবানির চামড়া যেন অবৈধপথে পাচার হতে না পারে তার জন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেউ যেন পশু আনা নেওয়াতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে, তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবে। খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় তার জন্যও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামগ্রিক অর্থে আগামীর কোরবানি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
চাঁদাবাজি বন্ধে সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যা করা দরকার তা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিটি বাজারে পুলিশ কেন্দ্র থাকবে। এবারের কোরবানির জন্য সারাদেশে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি গরু প্রস্তুত আছে।
এ বছর কোরবানিতে ১ কোটি ৩৯ হাজারের বেশি চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে কোনো গরু যেনো দেশে না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোন সুযোগ নাই।
এ সময় সভায় খামার প্রতিনিধির লোকজনও উপস্থিত ছিল।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে জোড়াতালির সংস্কার, নতুন দুর্ভোগে মানুষ
কিশোরগঞ্জ ভৈরব আঞ্চলিক সড়কে এমনিতেই সমস্যা আর সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে ধুলোবালি৷ বালি পাথর ও নুড়ি দিয়ে রোলার করা হচ্ছে রাস্তার গর্ত গুলোতে। এভাবেই একসপ্তাহ ধরে রেখে দেওয়ায় গাড়ি চলাচলের ফলে এগুলো বাতাসে মিশ্রিত হয়ে মানুষের চোখেমুখে লাগছে৷
এতে চালক ও চলাচলরত মানুষের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে৷ রাস্তায় এই জোড়াতালি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়ে সমস্যার মাত্রা আরও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে বিষয়টি জরুরী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক ও জননপথের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ- ভৈরব মো. মাইদুল ইসলাম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কটিয়াদীর আচমিতা জর্জ স্কুলের পাশের সড়কে বালু ও ছোট পাথর ফেলে রাখা হয়েছে একসপ্তাহ ধরে। স্কুলের শিক্ষার্থীরা মুখে রুমাল চেপে যাচ্ছে৷ কারো চোখে বালু পাথর ডুকে চোখ লাল হয়ে গেছে৷ চালকদের চোখে বালু পড়ে আহত হচ্ছে৷ এতে ঝুঁকি বেড়েছে। সড়কজুড়ে খানাখন্দ। উঠে গেছে পিচঢালাই। কোথাও কোথাও সড়কের এক পাশ দেবে গেছে। আবার অন্য পাশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। কোথাও আবার ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়া হয়েছে।
অথচ ২০১৯ সালের শেষ দিকে ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ প্রায় ৬০ কিলোমিটার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কারকাজ করে। সাড়ে তিন বছর যেতে না যেতেই সড়কটির প্রায় ১৫ কিলোমিটার আবারও খানাখন্দে ভরে গেছে। কোথাও এবড়োখেবড়ো হয়ে দেবে গেছে। কোথাও আবার পিচ ও ইটের টুকরো স্তূপ হয়ে আছে।
পথচারী সজীব আহমেদ বলেন, দুর্ভোগ যেখানে কমার কথা সেখানে বাড়লো আরো৷ ধুলাবালুর জন্য চলাচল করা যাচ্ছেনা৷ এই সমস্যা কারো চোখেই যেনো পড়ছেনা৷'
কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজিতপুরের উজানচর মোড়ের আগ পর্যন্ত অন্তত তিন কিলোমিটার সড়ক পর্যন্ত এবড়োখেবড়ো হয়ে আছে। খানাখন্দের জায়গা দিয়ে গাড়ি ধীরে ধীরে চলাচল না করলে উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। এরপর উজানচর মোড় পার হয়ে কুলিয়ারচরে শেষ হয়ে ভৈরব পর্যন্ত আরও অন্তত ১০ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও নাজুক। সব মিলিয়ে মহাসড়কটির কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা হলেও সওজ কর্তৃপক্ষের দাবি সাত কিলোমিটার সড়কের সমস্যা।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ১৮ থেকে ৩০ ফুটে প্রশস্তকরণ করা হয়। প্রায় ৬০ ফুট সংস্কারকাজে ব্যয় হয় ১৮৮ কোটি টাকা।
সওজ কিশোরগঞ্জের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী,কিশোরগঞ্জ, ভৈরব) মো. মাইদুল ইসলাম বার্তা ২৪.কম'কে বলেন, কিছু স্থানে বালু ও পাথর ফেলা হয়েছে৷ এগুলো লেভেল হতে কয়দিন সময় লাগে৷ ধুলাবালির সমস্যা হচ্ছে বিষয়টি জানতাম না৷ দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
এছাড়ও কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কটি ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত কিলোমিটার সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।