বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২১ হাজার ৬৩ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ১৭ হাজার ৩১৬ জন।
বাংলাদেশ থেকে ৫৩টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৮টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ১৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।
আয়ারল্যান্ডের ধর্মীয় পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, কারণ আগের চেয়ে আরও বেশি শ্বেতাঙ্গ আইরিশ নাগরিক ইসলাম গ্রহণ করছেন। ইসলাম গ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে এবং এই পরিবর্তন বিভিন্ন কারণে ঘটছে। এর কয়েকটি হলো, ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান, প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি মোহভঙ্গ এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলোর সঙ্গে সংযোগের অনুভূতি ইত্যাদি। যা নিউজ টক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই রিপোর্টে সালভাডোরান নামের এক শিক্ষক ক্যাথলিক ধর্ম থেকে ইসলামে আসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। একসময় তিনি যাজক হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু তিনি ক্যাথলিক চার্চের কিছু অনুশীলনের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অনুভব করতেন। তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে কেউ আমাকে ইসলাম অন্বেষণ করতে আমন্ত্রণ জানায়, এটা আমার কাছে আধ্যাত্মিক চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি সন্তোষজনক ও অর্থপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল।’
ইমাম উমর আল-কাদরি লক্ষ করেছেন যে, কোভিড মহামারির পর এবং সাম্প্রতিক বৈশ্বিক সংঘাত, বিশেষ করে গাজায় ঘটনার পরে, ইসলামের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ‘আমরা অনেক মানুষকে ইসলামের প্রতি আগ্রহী হতে দেখছি, যারা আমাদের বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চাইছেন। এটি অনেক আইরিশ মানুষের স্বাধীনতার সংগ্রামের সঙ্গে মিল খায়।’
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আল-কাদরি আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৫০০ জনকে ইসলাম গ্রহণ করতে সাহায্য করেছেন, যার মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রয়াত সিনিয়াড ওকনরও ছিলেন।
আয়ারল্যান্ডের বাতাসে কান পাতলে শোনা চার্চের বিষয়ে নানা অসন্তোষের কথা শোনা যায়। অনেকের জন্য ক্যাথলিক চার্চের প্রতি অসন্তোষই ইসলামের পথে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। চিকিৎসক হ্যাজেল ওব্রায়েন উল্লেখ করেছেন যে, অনেক ধর্মান্তরকারী চার্চের কাঠামো এবং কেলেঙ্কারির কারণে হতাশা প্রকাশ করেন, বিশেষত যাজকদের অপব্যবহার নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো মনে করে চার্চ তাদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিকতা প্রদান করে না।’ তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সামাজিক সমস্যার দিকেও ইঙ্গিত করেন, যা মানুষকে গভীর অর্থ খুঁজতে এবং ধর্মতাত্ত্বিক প্রতিফলনের দিকে ধাবিত করে।
অমলা, তিনি আট বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে ইসলামে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। প্রথম দিকের কিছু ভুল ধারণার কথা স্মরণ করেছেন। তার শিক্ষক তাকে ভুলভাবে ‘মোহামেডান’ বলে পরিচয় করিয়েছিলেন, যার ফলে তিনি পরিষ্কার করতে বাধ্য হন, ‘আমরা মোহাম্মদের উপাসনা করি না। মোহাম্মদ কেবল একজন নবী, আমরা ঈশ্বরের উপাসনা করি।’ তার মা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি খুশি তো? তুমি কি শান্তি পেয়েছ?’ এটা তার আধ্যাত্মিক যাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আইরিশ মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইরিশ মুসলিম পরিচয়ের একটি স্বতন্ত্র আলোচনা শুরু হয়েছে। ড. আল-কাদরি বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রীতিনীতি না গ্রহণ করে আইরিশ ঐতিহ্যকে সংহত করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আইরিশ ভাষাকে মুসলিম সম্ভাষণে অন্তর্ভুক্ত করার এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে মিলিত করার ওপর জোর দেন।
২০১৬ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার।
অনেকের জন্য, আইরিশ এবং মুসলিম উভয় হওয়া মানে একটি ভালো সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা করা এবং একটি ভাগ করা পরিচয় গ্রহণ করা। আল-কাদরি বলেছেন, ‘দিনের শেষে, আমরা সবাই আইরিশ। আমরা সবাই এই সুন্দর দ্বীপ আয়ারল্যান্ডের নাগরিক।’
ঈমানদারদের প্রতি আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো, তোমরা নবীজীর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করো। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া করো এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ করো।’ -সূরা আহজাব : ৫৬
অতএব দরূদ পাঠের মাধ্যমে মহান রবের মহান নির্দেশ পালিত হয়। এছাড়া যেখানে খোদ রাব্বুল আলামিন স্বীয় হাবিবের প্রতি দরূদ প্রেরণ করছেন, ফেরেশতারাও পেশ করছেন নবীজীর প্রতি দরূদ; ঊর্ধ্বজগতে গুঞ্জরিত হচ্ছে নবীর শানে দরূদ, সেখানে আমিও এই ধরাধাম থেকে দয়ার নবীর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার মাধ্যমে শামিল হচ্ছি সেই মোবারক কাফেলায়।
ঈমানদারদের ওপর যখন আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে নবীজীর প্রতি দরূদ পেশ করার নির্দেশ আসে, তখন সাহাবায়ে কেরাম অস্থির হয়ে পড়েন- কীভাবে নবীজীর প্রতি দরূদ পেশ করা যায়। তারা এ বিষয়ে নবীজীকে জিজ্ঞাসা করলে নবীজী (সা.) তাদেরকে দরূদ শরিফ শিখিয়ে দেন।
হজরত কাব ইবনে উজরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘যখন (আল্লাহ ও তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া করো এবং তার প্রতি সালাম প্রেরণ করো।) আয়াতটি নাজিল হয় তখন সাহাবিরা বললেন, ইয়া নাবিয়্যাল্লাহ! আমরা আপনার প্রতি কীভাবে দরূদ পাঠ করব?
