চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা স্থগিত করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তীতে এরকম কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুনরায় ধর্মঘট দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় জেলা প্রসাসক প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা উনার ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছি এখানে। আমরা তার প্রতি সম্মান রেখে বলবো, চুয়েটে যে দুইজন ছাত্র নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং একজন আহত হয়েছেন তার জন্য আমরা মর্মাহত। ওই ছেলেদের আমাদের পক্ষ থেকে কিছু সহযোগিতা দিয়েছি। এরপর আমাদের তিনটা গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের তিনটা গাড়ির বিষয়ে প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা উনার আশ্বাসকে সাধুবাদ জানাই।’

তিনি‌ আরও বলেন, 'আমরা গাড়ি চালানোর জন্য ব্যবসা করি। আমাদের কাপ্তাই সড়কের চুয়েটের সামনে বর্তমানে যে বিবাদমান আন্দোলন, এই আন্দোলনে আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত। জানি না আবার গাড়ি চালাতে গিয়ে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত হবো কিনা। তারপরও ডিসি মহোদয় আমাদেরকে বলেছেন, উনার কথায় আস্থা রেখে আমরা গাড়ি ছাড়ব। আমাদেরকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে, যদি আমাদের কোন গাড়ি যদি সেই দুর্ঘটনা বা আক্রমণের শিকার হয় অথবা আমাদের এবি ট্রাভেলস বা শাহ আমানতের কোন গাড়ি যদি ইচ্ছাকৃত কোন আক্রমণের শিকার হয়, উদ্ভূত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আমরা পুনরায় ধর্মঘট শুরু করব। জেলা প্রশাসকের আহবানে আমরা জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে ধর্মঘট স্থগিত করলাম।'

বৈঠকে মনজুর আলম বলেন, ‘কাপ্তাই সড়কে গাড়ি চললে চট্টগ্রামের সব সড়কে গাড়ি চলবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা। আমরা সবমসময় সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আমরা গাড়ি চালাবো। আপনাতত আমাদের দাবিগুলো আপনি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন আমরা আপনার আশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

এর আগে সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘আপনারা যে দাবিগুলো বলেছেন তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তার বিষয়ে আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা গাড়িগুলো চালান আমরা নিরাপত্তা দেব। প্রয়োজনে পুলিশ স্কোয়ার্ড ও আমাদের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আর হামলায় গাড়িগুলো কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটি বিআরটিএ দেখবে। এরপর আমরা সেটির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবো। ক্ষতিপূরণের জন্য মাননীয় মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলব। যাতে আপনাদের তিন গাড়ির ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যায়।’

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, দুইজন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার পর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি সেখানে খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। গাড়িগুলো যাওয়া আসার সময় সামনে পেছনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ স্কোয়াড থাকবে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘সড়কের মধ্যে দাড়িয়ে যে চাদাঁবাজি করা হচ্ছে সেটি বন্ধ করুন। না হয় আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। সড়কে যত্রযত্র গাড়ি থামানো যাবে না। মামলা প্রত্যাহারের যে দাবি তোলা হয়েছে সেটি আসলে তদন্তের আগে জানানো সম্ভব নয়। আর গাড়ি পোড়ানোর বিষয়ে মামলা কেউ করতে চাইলে করতে পারবে।’

বিআরটিএ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর মাথায় হেলমেট ছিল না। মোটরসাইকেলেরও নিবন্ধন ছিল না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ ছাড়া যে বাসটি মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে, সেটা ছিল ফিটনেসবিহীন। চালকের লাইসেন্স ছিল না।’

সভায় পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহেবুবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদ। পরে অবশ্য তিনটি পরিবহন সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু, এই সংগঠগুলো টেম্পো জাতীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট। ফলে তাদের প্রত্যাখানে তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

   

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে ১ হাজার ৫৬৩ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, গুজবে কান দিবেন না। অতিউৎসাহী হয়ে আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করা যাবে না। এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের ভোটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভোট প্রদানের পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল।

এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যেন এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাইকে এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাই আইনের লঙ্ঘন ও ভোটের পরিবেশ নষ্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শামীম আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে কাজ করছে। প্রতিটি প্রার্থী আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রার্থীদের জন্য যেমন আইন রয়েছে, তেমনি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। সেই আইন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে প্রয়োগ করা আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় বলা হয়, ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকবে। প্রিসাইডিং অফিসারদের নির্ভয়ে অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে দূর্গাপুর উপজেলায় ১৪ ও ১৫ মে দুই দিনব্যাপী ৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪৯৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯৯২ জন পোলিং অফিসারকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এছাড়াও ৬৭ টি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ধরে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে ভোট কক্ষ ধরা হয়েছে ৪৭২ টি। দূর্গাপুর উপজেলায় হালনাগাদ সহ এবারে মোট ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮০ হাজার ৫১ জন, নারী ভোটার ৭৯ হাজার ৮৮১ জন এবং হিজড়া ভোটার এক জন।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও দূর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত কর্মশালায় দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক, পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরীসহ প্রিসাইডিং অফিসার, দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ইসলাম সহকারীসহ প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারবৃন্দ।

