পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত ফাওজিয়া-মুশতাকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশন (পিবিআই) রিপোর্ট দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত এই আদেশ দেন। আগামী ২ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ আসামিদের স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করলে আদালত পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

গত ১৪ মার্চ মামলাটির অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন নারাজির আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ভিকটিমের বাবা এ মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩ মার্চ মামলার বাদী চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন।

   

কাচ্চি ভাই’র মালিক সোহেল সিরাজের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় মালিক সোহেল সিরাজকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এ জামিন মঞ্জুর করেন। সিরাজের পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, মোখলেছুর রহমান বাদলসহ প্রমুখ আইনজীবী।

শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, সোহেল সিরাজ ঘটনার সময় বিদেশে ছিলেন। এ ঘটনায় তার কোনো অবহেলা নেই। এ মামলায় আগে গ্রেফতার চারজন জামিনে আছেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আয়কর দাতা। জামিনে মুক্তি দিলে তিনি পালাবেন না। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৭ মে রাতে মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে ইমেগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে।

৮ মে সিআইডি তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১০ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন মারা যায়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করে। ঘটনার পরপরই সোহেল সিরাজ দেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যান। সিরাজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

;

কনডেমড সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ের আগে কনডেমড সেলে নেওয়া যাবে না মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বুধবার (১৫ মে) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে, চূড়ান্ত রায়ের আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেওয়া যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ আপিল করেন।

তার আগে, সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এরপর গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।

;

সার আত্মসাৎ: সাবেক এমপি পোটনসহ ৫ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মূল্যের সার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান ওরফে পোটনসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর আসামিরা হলেন, পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদত হোসেন (নিপু) ও মো. নাজমুল আলম (বাদল), পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং প্রতিনিধি (খুলনা ও নওয়াপাড়া) মো. আতাউর রহমান।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. রফিুকজ্জামান এ মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার সরবরাহের জন্য আমদানি করে তা চুক্তিকৃত গুদামে না দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ টাকা মূল্যের সার আত্মসাৎ করার অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল। সেটা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জিটুজি চুক্তির আওতায় মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ সৌদি আরব, দুবাই ও কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সার পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সঙ্গে স্থানীয় প্রতিনিধি মেসার্স পোটন ট্রেডার্স এবং প্রিন্সিপাল ড্রাই বাঙ্ক শিপিং (প্রা.) লিমিটেডের মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৫.৫৩০ টন ইউরিয়া সার বিভিন্ন গুদামে সরবরাহ দেওয়ার জন্য মোট ১৩টি স্থানীয় পরিবহন চুক্তি সই হয়। 

যার মধ্যে ৩৭টি চুক্তির অধীনে আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স ২ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৭.৫৬৬ টন ইউরিয়া সার বুঝে নিয়ে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৬.২৫৮ টন ইউরিয়া সার সরবরাহ করা হলেও ৭১ হাজার ৮০১.৩১ কেজি ইউরিয়া সার সরবরাহ না করে আত্মসাৎ করেন।

অনুসন্ধানে আরও বলা হয়, ট্রানজিটে থাকা অসরবরাহ করা ইউরিয়া সার দ্রুত সরবরাহ দেওয়ার জন্য মেসার্স পোটন ট্রেডার্সকে ধারাবাহিকভাবে পত্র এবং তাগিদ পত্রসহ মোট ৪৩টি পত্র দেওয়া হয়েছিল। বিসিআইসি গঠন করা তদন্ত কমিটিতেও অভিযোগের সত্যতা মেলে।

;

সনদ বাণিজ্য

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রীর জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত জামিনের আদেশ দেন।

সেহেলা পারভীনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ঢাকা বারের সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাহাদাত শাওন।

মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এতথ্য জানান।

গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেফতার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে সেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। ২০ এপ্রিল সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

২১ এপ্রিল এ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৩ এপ্রিল রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

;