নবীজী (সা.) বললেন, তোমরা বলো, হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও রহমত বর্ষণ করুন মুহাম্মদের প্রতি এবং মুহাম্মদের পরিবার-পরিজনের প্রতি। যেভাবে আপনি ইবরাহিমের প্রতি এবং ইবরাহিমের পরিবারের প্রতি রহমত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত এবং মর্যাদাবান। আপনি বরকত নাজিল করুন মুহাম্মদের ওপর এবং মুহাম্মদের পরিবারের ওপর। যেভাবে আপনি বরকত নাজিল করেছেন ইবরাহিমের পরিবারের ওপর এবং ইবরাহিমের পরিবারের ওপর। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত এবং মর্যাদাবান। -মুসনাদে আহমাদ : ১৮১৩৩
এ ধরনের বর্ণনা আরো অনেক সাহাবি থেকে এসেছে। সকলে নবীজীর কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে করে দরূদ শিখে নিয়েছেন।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, নবীজীর প্রতি দরূদ পেশ করার এ নির্দেশনাটিকে সাহাবায়ে কেরাম নিজেদের জন্য অনেক বড় তোহফা মনে করতেন। সহিহ বোখারির বর্ণনা মতে, সাহাবি হজরত কাব (রা.) তাবেয়ি হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবি লাইলাকে বললেন, ‘আমি কি তোমাকে সেই হাদিয়া দেব না, যা আমি নবীজী থেকে লাভ করেছি? এরপর তিনি তাকে দরূদে ইবরাহিম শিখিয়ে দেন। সাহাবায়ে কেরাম দরূদের এ আমলকে অনেক বড় গনীমত ও উপঢৌকন মনে করতেন এবং এর কদর ও মূল্যায়ন করতেন।
বান্দা যতক্ষণ দরূদ পড়তে থাকে, ফেরেশতাগণ ততক্ষণ তার জন্য রহমত, বরকত এবং মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকেন। হাদিস শরিফে এসেছে, আমার ওপর কেউ দরূদ পড়লে ফেরেশতাগণ তার জন্য দোয়া করতে থাকে যতক্ষণ সে আমার প্রতি দরূদে রত থাকে। এখন বান্দার ইচ্ছা, বেশি বেশি দরূদ পড়বে- না কম। -মুসনাদে আহমাদ : ১৫৬৮০
হাদিসের এ বক্তব্য শোনার পর আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, আমরা দরূদের প্রতি কতটুকু মনোযোগী হবো। আল্লাহতায়ালা সব মুসলমানকে বেশি বেশি দরূদের আমল করার তওফিক দান করুন। আমিন।
অনেক মানুষকে দেখা যায় গাড়িতে, দোকানে ও অফিসে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে কোরআন মাজিদের তেলাওয়াত চালু করে অন্য কাজ করতে থাকে।
কোরআন তেলাওয়াত একেবারেই শুনছে না অথবা কাজের কারণে তেলাওয়াতের প্রতি মনোযোগ দিতে পারছে না। আবার একটা কিছু শুনতে শুনতে কাজ করার অভ্যাস, তাই কোরআন তেলাওয়াত ছেড়ে রেখেছে। শোনা উদ্দেশ্য নয়। এ কাজটি ঠিক নয়।
কোরআন তেলাওয়াত শোনা একটি স্বতন্ত্র আমল। কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘যখন কোরআন তেলাওয়াত হয় তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ করো এবং চুপ থাকো। যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়।’ -সূরা আরাফ : ২০৪
বর্ণিত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কোরআন মুমিনদের জন্য রহমত। কিন্তু এই রহমত দ্বারা লাভবান হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত ও প্রক্রিয়া রয়েছে, যা সাধারণ সম্বোধনের মাধ্যমে এভাবে বলা হয়েছে, ‘যখন কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা সবাই তার প্রতি কান লাগিয়ে চুপচাপ থাকবে।’ অর্থাৎ যখন তা পাঠ করা হয়, তখন শ্রোতা সেদিকে কান লাগিয়ে নিশ্চুপ থাকবে।
কিন্তু কোরআন তেলাওয়াত চালু করে তা না শোনা এবং অন্য কাজে মশগুল থাকা কোরআনে কারিমের এই হুকুমের খেলাফ। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও অন্যের থেকে কোরআন তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করতেন।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমাকে তেলাওয়াত করে শোনাও। বললাম, আপনাকে কোরআন তেলাওয়াত করে শোনাবো, কোরআন তো আপনার ওপরই নাজিল হয়েছে! হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি অন্যের কাছ থেকে তেলাওয়াত শুনতে পছন্দ করি। আমি সূরা নিসা তেলাওয়াত করতে শুরু করলাম। যখন এই আয়াতে পৌছলাম, ‘যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো এবং আপনাকে উপস্থিত করবো তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে, তখন কী অবস্থা হবে?’ তখন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, থামো (হে আব্দুল্লাহ!)। আমি নবীজীর দিকে তাকিয়ে দেখি তার দুগন্ড বেয়ে অশ্রু ঝড়ছে। -সহিহ বোখারি : ৪৫৮২
