মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

   

পাহাড়ের অলিন্দে রামগড় স্থলবন্দর



কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাহাড়ের অলিন্দে রামগড় স্থলবন্দর, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাহাড়ের অলিন্দে রামগড় স্থলবন্দর, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রামগড় (খাগড়াছড়ি) থেকে: বাস্তবিকপক্ষে রামগড় পাহাড়ি শহর। ব্রিটিশ আমল থেকে নিরাপত্তা চৌকি ও বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে এখানে। একদা মহকুমা ছিল। এখন খাগড়াছড়ি জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। উত্তর প্রান্ত দিয়ে পাহাড় ও সমতলের যোগাযোগের প্রথম জনপদ।

পাশেই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্ত। চট্টগ্রাম শহর থেকে ফটিকছড়ি হয়ে মানিকছড়ি। তারপর জালিয়াপাড়া চৌরাস্তা। একটি পথ দক্ষিণে চট্টগ্রামে গিয়েছে। উত্তরের পথ খাগড়াছড়িতে। পশ্চিমে দীঘিনালা/মহালছড়ি। পশ্চিমে পাহাড়ের বুক ধরে রামগড়। সেখান থেকে ঢালু পথ আন্ধারমানিক চাবাগান, হেঁয়াকো হয়ে মিরেরসরাইয়ের করেরহাট/বারৈয়ার হাটে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে রামগড়ে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের সামনে কিছু দর্শনার্থী পাওয়া গেল। কয়েকটি ভ্যানে বিক্রি পাহাড়ি আনারস ও অন্যান্য মৌসুমী ফল। স্থানীয়ভাবে জায়গাটির নাম মহামুনি। পাশে অবস্থিত বৌদ্ধদের বিরাট ধর্মক্ষেত্রের জন্য এমন নাম।

২০১০ সালের জানুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে সেদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুটি-১-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০২১ সালের ৯ মার্চ ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির উদ্বোধন করেন।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪. ৮০ মিটার প্রস্থ আন্তর্জাতিক সেতুটি দেশের প্রথম মৈত্রী সেতু।

রামগড়ে মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশ প্রান্ত 

তবে, স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে বিধিনিষেধ এবং স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে অনুমতি নেই জানিয়ে বিএসএফ বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর স্থল বন্দর নির্মাণ জট খুলে।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। ইমিগ্রেশন স্টেশন চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আশপাশ এলাকার মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে ভারতে ভ্রমণে যেতে পারবেন।

উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত বাংলাদেশের পার্বত্যভূমির চেহারা বদলে যাবে সামনের দিনগুলোতে। উত্তরের এই স্থলবন্দর খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, উত্তর চট্টগ্রাম, ফেনি, নোয়াখালী ও দক্ষিণ কুমিল্লার যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব নিয়ে আসবে। পাহাড়ের অলিন্দে রামগড় স্থলবন্দর অযুত সম্ভবনার হাতছানি দিচ্ছে।

;

ভারী বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন মেগাসিটি ঢাকার বাতাসে বাড়ছে দূষণ। বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা ‍উন্নতি হয়। শনিবার (১১ মে) ভারী বর্ষণেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থাতে রয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ভারতের দিল্লি।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। আর ১৬৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, ১৪৫ স্কোর নিয় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহরের স্কোর ১৪২।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

যশোরে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্র খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যশোরে নুর হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার (১১মে) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর আকবরের মোড় বারেক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নুর হোসেন ওই এলাকার নজরুল মোল্লার ছেলে ও  আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র।

নিহতের স্বজনেরা জানান, শুক্রবার (১০মে) শংকরপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলোযোগ বাধে। যা স্থানীয়রা মিমাংশার চেষ্টা করে তবে দুপক্ষের মধ্যেই রেশ থেকে যায়। শনিবার রাতে শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার পচা, কানা রনি, রিয়াদ, মনিরসহ আরও কয়েকজন যুবক এসে নুরকে চাকু মেরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এ সময় আশপাশের লোকজন নুরের চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে নুরুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করে। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে নুরের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মুলত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে শক্রতা শুরু হয়। হত্যাকান্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।'

;

আজ বিশ্ব মা দিবস



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মা’ আমাদের জীবনের সবথেকে মধুর শব্দ এবং নিঃস্বার্থ বন্ধনের ডাক। আমরা যতবার মা বলে ডাকি, ততবারই প্রশান্তির আঁচলে ঠাঁই পাই। যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসা নির্দিষ্ট দিন কিংবা সময়কে ঘিরে প্রকাশ করার মতো নয়; তবুও মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতেই আমরা বছরের একটা দিন মাকে উৎসর্গ করি। সারাবিশ্বেই এই দিনটি নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার (১২ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মা দিবস’। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

মা দিবসটি কীভাবে শুরু হয়েছিল?

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে আধুনিক যুগে ১৯০৭ সালের ১২ মে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরে ‘মাদার্স ডে’ বা মা দিবস পালিত হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে ভার্জিনিয়ায় অ্যান নামে এক শান্তিবাদী সমাজকর্মী ছিলেন। তিনি নারী অধিকার নিয়ে কাজ করতেন। তিনি ‘মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছোট ছোট ওয়ার্ক ক্লাব বানিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে চেষ্টা করতেন। নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করতেন। অ্যান ছিলেন খুবই ধর্মপ্রাণ। অ্যানের একটি মেয়ে ছিল, যার নাম  আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস।

একদিন ছোট মেয়ের সামনেই অ্যান হাত জোড় করে বলেছিলেন, 'আমি প্রার্থনা করি, একদিন কেউ না কেউ তার মায়ের জন্য একটি দিন উৎসর্গ করুক। কারণ মায়েরা প্রতিদিন মনুষ্যত্বের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে চলেছেন। এটি তাদের অধিকার।

মায়ের সেই প্রার্থনা হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যায় আনা মারিয়াকে। অ্যানের মৃত্যুর দিনটিকে সারাবিশ্বের প্রতিটি মায়ের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন তিনি। তারপর থেকে মায়েদের প্রতি সম্মানে পালিত হয়ে আসছে মা দিবস। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা দিবস’ ঘোষণা করেন।

এরপর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস উদযাপন হিসেবে করা হয়ে থাকে। তবে অনেক দেশই অন্যদিনকে উৎসর্গ করেছে মায়েদের জন্য। সাধারণত মার্চ কিংবা মে-তেই পালিত হয় 'মাদার্স ডে'।

জানা যায়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মায়েদের স্বীকৃতির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক ছুটির দিন চালু করে। এক বছর পরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যই উদযাপনের দিনটি চিহ্নিত করে । ১৯১৪ সালে প্রেসিডেন্ট উড্রউইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবসের জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করেন।

একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ থেকে শুরু করে আমৃত্যু নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন। মায়ের এই ভালোবাসা একটি অনবরত স্রোত যেখানে কখনও ভাটা পড়ে না। মায়ের ভালোবাসা অমূল্য। তাইতো মায়ের এই অসীম ও অতল ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের সম্মানে নিজেদের নত করেন গোটা পৃথিবীর সন্তানেরা। 

;