২১ বছর পর হত্যা মামলার ১৯ আসামির যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রায় ২১ বছর পর ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। এ সময় ১৯ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হরেন্দা গ্রামের বাসিন্দা মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে আলম, আ. সাত্তারের ছেলে দোলা, ওসমান, কোরমান, আ. গফুরের ছেলে আজাদুল, খলিল আকন্দের ছেলে লাবু, বাবু, আমিনুর, মৃত বিরাজ উদ্দীনের মন্ডলের ছেলে ফারাজ মন্ডল, সুন্নত আলীর ছেলে শুকটু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে উকিল, ভরসা আকন্দের ছেলে দুলাল, আলতাফ আলীর ছেলে আলীম, নজরুল, আ. গফুরের ছেলে সাইদুল, ভরসা আকন্দের ছেলে সানোয়ার, আ. ছাত্তার প্রধানের ছেলে সাইফুল, কফিল উদ্দীনের ছেলে কালাম ও সুলেমান আকন্দের ছেলে জহুরুল।
আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে ধরে আসামি আলমের বাড়িতে নিয়ে যায় অন্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে লাঠি, লোহার রড়, সাইকেলের চেইন, কারেন্টের তার দিয়ে নির্মমভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে ঘটনার পরের দিন ২৩ নভেম্বর পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ কর্মকর্তা ২০০৪ সালের ২৫ জুন আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় দেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল ছিদ্দিকী ও সোহেলী পারভীন সাথী।