আল্লাহর কালাম তেলাওয়াত হচ্ছে আর আপনি অন্যদিকে মনোযোগ দেবেন, এমন যেন না হয়। যখন কোরআন তেলাওয়াত শুনবেন, মনোযোগ দিয়ে তেলাওয়াতই শুনবেন। আর কাজ করার সময় যদি কিছু একটা শুনতেই হয়, তাহলে গোনাহের কিছু না শুনে শরিয়তসম্মত গজল সংগীত শোনা যেতে পারে।
চেচেন প্রজাতন্ত্রের গ্র্যান্ড মুফতি সালাহ মাগিভ রাশিয়ান কিছু স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের নিন্দা জানিয়ে এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তি এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করে।’
সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্লাদিমির অঞ্চলের শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পাবলিক স্কুলে হিজাব ও নেকাবসহ ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছে।
এমন আদেশের প্রেক্ষিতে মুফতি সালাহ মাগিভ বলেছেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষভাবে এবং শুধুমাত্র ইসলামিক পর্দাকে লক্ষ্য করায় আমরা হতবাক। আমরা আশা করি, এটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপের ফলাফল নয়।’
চেচেন গ্র্যান্ড মুফতি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের উপদেষ্টা ও বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
সম্প্রতি রাশিয়ার ভ্লাদিমির অঞ্চলের স্থানীয় শিক্ষা কর্তৃপক্ষ স্কুলগুলোতে নতুন ড্রেস কোড ব্যবস্থার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের হিজাব ও নিকাবসহ ধর্মীয় পোশাক পরা নিষিদ্ধ করেছে।
২৮ অক্টোবর প্রকাশিত এক নথিতে আঞ্চলিক শিক্ষা ও যুব নীতি মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়, শিক্ষার্থীর ধর্মীয় অনুষঙ্গ প্রদর্শনকারী পোশাক এবং এর উপাদানগুলো (হিজাব, নিকাব ইত্যাদিসহ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত নয়। রাশিয়ার সংবিধানের পাশাপাশি ধর্মীয় সংগঠন ও শিক্ষা সম্পর্কিত ফেডারেল আইন অনুসারে এই বিধিমালা করা হয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে মুসলিম পোশাককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মে নারীদের পরিধান করা হিজাব হলো- এক ধরণের স্কার্ফ, যা মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখে। অন্যদিকে নিকাব একটি পর্দা, যা সম্পূর্ণরূপে মুখ ঢেকে রাখে।
ভ্লাদিমির অঞ্চলটি মস্কো থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে এবং মূলত জাতিগতভাবে রাশিয়ানরাই জনবহুল। সেখানে ১ শতাংশেরও কম বাসিন্দা মুসলমান।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ার আরও কয়েকটি অঞ্চল নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী মুখ ও মাথা ঢেকে রাখার পোশাক নিষিদ্ধ করেছে। এই গ্রীষ্মে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রজাতন্ত্র কারাচায়েভো-চেরকেসিয়া এবং দাগেস্তানে নিকাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। খ্রিস্টান ও ইহুদি সাইটগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হওয়ার পর এটি করা হয়েছিল।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মুখ ঢাকার কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্দিষ্ট কিছু কাজ সম্পাদনে বাধার মুখে পড়েন। আমি বিশ্বাস করি, যখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থ কিছু প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে, তখন প্রত্যেকেরই এটিকে পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।
এর আগে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে রাশিয়ার স্ট্যাভ্রোপল অঞ্চলে এবং ২০১৫ সালে মর্দোভিয়া প্রজাতন্ত্রের স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল, রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট উভয় সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছিল।