চট্টগ্রামে ধর্মঘটে চলছে না বাসের চাকা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ধর্মঘটের কারণে বাস না চলায় নগরীর চাক্তাই এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ধর্মঘটের কারণে বাস না চলায় নগরীর চাক্তাই এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরিবহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এই ধর্মঘটের কারণে শহর ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। নগরীতেও ঘুরছে না বাসের চাকা। এই কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

দূরপাল্লার বাস না চলায় চাহিদা বেড়েছে প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার। আর এই সুযোগে চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। একইভাবে নগরীতেও বাস চলাচল না করায় টেম্পো ও রিকশা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বাস না চলায় এসব গাড়ির চালকেরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পড়ে রয়েছে শত শত গাড়ি। টিকিট কাউন্টারগুলোও তালা দেওয়া। চালক ও সহকারীরা বিভিন্ন দোকান ও গাড়িতে বসে খোশগল্প এবং মুঠোফোনে লুডু খেলায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।

জানতে চাইলে চালকদের অনেকেই ধর্মঘট নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। তবে কেউই পরিবহন নেতাদের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।

চট্টগ্রাম-বাঁশখালী রুটে চলাচল করা সুপার সার্ভিসের দুজন চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে। পরিবহন নেতারা সেই সড়কে ধর্মঘটের ডাক দিতে পারতেন। কিন্তু ঢালাওভাবে পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তিতে ফেলেছেন, তেমনি আমাদের পেটেও লাথি মেরেছেন। কেননা গাড়ি চললেই তো আমাদের পেটে খাবার পড়ে, না চললে কে দেবে খাবার? পরিবহন মালিকেরা তো তার খবর রাখেন না।'

চট্টগ্রামে ধর্মঘটে চলছে না বাসের চাকা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

এই টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের দক্ষিণের প্রায় সব জেলার পাশাপাশি উত্তরের কয়েকটি উপজেলায়ও গাড়ি যায়। প্রতিদিন অন্তত দশ হাজার যাত্রী এই টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যান। কিন্তু গাড়ি না চলায় তারা পড়েছেন মহা ঝামেলায়।

এই টার্মিনাল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চান্দগাঁও থানা মোড় এলাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। সেখানে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। চলছে না কোনো বাসই, তালা ঝুলছে কাউন্টারে-কাউন্টারে।

জানতে চাইলে মারচা নামের একটি পরিবহনের একজন চালক বলেন, ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রীরা এসে তাই ফিরে যাচ্ছেন।

কক্সবাজারে যেতে এই স্টেশনে এসেছিলেন একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মী শাহাদাত হোসেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কর্মস্থলে যোগ দিতে কক্সবাজার যেতে বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি কোনো গাড়িই চলছে না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেটকারে দ্বিগুণ ভাড়ায় কক্সবাজার যেতে হচ্ছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহরে ঢোকার প্রধান প্রবেশমুখ চাক্তাইয়ের নতুন ব্রিজ এলাকা। বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায় মানুষদের প্রচুর ভিড়। বাস না চলায় কোনো প্রাইভেটকার আসলেই সেটি ঘিরে ধরছেন যাত্রীরা। সেই সুযোগে যেখানে আগে ১০০ টাকায় পটিয়া-চন্দনাইশের গন্তব্যে যাওয়া যেত সেই ভাড়া এখন দাবি করা হচ্ছে ২০০ টাকা।

কেন বেশি ভাড়া দাবি করছেন সেটি জানতে চাইলে মোহাম্মদ রশিদ নামের একজন প্রাইভেটকার চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ধর্মঘটে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে বেরিয়েছি। ধর্মঘটে গাড়ি চালানোর জন্য যে কোনো সময় হামলার শিকার হতে পারি। সেজন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চেয়ে কিছু ভাড়া বেশি নিচ্ছি।'

বাস না চলায় কেউ কেউ ট্রাকে-পিক আপে চড়েও ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ফিরছিলেন।

