গফরগাঁওয়ে শিয়ালের কামড়ে আহত ৪



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শিয়ালের কামড়ে ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন বনগ্রামের পারুল (৪৫), মোজাম্মেল (৫০) ও সরইকান্দা গ্রামের রিয়েল (৩২), মিজান (১৮)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রোববার রাতে গৃহবধূ পারুল বাড়িতে ধানের কাজ করছিলেন। হঠাৎ শিয়াল এসে হাতে কামড় দেয়। আত্মরক্ষায় তখনই পারুল পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এরপর মোজাম্মেল তার বাড়িতে শিয়ালের আক্রমণে শিকার হন।

বনগ্রাম বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে রিয়েল ও মিজান শিয়ালের কামড়ে আহত হয়। গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মো. আলামিন বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত হয়েছে চারজন তবে শিয়ালটিকে এখনো মারা যায়নি। এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকার মধ্যে।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহতরা রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে আমাদের কাছে ভ্যাকসিন না থাকায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আগামীতে আমাদের হাসপাতালে ভেকসিনের ব্যবস্থা করা হবে।

   

নওগাঁয় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমের নতুন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নওগাঁ জেলায় এবার চলতি মাসের ২২ তারিখ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। ওই দিন থেকে গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। তাই সুস্বাদু আম খেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

প্রশাসনের বেধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২২ মে গুটি জাতের আম, ২৮ মে থেকে গোপালভোগ, ২ জুন ক্ষীরসাপাত/হিমসাগর, ৭ জুন নাক ফজলি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন ফজলি, ২২ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি ও কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- গুটি (স্থানীয় জাতের আম) ২২ মে, গোপালভোগ ৩০ মে, ক্ষীরশাপাত, হিমসাগর ২ জুন, নাকফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া-হাড়িভাঙ্গা ১০ জুন, আম্রপালি ২০ জুন, ফজলি ২৫ জুন এবং আশ্বিনা/বারি-৪/বারি-১১/গৌড়মতি/কাটিমন ১০ জুলাই পাড়ার ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়।

এ বছর ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান গড়ে উঠেছে। যা থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা। ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি আমচাসহ দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে।

জাত ভেদে আম বাগানের পরিমাণ নাকফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি ১ হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, ক্ষীরশাপাত ১ হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ আম ২ হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, হাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশ্বিনা ২ হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি/ স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮ হাজার ৪২২ হেক্টর। জেলায় যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে তার মধ্যে আম্রপালি ৬০ দশমিক ৮০ শতাংশ।

বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের স্বত্বাধিকারী সোহেল রানা বলেন, 'এবার প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। কৃষিচর্চা অনুসরণ করে বাগান করা হয়েছে।'

সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আমচাষি নূর বলেন, 'আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বাগানের পরিমাণ। আমের মুকুল থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিঘাতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে এ বছর খরায় আরও ৪-৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ কিছুদিনের মধ্যে আম বাজারজাত করা হবে। গাছে আমের পরিমাণ কম হলেও দাম ভালো পেলে পুশিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন- গত বছর নওগাঁ থেকে ২২০ মেট্রিক টন আম করা রপ্তানি হয়েছিল। গতবছর বাংলাদেশ থেকে ৩১০০শ' মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এবার নওগাঁ থেকে আমাদের টার্গেট, মিনিমাম ৫০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করবো। এ উপলক্ষে আমরা কাজ করছি। এজন্য যারা বিদেশে আম রপ্তানি করে তাদেরকে নিয়ে এসে বিভিন্ন আমের বাগান ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছি। চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হতে পারে। এ মাসে রপ্তানিকারকদের একটা দল শুক্রবার-শনিবার সাপাহারে আসছে।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (১৫ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫২৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৫৫০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়। 

;

খাগড়াছড়িতে চলছে ইউপিডিএফ’র সড়ক অবরোধ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিল, রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ এবং পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকা আধাবেলা সড়ক অবরোধ চলছে।

বুধবার (১৫ মে) ভোর ৬ টা থেকে খাগড়াছড়ি সদরের ফায়ার সার্ভিস, নারায়ণখাইয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং করতে দেখা যায়।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। অবরোধ চলবে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।

শহর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হওয়ার দিন ধার্য্য রয়েছে। এ নিয়ে পাহাড়িদের বিভিন্ন সংগঠন কয়েক স্থানে বিক্ষোভ পালন করছে।

;

'আমাদের রাত গিয়ে আজ সকাল হয়েছে'



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'আজকে আমরা ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দিত। আমাদের সন্তানেরা আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। এর থেকে বড় আনন্দের আর কি হতে পারে! স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আমাদের রাত গিয়ে আজ সকাল হয়েছে।'

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে ৫টার দিক চট্টগ্রাম বন্দর জেটির নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বসে বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদককে ছেলে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি এভাবে তুলে ধরলেন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের অয়েলার আইনুল হকের মা লুৎফে আরা বেগম।

