বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের

বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহত্তর চট্টগ্রামে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরুর ডাক দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতারা বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ বা অন্য যারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত সবাই সরকারি দলের নেতা বা কর্মী। আর তারাই বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দাবি আদায়ের জন্য জনগনকে বারবার জিম্মি করেন। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। সরকার দলীয় নেতা/কর্মী হিসাবে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যে সমস্ত মূল্যবান জীবন হারিয়ে যাচ্ছে, তার ক্ষতিপূরণ কি কোনভাবেই সম্ভব? অথচ তারা অদক্ষ চালক, লাইনেসন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ী চালানো বন্ধ করলে এঘটনার অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হতো। আর এই চিহ্নিত স্বার্থান্বেষী মহল গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি, নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদবাজি অব্যাহত রাখতে দেশবাসীকে জিম্মি করে বারবার এ ধরণের ষডযন্ত্রমুলক কাজে জড়িত হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেবার কারনে এ ধরনের ঘটনার পূনঃরাবৃত্তি ঘটছে। এই মহলটি জনগণের বহুল প্রত্যাশিত নতুন সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়ে আইন বাস্তাবায়নে বাধা দিচ্ছে।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে প্রণোদনা দেবার কারনে তারা বারবার জনগনকে জিম্মি করে এ ধরনের অবৈধ ধর্মঘট ও কর্মবিরতি আহ্বানসহ আইন প্রয়োগে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে বারবার বাধা দিলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুরস্কার হিসাবে তাদেরকে মন্ত্রী, এমপি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা বানাচ্ছে আর এ খাতে অন্যতম অংশীজন ভোক্তারা কোন প্রণোদনাতো দূরের কথা আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সদস্যও হতে পারছে না। ফলে সড়কে নৈরাজ্য থামছে না। সড়ক পরিবহন খাতে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের বেলায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই মিলে তাদের মতো করে যাবতীয় নীতি প্রণয়ন ও সবগুলি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারন জনগণকে। বিএরআটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ করে প্রতিকার পাওয়া কঠিন, কারন সবকিছুর ওপর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাই সবকিছুর ওপর রাজত্ব করছে। সড়ক পরিবহন খাতে নৈরাজ্য থামাতে হলে ভোক্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সম অংশগ্রহন নিশ্চিত জরুরি।

গণপরিবহন সেক্টরে যেকোন দাবি-দাওয়া আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, একশ্রেণীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা আইন প্রয়োগের আগেই আইন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ও ভীতি সৃষ্ঠি করে পরিবহন সেক্টর উত্যপ্ত করছে। দাবি আদায়ের নামে জনগনকে জিম্মি করে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেশকে অচল করার ষড়যন্ত্র থেকে বেড়িয়ে এসে জরুরী ভিত্তিতে কর্মবিরতির নামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন জানান, গণপরিবহন, শ্রমিক ও মালিকরা দেশের আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বারংবার দেশের জনগনকে জিম্মি করে দাবি আদায় করার কারনে তারা বেপরোয়া হয়ে গণপরিবহনের লাইসেন্স, ফিটনেসবিহীন গাড়ী চালিয়ে মানুষ হত্যা করবে আর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার করতে চাইলেই মানুষকে জিম্মি করে ঘর্মঘট ডাকবে এটা নিছক বর্বরতা ছাড়া কিছুই নয়। তারা যদি আইনের শাসনে প্রতি বিশ্বাসী হয় তাহলে আইনগতভাবেই তাদের বিরুদ্ধে কোন অন্যায় হয়ে থাকলে তার প্রতিকার চাইতে পারতো। একই সাথে নিরাপদ গণপরিবহনের দাবিতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

এর আগে, গতকাল শনিবার দুপুরে এক জরুরী সভার শেষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বাসের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরিবহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাকে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণ পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

   

বাংলাদেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে: বদিউল আলম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টায় সিলেট নগরীর অভিজাত হোটলে সচেতনতা, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ স্লোগানকে ধারণ করে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভার প্রধান আলোচক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বলতে গেলে বাংলাদেশের নির্বাচন নির্বাসনে চলে গেছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে উঠেছিল। আমরা যুদ্ধ করেছি অধিকার আদায়ের জন্য। কিন্তু এখন অনেক নাগরিকের অধিকার খর্ব হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে। উন্নয়ন হয়েছে দেশের কিন্তু উন্নতি হয়নি। যখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় তখন কর্তৃত্ববাদের সরকার গঠিত হয়। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করবেন, তাদের ভূমিকা আছে। নাগরিক সমাজেরও ভূমিকা আছে। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে ধস নেমেছে। বুদ্ধিভিত্তিক রাজনীতি নেই এখন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও সুজনের যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