;

খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯

খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন, আহত ৯

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার রূপসা উপজেলায় এক ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে আরেক ভাই নিহতের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের বামডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রসুল মিনা এবং তার চাচাতো ভাইদের সাথে কথা কাটাকাটি। পরে বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি এবং লোহার রড নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করে। হামলায় ইকতিয়ার মিনার ছেলে রসুল মিনা (৪২) কে প্রতিপক্ষরা হাতুড়ি দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রসুল মিনাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

অপরদিকে ঐ সংঘর্ষে রসুল মিনার ভাই আতাহার মিনা (২৮), ফারুক মিনা (৩২), পান্না মিনা (৩০) জখম হন। অপর পক্ষের আজাদ মিনার পুত্র ইলিয়াস মিনা (৬৫), টুকু মিনার পুত্র মোস্তাক মিনা (৪৫), আমজাদ মিনার পুত্র টুকু মিনা (৭০), ইলিয়াস মিনার পুত্র শাকিল মিনা (২৫), হাবিব মিনা (২৮) এবং আলামিন মিনা (৩৮) জখম হয়।

আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের এবং বামনডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে রসুল মিনা নিহত হয়েছে। দুপক্ষ একে অপরের আপন চাচাতো ভাই। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের দুই মেয়ে এবং এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

;

মহাখালীতে 'গেটলক সিস্টেম' নিয়ম না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যানজট নিরসনে রাজধানীর মহাখালী চালু আন্তঃজেলা বাসের গেটলক সিস্টেম না মানলে বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত 'ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪' উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগরী এলাকায় মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল জানিয়ে তিনি বলেন, টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায় সেই গাড়িগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলতো। এটিই মহাখালীত এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।

মহাখালী বাস মালিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্ক করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানা ইতিমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্ক করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসেছে। এতোদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।

তিনি বলেন, একই রাস্তায় তিন রকমের গাড়ির গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো গাড়ি যদি ওভারটেকিং করতে যায় তাহলে দুর্ঘটনা বাড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। আমাদের ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে তিনি ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

গাড়ির মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে সেসব গাড়ি রাস্তায় কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, চেয়ারপারসন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।

;

`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই'

`স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই'

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক শফিকুর রহমান বাদশা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট মানুষ প্রয়োজন, স্মার্ট শিক্ষার্থী প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষকদের জ্ঞানার্জন ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নাই।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অডিটোরিয়ামে ছাত্র কল্যাণ পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান-২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ শুরু করেন, তখন উন্নয়ন বিরোধী শক্তি কটূক্তি করে বলতো- ডিজিটাল আলু-বেগুনের দাম কত? এখন আর তাদের মুখে কথা বের হয় না। কারণ তারাও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক মানে এই নয় যে টাইটুই লাগিয়ে, হাফ প্যান্ট পরা স্মার্ট। আজ আমাদের সবার হাতে হাতে মুঠোফোন। কৃষকরাও মুঠোফোন ব্যবহার করছে। আজ ঘরে ঘরে ডিজিটাল ডিভাইস। সরকারি প্রায় সকল সেবা আজ ডিজিটাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল ল্যাব। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট গভারনেন্সের সুবিধা পাচ্ছি। এতে আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল বাঁধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আধুনিক জ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার মধ্যে দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

এমপি বাদশা বলেন, একটা সময় বিনা পয়সায় আমাদের ফাইবার ক্যাবল দিতে চেয়েছিলো বিএনপি। কিন্তু তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে অজুহাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সে ক্যাবল স্থাপন করেননি। সে সময় ক্যাবল স্থাপন হলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো।

বক্তব্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষক সমাজের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সাংসদ বলেন, এটা সত্য যে আমাদের বাজেটের আকার বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষায় বাজেটের আকার বাড়েনি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমি মহান সংসদেও সোচ্চার রয়েছি। এসময় রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজশাহী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শওকত আলী খান।

এসময় রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. আব্দুল খালেক, নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কালাচাঁদ শীল, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী, ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নির্বাচন কমিশনার ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন শাহ ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;