রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে চলবে যানবাহন

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে চলবে যানবাহন

রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে চলবে যানবাহন

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ জুন) থেকেই পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে, সেজন্য সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ওইদিন  সকাল ৬টা থেকেই সব ধরনের যানবাহন সেতুতে চলতে পারবে।

এ ত্য নিশ্চিত করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,‘আজ সেখানে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। রোববার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। শুরুর দিন যানবাহন ব্যাপক চাপ হবে বলে আমরা ধারণা করছি। আমাদের টোলপ্লাজার কর্মীদেরও সেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তারা ভিড় সামলাতে পারবে। এ ছাড়া সেতু রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্যও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’

শনিবার বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর মধ্যদিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।

সেতুর উদ্বোধনের করে নির্ধারিত টোল পরিশেধ করে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টোল গুনতে হয়েছে ৭৫০ টাকা। তবে তিনি তার গাড়ি বহরের টোলও পরিশোধ করেন। সে হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মো ১৬ হাজার ৪০০ টাকা টোল পরিশোধ করেছেন।

পদ্মার সেতুর টোলের হার ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে- মিনিবাসে ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২১০০-২৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১৩০০ টাকা। মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা।

পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ পরিবহণের বাস ঢাকার সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে। নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে পরিবহন চলবে।

   

প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৭-৮ শতাংশ: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট শুরুর প্রথম ২ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইসির অতিরিক্ত সচিব এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোট শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য শারীরিক অসুস্থতায় হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়।

অশোক কুমার বলেন, ভোট শুরু হয়েছে মাত্র দু'ঘণ্টা। বিভিন্ন জেলার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে। কোথাও বেশি কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

হবিগঞ্জে জাল ভোটের অপরাধে একজনের কারাদণ্ড, আটক ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় দুর্জয় কর্মকার নামে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজোলার কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত এই আদেশ দেন। ‌

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে কামাইছড়া ভোটকেন্দ্র থেকে দুর্জয় কর্মকারকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আলিম। এ ঘটনায় আরো দুজনকে আটক করা হয়। তাৎক্ষনিক আটককৃত দুজনের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

তাদের দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ১৭১ ‘চ’ ধারার দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড ঘোষণা করেন। এর মধ্যে আরো দুজনকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়। কামাইছড়া চা বাগান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার রিংকু দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৩৫ পিস ইয়াবা, ৫০ গ্রাম হেরোইন, ২ কেজি ৩৬০ গ্রাম গাঁজা ও ১০ পিস ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;

এবার লোৎসের চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশি বাবর আলী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশায় চিকিৎসক হলেও নেশা পর্বতারোহণ। সেই নেশায় চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলীকে নিয়ে গিয়েছিল এভারেস্টের চূড়ায়। এর দুদিন পর লোৎসে পর্বতের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন ৩৩ বছরের এই তরুণ। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান। 

এর আগে গত রোববার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় দীর্ঘ ১১ বছর পর এভারেস্টে সফল ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন বাবর। বাবর আলীর প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে আপডেট তথ্য দেওয়া 'ভারটিক্যাল ড্রিমার্স' পেজেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, 'বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী। এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ সামিট। বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব।'

অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান জানান, 'রোববার এভারেস্ট সামিট শেষে তিনি বেসক্যাম্প-৪ এ বিশ্রামে ছিলেন। সোমবার রাতে তিনি লোৎসে সামিটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর ৬টা ৫ মিনিটে তিনি লোৎসে সামিট সম্পন্ন করেছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'এখনো আমাদের অভিযান শেষ হয়নি। নিরাপদে বেসক্যাম্পে ফিরে এলেই আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবো। আশা করছি বাবর ২৩ মে'র মধ্যে বেসক্যাম্পে নেমে আসবে এবং আগামি ৩ জুন দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।'

১১ বছর পর মাউন্ট এভারেস্ট শীর্ষে আরোহণ করে গত দুই দিন ধরে বাংলাদেশের পাহাড় প্রেমি মানুষের মাঝে আনন্দের কম্পন বইয়ে চলেছেন বাবর আলী। দুইদিনের ব্যবধানেই এই পর্বতারোহী আবারও খুশির ঝড় তুললেন পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত (২৭ হাজার ৯৪০ ফুট) উচ্চতার মাউন্ট লোৎসের শীর্ষে লাল সবুজের অলংকার এঁকে দিয়ে। এটিই প্রথমবারের মতো কোন বাংলাদেশি পর্বতারোহীর মাউন্ট লোৎসে শিখর স্পর্শ করার ঘটনা।