;

নিখোঁজ যুবককে পাওয়া গেল মিল্টনের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেলিম মিয়া

সেলিম মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়ার সন্ধান মিলেছে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে। উদ্ধার সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ- তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এরই মাঝে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে সেখানে সেলিমের ছবি দেখতে পান স্বজনরা। তারপর গত মঙ্গলবার সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে যান এবং তাকে শনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘদিন পর সেলিমকে পেলেও ছেলের অসুস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রাবিয়া খাতুন। তিনি বলেন, আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সুস্থ ছিল। এখন সে খুবই অসুস্থ। তার কিডনি নিয়ে গেছে আশ্রয়দাতারা। এ সময় তিনি সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখান।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, আমার সুস্থ ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে সন্দেহ, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, পরিবারের লোকজনকে সেলিমের চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষা করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে কিডনি বিক্রি করা হয়েছে কি না।

;

সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন

সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরোপুরি নিভে গেছে চাঁদপাই রেঞ্জের সুন্দরবনে লাগা আগুন। বনের কোথাও আগুন নেই। আগুন লাগার কারণ জানতে ৪ মে গঠিত হয়েছিল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও তখন জানানো হয়। তবে দুই কার্যদিবস হাতে রেখে আগুনের কারণ বের করতে আরও ৭ কার্যদিবসের সময় নিয়েছেন গঠিত তদন্ত কমিটি।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিমের কাছ থেকে তদন্ত কমিটি এই সময় নেয়।

বন বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব শনিবার (১১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করতে গঠিত বিশেষজ্ঞ আরেকটি টিমকে সহযোগিতা করতে হয়েছে। তাই আগের সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ বের করতে বিলম্ব হয়েছে। এজন্য দুই কার্যদিবস হাতে রেখে আরও সাত কার্যদিবসের সময় নিয়েছি।'

এদিকে আগুন লাগার পরদিন রোববার (৫ মে) আগুনে সুন্দরবনে ক্ষতিগ্রস্ত জীববৈচিত্র্যের পরিমাণ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। সেসময় ওই টিমকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী।

এর আগে তিনি ওইদিন ঢাকা থেকে ছুটে এসে সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান বন সংরক্ষক জানান, সুন্দরবনে বর্তমানে কোথাও আগুন নেই। পর্যবেক্ষণের জন্য কাজ করছে একটি টিম।

এর আগে পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ বের করতে ওই দিনই (৪ মে) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। পরে ৪৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বনরক্ষকী, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

;

তিন মাসের মধ্যে ড্রায়ার মিলে ঝরনা লাগানোর নির্দেশ



ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কালো ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। মিল থেকে নির্গত রাইস ব্রান মানুষের চোখে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। এসব বিষয়ে বার বার মিল মালকদের সময় দেয়া হলেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণমুক্ত রাখার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত রাখাসহ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিধি-বিধান মেনে অত্র উপজেলাধীন অটোরাইস মিল ও চাতাল কলসমূহের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে করণীয় বিষয়ে চাতাল মালিক ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মিল মালিকদের তিন মাসের মধ্যে রাইস ব্রান, ছাই ও কালো ধোয়া বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে মিল মালিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন। তিনি উপস্থিত থেকে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কাল ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে তিন মাসের সময় বেধে দেন। পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত মিলগুলো থেকে যেন কালো ধোয়া ও রাইস ব্রান বাতাসে না মিশে এজন্য ব্যবস্থা নেয়ার চূড়ান্ত সময় বেধে দেয়া হয়।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বশাকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জহিরুল ইসলাম জারু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূইয়া স্বপন, উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জোবায়ের হায়দার বুলু, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন ,শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি, চাতাল ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন, কামরুল ইসলাম, শাহ আলমসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, আগামি অক্টোবর মাসের মধ্যে ঝরনা ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সকল মিলে সকল কাজ শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ কাজ শেষ না করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা চূড়ান্ত সময়। আর কোন সময় দেয়া হবে না। এরপর আমরা আইনের প্র‍য়োগ করব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মঈন উদ্দিন মঈন বলেন, আশুগঞ্জে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কালো ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। মিল থেকে নির্গত রাইস ব্রান মানুষের চোখে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের।
আমরা ব্যবসা করব তবে জনসাধারণের ক্ষতি করে না। সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। তাই সবাই এক হয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাতাসে যেন ছাই, ধোঁয়া ও রাইস ব্রান না ছড়ায় সেই জন্য সকলেই তিন মাসের মধ্যে ঝরনা লাগাতে হবে। আর তা না করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

;