১২ বছর পর সুরমা নদীর তীরে বৈশাখী মেলা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের সুরমা নদীর তীরে প্রায় ১২ বছর পর বসলো বৈশাখী মেলা। রোববার (১৪ এপ্রিল) বর্ষবরণ উৎসব ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা সারদা হল ক্বিন ব্রিজ এলাকায় সিলেট সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট’র আয়োজনে শুরু হয়।

মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এদিকে, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সব পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে। মেলায় হরেক রকমের পণ্যের ৪০টি স্টল রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মেলা সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় দুই যুগ আগে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ প্রতি বছর সিলেট নগরীর রিকাবিজারস্থ প্রান্তিক চত্বরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করত। পরবর্তীতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সময়কালে দুই থেকে তিনবার ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর দায়িত্বে থাকাকালীন একবার মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেগুলো এতো জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না। সরদা হলের সামনে সুরমা নদীর তীরে প্রায় ১২ বছর পর ও সিলেট সিটি করপোরেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদের আয়োজনে দুই যুগ পর সাত দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হয়।


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিলেটের ঐতিহাসিক কিন ব্রিজের নিচে সুরমা নদীর তীরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে পাশে ও আলী আমজাদের ঘরের সামনে বসেছে মেলা। মেলায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। পাশেই সারদা হলের সামনের মঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পীরা গান গেয়ে মাতাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। এছাড়াও রয়েছে বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, নৌকা, শিশুদের জন্য ট্রেন। পহেলা বৈশাখের দিন থেকে শুরু হওয়া মেলায় দেখতে ভিড় করেছে শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সীরা। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে আগত দর্শনার্থীরা। সিলেট নগরীর মধ্যে এই রকম মেলা আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আগত দর্শনার্থীরা।

সিলেট নগরীর বাগবাড়ি বীরেন্দ্রনাথ জানান, বর্তমান প্রজন্ম বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে ভিন্নদেশের সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সবাই। ঘরের গৃহবধূ থেকে তরুণ-তরুণীরা টিকটকে যেভাবে ঝুঁকছে তা আমাদের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত ছেলে-মেয়েদের বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পৃক্ত করা। এই মেলা যেন প্রতিবছর চালু থাকে তাই তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

মেলায় ঘুরতে আসা সিলেটের ওসমানী নগরের উসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালি উল্লাহ বদরুল বলেন, বিগত কয়েক বছর রমজান ও করোনার কারণে আমাদের প্রাণের মেলা বৈশাখী মেলার আয়োজন হয়নি। এবার আশা করব আমাদের সিটি মেয়র যেভাবে মেলা শুরু করেছেন এটি যেন ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। একটা সময় আমরা যখন স্কুল-কলেজে ছিলাম তখন বিভিন্ন উৎসবে মঞ্চ নাটক করেছি। এখন সেগুলো কমে গেছে।


অঞ্জনা দেব নামে আরেকজন বলেন, আমরা বাঙালি। প্রত্যেকটা উৎসব আমরা সাবাই মিলে মিশে যেন পালন করি। মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে।এই ধরনের মেলা নগরীর মধ্যে সচরাচর দেখা যায় না।

মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সংস্কৃতিতে সিলেটের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। ‘বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা আমাদের প্রাণের উৎসব। হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করে বাঙালি জাতি এদিন উৎসবে মেতে ওঠেন।’ বাঙালি হিসেবে আমরা গর্বিত। সব ভেদাভেদ ভুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় হোক আমাদের নববর্ষের অঙ্গীকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় তারাই নববর্ষের বিরোধিতা করছে। তারা এখনো বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে। পাকিস্তানের চিন্তা চেতনায় তারা এদেশকে চালাতে চায়। তাদের এই দুঃস্বপ্ন কোনদিনও বাস্তব হবেনা। আমরা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি তার একমাত্র অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সিলেটে নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলার ঐতিহ্য লালন করে সব অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করবে সিলেট সিটি করপোরেশন। যে জাতি তার শিকড় ধরে রাখে সে জাতি তত বেশি এগিয়ে যায়। আমাদের অতীতের ইতিহাস গৌরবের। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বলতে পারি আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক।

এবিষয়ে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট’র সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, প্রায় দুই যুগ পর এবারের বৈশাখী মেলা আমাদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সময় কয়েকবার বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু যাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাই তখন জমে উঠেনি এবং এভাবে জাঁকজমকপূর্ণ ছিল না। এখন মেলা হওয়াতে মানুষের মাঝে খুব উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে নগরীর ভেতরে এমন মেলার আয়োজন হওয়াতে মানুষ খুশি।

   

সারাদেশে আবহাওয়া কেমন থাকবে আজ, জানাল অধিদপ্তর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজমান থাকতে পারে।

তবে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এছাড়া একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একইসময়ে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

;

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে আম নিতে আগ্রহী চীন: কৃষিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এ বছরই আম নিতে চেয়েছে চীন। সেইসঙ্গে চীনের একটি এক্সপার্ট প্রতিনিধি দল আম পাকার সময়ে আম বাগান ও উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম দিকে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে চায়। প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চীনের কাস্টমস বিভাগ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।

এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মলয় চৌধুরী, যুগ্মসচিব মো. মাহমুদুর রহমান, চীনা দূতাবাসের ইকোনমিক ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সঙ ইয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিতে চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে চীনের বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের কৃষকেরা যাতে কম দামে আধুনিক কৃষিযন্ত্র পেতে পারে, এক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, চীন থেকে তুলনামূলক কম দামে আমরা যন্ত্র কিনতে পারি।’

এর আগে দুপুরে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুরেন বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৃষি গবেষণা জোরদার ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও চালুর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এ সংরক্ষণাগারে সারা বছর পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফসল। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে আমরা পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে গুরুত্বারোপ করছি। নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে সংরক্ষণাগার নির্মাণ এক্ষেত্রে খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’

নেদারল্যান্ডস সরকারের উদ্যোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় নির্মিত পেঁয়াজ সংরক্ষণাগারটি আগামী ২ মে কৃষিমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

;

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;