বাবর আলী মূলত এই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্টের পাশাপাশি মাউন্ট লোৎসে শীর্ষে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই এপ্রিলের শুরুতে দেশ ছেড়েছিলেন। বাংলাদেশের পর্বতারোহীরা ইতিপূর্বে মাউন্ট এভারেস্ট শীর্ষে সামিট করলেও একই অভিযানে দুটি আট হাজার ফুট উচ্চতার পর্বত কোন বাংলাদেশি সামিট করেননি। বাবর আলী এভারেস্ট ও লোৎসে শীর্ষ স্পর্শ করে বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তৈরি করেছেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯ মে এভারেস্ট সামিট করে ক্যাম্প-৪ এ ফিরে আসেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই শরীরও হয়ে যায় ক্লান্ত। ছক আঁকা ছিল সারাদিন বিশ্রাম নিয়ে রাতে আবার শুরু করবেন লোৎসের উদ্দেশ্য যাত্রা। কিন্তু শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে তিনি শেরপাদের ছককে নিজের মতো করে পরিবর্তন করেন। নিজেকে ঝুঁকি মুক্ত রাখতে ওই রাত তিনি থেকে যান ক্যাম্প-৪ এ এবং সয়ে নেন এভারেস্ট চূড়া অভিযানের ধকল।

এদিকে ওই স্থানের সাথে যোগাযোগ বিভ্রাটে এই বিলম্ব নিয়ে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত ঘুমের পর গতকাল (সোমবার) মধ্যরাতে শুরু করেন তার চূড়ান্ত লক্ষ্য মাউন্ট লোৎসের উদ্দেশ্যে যাত্রা। টানা প্রায় দুইদিন অনিশ্চিত অবস্থায় থেকেও অবশেষে মঙ্গলবার সকল সুহ্রদদের উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে বাবর আলী স্পর্শ করেন কাঙ্খিত লোৎসে পর্বত শিখর। এই অভিযানের পরিচালক প্রতিষ্ঠান স্নোয়ি হরাইজনের স্বত্বাধিকারী বোধা রাজ বান্ডারি এবং বেসক্যাম্পের ধর্মা তামাং এর দেওয়া তথ্যের বরাতে এসব তথ্য জানান অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান। এভারেস্ট এর মতো এই সামিটেও বাবরের সাথে ছিলেন তার শেরপা সাথী বীর বাহাদুর তামাং।

এই অভিযানে মোট খরচ হচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা। যাতে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন ভিজ্যুয়াল নীটওয়্যার লিমিটেড। এছাড়া সহ-পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ঢাকা ডাইর্ভাস ক্লাব, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ব্লু জে, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী, গিরি, ভারটিক্যাল ড্রিমার্স।

এছাড়াও অভিযানের জন্য গণ তহবিল সংগ্রহে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন এবং অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী। অভিযানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ডা. বাবর আলীর নিজের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুডিশ্বচরে জন্ম নেওয়া এই তরুণ পেশায় একজন চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সঙ্গে নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যোগ দেন। করোনায় তার ভূমিকাও ছিল বেশ প্রশংসার। সব কিছুকে পিছনে রেখে পাহাড়-প্রেমী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন এই তরুণ।

২০১৪ সালেই ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নেপালে এক হিমালয় অভিযানে বাবর সামিট করেন এক পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত। সেই তার হিমালয়ে পথচলা শুরু। এরপর পর্বতারোহণের বিশুদ্ধতম ধরণ বলে পরিচিত আল্পাইন স্টাইলে ২০১৬ সালে ক্লাব থেকে সামিট হয় ভারতের মাউন্ট ইয়ানাম, যা ছিল বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কোন ২০ হাজার ফুট উচ্চতার পর্বত সামিট এবং সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

পর্বতারোহণকে ধ্যান-জ্ঞান মেনে তিনি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর করেছেন এক বা একাধিক হিমালয় অভিযান। এছাড়াও নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে বাবর নিয়মিত দৌঁড়ান, করেছেন ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং, করেন কায়াকিং, পায়ে হেঁটে টানা ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন সিঙ্গেল ইজার প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারি গিয়ে থেমেছিলেন তিনি। পথে যেতে যেতে ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয়েছিল তার। এর আগে ২০১৯ সালে পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা হেঁটে পার করেন তিনি। হেঁটে বাংলাদেশ ও সাইকেলে ভারতবর্ষ পাড়ি দেওয়া বাবর আলী এবার লিখলেন নতুন গল্প। এই গল্প শুধু নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নয়, দেশকে গর্বিত করারও। গল্পটা যে-এভারেস্ট-জয়!

  ‘স্বপ্ন ছুঁয়েছে’ পদ্মার এপার-ওপার

;