পরিবার নিয়ে চন্দনাইশে ফিরতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রানী দাশ। তিনি বলেন, জরুরি বাড়ি যেতে হচ্ছিল। কিন্তু বাস না চলায় বিপদে পড়েছি। এখন বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় প্রাইভেটকারে যেতে হচ্ছে। আমাদের অপরাধটা কোথায় বুঝতেছি না।

একইভাবে উত্তর চট্টগ্রাম থেকে নগরীতে প্রবেশের তিন মুখ একেখান, অক্সিজেন ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায়ও যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই তিন স্টেশনেও দূরপাল্লার বাসের সব কাউন্টার বন্ধ। প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, ট্রাক-মানুষ যে যেভাবেই পারছে গন্তব্যে ফিরছে।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনটি পরিবহন সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু এই সংগঠগুলো টেম্পোজাতীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট। ফলে তাদের প্রত্যাখানে তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না।

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণ পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

   

নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মামুন সমাদ্দার (২২) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকালে নড়াইল-ফুলতলা সড়কে নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মামুন সমাদ্দার নামের ওই কলেজ ছাত্রের। এসময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হয় কাজেম আলী (৩৫) নামে আরো এক পথচারী।

নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামুন নড়াইল পৌরসভার রঘুনাথপুর গ্রামের বাবলু সমাদ্দারের ছেলে। তিনি নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আহত কাজেম আলী নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে নড়াইল থেকে ফুলতলা অভিমুখে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মামুন। এসময় কাড়ার বিলের মাঝ বরাবর উঁচু ব্রিজ অতিক্রমের সময় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এসময় সেখানে অবস্থানরত মাটি কাটা শ্রমিককে ধাক্কা দিয়ে সড়কে ছিটকে পড়েন তিনি। এতে প্রচণ্ড আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুমড়ে মুচড়ে যায় তার মোটরসাইকেল। এ অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, মামুনের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। আহত কাজেম আলীর বাম পা ও ডান হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

স্নাতকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ইউনিভার্সিটির স্নাতকদের আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

শনিবার (১১ মে) রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে সিটি ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়ে মেনিফেস্টোতে (ইশতেহার) কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারে সেভাবে প্রত্যেক গ্রাজুয়েটকে শিক্ষিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আহবান জানাচ্ছি আগামীতে শিক্ষার্থীদের কর্মের ব্যবস্থা করতে স্টার্টআপসহ বিভিন্ন উদ্যোগ যেনো নেওয়া হয়।

গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী বিশেষ করে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আগামীদিনে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারবে। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে একটি উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তির শুধু ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে।অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় না কাটিয়ে, গেমিং না করে, গেইমের উদ্ভাবক হতে হবে। পৃথিবীতে এখন এপ্রেন্টিশিপ, আর্টিকেলশিপ ও ওয়ার্ক এক্সপেরিন্স এই বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে প্রায়োগিক দক্ষতা তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সিটি ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর বিগ্রে.জেনারেল (অব.) ইঞ্জি. প্রফেসর লুৎফুর রহমান প্রমুখ।

;

আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

আশুগঞ্জে বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে আশুগঞ্জ খাদ্যগুদামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, খাদ্যগুমাদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলাইমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জহিরুল ইসলাম জারু, উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জোবায়ের হায়দার বুলু, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন, শাহ আলম, হাসান ইমরান, গোলজারসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মৌসুমে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে ৪৬ হাজার ৩’শ ৯৭ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা দরে ৪৫ হাজার ৫’শ ৩১ মেট্রিক টন, আতব চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে ৪’শ ৪৯ মেট্রিক টন ও ধান ৩২ টাকা দরে ৪’শ ১৭ মেট্রিক টন ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।

;

‘কর্মদক্ষ যুবসমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ সহ নানা কর্মসূচি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মার্কেট ইকোনমি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।

;