জামালপুরে ইজিবাইকের চাপায় প্রাণ গেলো শিশু আয়াতের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইজিবাইকের চাপায় মো. আয়াত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মালঞ্চ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়াত উপজেলার মালঞ্চ দক্ষিণপাড়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে চাচার বিয়ের পাত্রী দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় মালঞ্চ বাজার মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।

এ সময় ব্যাটারী চালিত একটি ইজিবাইক মোড় ঘোরানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শিশু আয়াতের উপরে উল্টে যায়। এতে শিশু আয়াত মাথায় প্রচণ্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়।

স্থানীয়রা আহত শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশু আয়াতের মৃত্যু হয়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মদ জানান, দুর্ঘটনায় একজন শিশু নিহত হয়েছে, তবে এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাত দিন সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

এর মধ্যে সোমবারই তিনজন মারা গেছেন বলে জানিযেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত ২২ এপ্রিল থেকে কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করে সারাদেশ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বলছে, হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

;

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ৬ হাজার কেজি আম বিনষ্ট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ মেট্রিক টন আম জব্দের পর গাড়ির চাকায় বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার বলেন, দেবহাটা থেকে ১ ট্রাক অপরিপক্ব আম বিষাক্ত কেমিক্যালের সাহায্যে পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে বলে জানতে পারি। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন ও উপসহকারী ইয়াসির আরাফাত সঙ্গে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলিপুর চেকপোস্ট থেকে আমের গাড়ি জব্দ অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে কৃত্রিমভাবে পাকানো ৬ মেট্রিক টন অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে পালিয়ে যান অসাধু ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমগুলো গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে বিনষ্ট করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

;

বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে জমকালো ভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মুথরাপুর বটতলা গ্রামে এ বিয়ের আয়োজন করেন এলাকাবাসী৷

বিয়েতে ছেলে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় আকাশ ও মেয়ে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় বৃষ্টি। বিয়েতে মোহরানা নির্ধারণ করা হয় ৪৯ হাজার টাকা। ছেলে পক্ষ হিসেবে বটতলী গ্রামের আন্তিল ও মেয়ে পক্ষ হিসেবে একই গ্রামের মুসলিমের বাড়িতে এই আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আয়োজন করা হয় রাতের খাবারের৷

স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।


বিয়ে দেখতে আসা স্কুলছাত্র ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি জীবনে এরকম বিয়ে দেখিনি। আজকে প্রথমবারের মত নিজ চোখে দেখার সুযোগ হল। যেভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় সেভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলী বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অধিকতর তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির আশায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

বিয়ের গীত গাওয়া হিরা আক্তার বলেন, মাঠে-ঘাটে কোথাও কাজ করা যাচ্ছেনা। রুম থেকে বের হলে শরীর পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। আগের আমলে বাপ-দাদারা ব্যাঙের বিয়ে দিতেন বৃষ্টির আশায়। সে কারণে আজকে আমরা এই বিয়ের আয়োজন করেছি যাতে তাপ কমে আর বৃষ্টি আসে।

;

শ্যামনগরে তীব্র তাপদাহে মরছে ঘেরের চিংড়ি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকার ঘেরের বাগদা চিংড়ি মাছ মারা যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে অনেক ঘেরে এভাবে মাছ মরে গেছে। এতে এখানকার চিংড়ি চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রচণ্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানির অভাব, অতিরিক্ত লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে ঘেরের বাগদা চিংড়ি মরে যাচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাগদা ও ১১০ হেক্টর জমিতে গলদা চাষ হয়। তাতে ছোট-বড় মিলিয়ে বাগদা চিংড়ির ঘেরের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩২৮ ও গলদা চাষের ঘের আছে ১ হাজার ৪১০টি।

উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম জানান, বছরের শুরুতে ঘেরে পোনা মাছ ছাড়া হয়। এরপর গত দুই সপ্তাহ আগে থেকে ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠছে। আর যেসব জীবিত মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর শরীরও দুর্বল। মাছ লালচে হয়ে যাচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পোড়াকাটলা গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী সন্তোষ মণ্ডল ও একই এলাকার জয়ন্ত মন্ডল জানান, ৫০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে এবার বাগদা চাষের জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা লোন করেছেন। এবারের চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি এ ঘের থেকে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার আশা ছিল, তাতে লোন করা টাকার অধিকাংশই উঠে আসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাছ মরার কারণে তিনি এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার বেশি মাছ পাননি।

ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী এলাকার চিংড়ি চাষি ইব্রাহিম খলিল বলেন, ২০১২ সাল থেকে তিনি ঘের করছেন। এবারও ১০ বিঘা জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। ঘেরে ৪৫ হাজার বাগদার পোনা ছেড়েছেন। এখন প্রতিটি ৪০ গ্রাম করে ওজন হয়েছে। কিন্তু তীব্র এই গরমে পানি বিষিয়ে ওঠার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তার ঘেরে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত পরিচর্যাও করা হয়। তবে রৌদ্রের কারণে কোন হিসাব নিকাশ মিলছে না।

একই এলাকার চিংড়ি চাষি রাজু আহমেদ বলেন, তিনি এবার নিজের এবং অন্যের জমি ইজারা মিলিয়ে ২০০ বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করেছেন। প্রথম কোটার অবমুক্ত করা বাগদা মাছ মরে গেছে। এতে তার প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তার এলাকার ঘেরগুলোতে পর্যাপ্ত পানি নেই বলে জানান তিনি। তার ওপর প্রচণ্ড রৌদ্রের জন্য পানি লালচে হয়ে উঠছে।

এছাড়াও কয়েকজন চিংড়ি চাষি জানান, এ পর্যন্ত কোনো ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি ঘেরে গিয়ে কী কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বা তাদের কী করা উচিত সে বিষয়ে কেউ পরামর্শ দেয়নি। তাই একমাত্র জীবিকা চিংড়ি চাষ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এখানে চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৯ টন। আর এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও গত বছরের মত বলে জানান। তবে বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার চিংড়ি উৎপাদন গতবারের তুলনায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চিংড়ির আড়তদাররা জানান, এবার মাছ মরে যাওয়ার কারণে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কম। গতবারের তুলনায় শ্যামনগরের আড়তগুলোতে মাছের আনাগোনা প্রায় অর্ধেক।

শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার বলেন, বিভিন্ন কারণে বাগদা চিংড়ি মারা যায়। তবে এবারে প্রচণ্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও অতিরিক্ত লবণের কারণে বেশি মাছ মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষিরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করেনি। জমির ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করার দরকার তাও ঠিকমতো করেনি।

তবে তিনি প্রতি মৌসুমে এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মৎস্য চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষিদের ঘেরের মাটি কেটে ঘেরের গভীররতা বৃদ্ধি করার জরুরী।

;