এসময় আইনুলের মা ছেলে জিম্মিদশা অবস্থায় থাকা দিনগুলো কথা জানান। বলেন, 'ওরা যখন জিম্মি ছিল ওই সময়টা আমি এত বেশি অসুস্থ হয়ে যায়, একদিন রাতে তিনটায় ডাক্তার আনতে হয়েছিল। ডাক্তার সব চেকআপ করে দেখে আমার কোন সমস্যা নেই। বলেছেন, দুশ্চিন্তা করার কারণে আমার এমন হয়েছে। তখন আমাকে ঘুমের ওষুধ দেন, পুরো রোজার মাস ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকতে হয়েছে।'

'ঈদের সময় তো আমরা ঈদ পালন করিনি। ওই সময়টা আমাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা এবং উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। আমরা চেয়েছি ঈদের দিনটা খুব তাড়াতাড়ি চলে যাক। তখন আমাদের ছেলেরা জিম্মি ছিল।'

ছেলে ফিরে আসায় আনন্দের যেন সীমা নাই ৫০ বছর বয়সী লুৎফে আরা বেগমের। তিনি বলেন, 'ছেলেরা মায়ের বুকে ফিরে এসেছে এর থেকে বড় আনন্দের কি আছে। সেই জিম্মি মায়ের ছেলে মায়ের বুকে ফিরে এসেছে। এর থেকে বড় আনন্দে আর কিছু হতে পারে না। প্রথমে জাহাজ থেকে নামা মাত্র ছেলেকে আমি জড়িয়ে ধরেছি। এখান থেকে গিয়ে ওর পছন্দ অনুযায়ী রান্না করব। ওর বন্ধুরা আসবে তাদের জন্য আয়োজন করব।'

ছেলেকে আবার জাহাজে যেতে দেবেন কি-না জানতে চাইলে আইনুলের মা বলেন, 'আমার ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক। সেটি তার ইচ্ছা ও উপর নির্ভর করছে। সে যদি যেতে চায় তাহলে অবশ্যই যাবে। আর তাছাড়া দুর্ঘটনা তো পৃথিবীর যেকোনো কিছুতেই হয়, শুধু জাহাজে জলদস্যু আক্রমণ করে এমন তো না। মানুষের জীবন-মৃত্যু হচ্ছে আল্লাহর হাতে। দুর্ঘটনা তো যে কোন জায়গায় হতে পারে।

আইনুলরা দুই ভাই। তাদের কোনো বোন নেই। করোনার সময় বাবা মারা যান। বাবার কিছু ব্যবসার টাকা ও আইনুলের আয় দিয়ে চলছে সংসার। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে পড়ছেন ছোট ভাই মাইনুল হক। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে৷ তবে ছোট ছেলেকে নিয়ে নগরীর কাজির দেউরিতে বসবাস করেন করছেন মা লুৎফে আরা।


ছেলে জাহাজ থেকে আসলে ঘরে নতুন বউ তোলার আশা বেঁধে রেখেছিলেন আইনুলের মা। আজ ছেলেকে কাছে পাওয়ার পর সেই কথা জানালেন লুৎফে আরা বেগম। বললেন, 'আমার কোন মেয়ে নেই দুইটি মাত্র ছেলে। এর মধ্যে আইনুল বড়। এখনো বিয়ে করেনি। এবার যেহেতু দেশে ফিরেছে ইনশাল্লাহ বিয়ে করানোর ইচ্ছা আছে। মেয়েও দেখতেছি। সবাই দোয়া করবেন ছেলের জন্য যাতে একটি ধার্মিক ও ভদ্র মেয়ে আমি পাই।'

এদিন বিকেল চারটায় ২৩ নাবিককে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে ভিড়ে লাইটার জাহার এমভি জাহান মনি। এর কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই নাবিকদের এক নজর দেখতে বন্দর জেটিতে ভিড় করেছেন নাবিকের স্বজনরাসহ শতশত মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে ২৩ নাবিক নিয়ে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। বিকেল চারটায় অবসান হয় দীর্ঘ দুমাসের অপেক্ষার। এর মধ্যেই শুরু হয় নাবিকদের বরণের উৎসব। লাল রঙের জাহাজটি বন্দরে ভিড়ার কয়েক মিনিট আগে থেকেই নাবিকরা দূর থেকে হাত নেড়ে জানান দেন, আমরা এসেছি! এদিকে জেটিতে থাকা স্বজনরাসহ সকলে তাদেরকে হাত উঁচিয়ে স্বাগত জানায়। এরপর ৪টা ১৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে একে একে নেমে আসেন ২৩ নাবিক। নাবিকদের বরণ করে নেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করেছিলেন নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা। নাবিকদের কাছে পেয়ে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয় জেটি এলাকায়।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৬টায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ২৩ নাবিকসহ নোঙর করে এমভি আব্দুল্লাহ।

এমভি আব্দুল্লাহতে ছিলেন যে ২৩ নাবিক:

জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন জাহাজটি ৩২ দিন জলদস্যুর কাছে জিম্মি থাকে। এরপর ১৪ এপ্রিল মুক্তিপণ দেওয়ায় জাহাজ থেকে নেমে যায় জলদস্যুরা।

;