প্রেসিডেন্ট হিসাবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসাবে মঙ্গলবার (৭ মে) পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৯৯ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতায় থাকা ৭১ বছর বয়সি পুতিন দেশীয় রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একতরফা আধিপত্য বিস্তার করেছেন।

তবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নানা বিরোধে জড়িয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক যে বিরোধ তৈরি হয়েছে, সেটি মূলত ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনকে ঘিরে।

কিন্তু পুতিন বরাবরই বলে এসেছেন যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার এবং টুকরো টুকরো করার চেষ্টায় পশ্চিমারা ইউক্রেনকে বাহন হিসাবে ব্যবহার করেছে।

শপথ নেওয়ার পর পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে সংলাপ বন্ধ করবেন না। তবে, তারা কীভাবে তার দেশের সঙ্গে জড়িত থাকবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সঙ্গে কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা সম্ভব, তবে সেটি শুধুমাত্র সম্ভব সমান শর্তে।

পুতিন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করব। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি, তার বাস্তবায়ন করবো। একসঙ্গে বিজয়ী হবো আমরা।’

উল্লেখ্য, পুতিন গত মার্চ মাসে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত একটি নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন।

তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আলেক্সি নাভালনি এই নির্বাচনের এক মাস আগে আর্কটিক কারাগারে আকস্মিকভাবে মারা যান। দেশটির অন্যান্য নেতৃস্থানীয় সমালোচকরা হয় কারাগারে আছেন নতুবা বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা রাশিয়ার সর্বশেষ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করে না।

এদিকে, ব্রিটেন, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ পুতিনের শপথ গ্রহণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ফ্রান্স বলেছে, তারা তাদের দূত পাঠাবে।

ইউক্রেন বলেছে, পুতিন রাশিয়ান ফেডারেশনকে একটি আগ্রাসী রাষ্ট্র এবং শাসনকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছে।

পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র সের্গেই চেমেজভ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে রয়টার্সকে বলেন, ‘পুতিন তার দেশে স্থিতিশীলতা এনেছেন। এটি এমন কিছু, যা তার সমালোচকদেরও স্বাগত জানানো উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন এবং তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবেন, যদিও পশ্চিমারা সম্ভবত এটি পছন্দ করবে না।’

   

ভারতের ৪ রাজ্যে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধস, নিহত অন্তত ৩৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চারটি রাজ্যে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেবল মিজোরামেই মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। 

বুধবার (২৯ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে মিজোরামে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে আইজল জেলায় একটি খনি ধসে ২১ জন, নাগাল্যান্ডে চারজন, আসামে তিনজন এবং মেঘালয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব অঞ্চলে বৃষ্টি, দমকা হাওয়ার সাথে, ভূমিধস, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে এবং বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এদিকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লুমডিং বিভাগের অধীনে নিউ হাফলং-জাটিঙ্গা লামপুর সেকশন এবং ডিটোকচেরা ইয়ার্ডের মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণে অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইজলের মেলথুম এবং হ্লিমেনের মধ্যবর্তী ওই খনি থেকে এখনও পর্যন্ত ২১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সকালে ধসের পরে আরও কয়েকজন এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়ে আছেন। জেলার সালেম, আইবাক, লুংসেই, কেলসিহ এবং ফলকাউনে ভূমিধসের ঘটনায় ছয়জন মারা গেছেন এবং আরও অনেকে নিখোঁজ হয়েছেন বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এছাড়া নাগাল্যান্ডে বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত চারজন মারা গেছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ৪০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসামের কামরূপ, কামরূপ (মেট্রো) এবং মরিগাঁও জেলায় তিনজন নিহত এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) অনুসারে, রাজ্যের সোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলিতে একটি স্কুল বাসের ওপর গাছের ডাল ভেঙে পড়লে ১২ জন ছাত্র আহত হয়। মরিগাঁওয়ে বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

এএসডিএমএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বনগাইগাঁও, চিরাং, দাররাং, ধুবরি, হোজাই, কামরূপ, কামরূপ মেট্রো, কার্বি আংলং, কোকরাঝাড়, মরিগাঁও, নগাঁও, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা এবং পশ্চিম কার্বি আংলং জেলায় প্রবল ঝড় হয়েছে।

অন্যদিকে মেঘালয় রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইস্ট জৈন্তিয়া হিলসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ইস্ট খাসি হিলস জেলায় গাড়ি দুর্ঘটনায় অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে।

ত্রিপুরায়, প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টি রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে আঘাত হেনেছ। এতে প্রায় ৪৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭৫০ জনকে বিভিন্ন জেলায় ১৫ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে।

আগরতলায় সংবাদ মাধ্যমকে ব্রিফিংয়ে খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে গড়ে ২১৫.৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং উনাকোটি জেলায় সর্বোচ্চ ২৫২.৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে অরুণাচল প্রদেশে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু জনগণকে সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও বিচ্ছিন্ন স্থানগুলো এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেছেন।

;

রাফার শরণার্থী শিবিরে আবারও হামলা, নিহত ২১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার দক্ষিণের রাফা নগরীর শরণার্থী শিবিরে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১২ নারীসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন।

বুধবার (২৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু ক্যাম্পে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা এবং ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা।

গাজার জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার আল-মাওয়াসির কয়েকটি তাঁবু শিবিরে আঘাত হেনেছে ইসরেয়েলি ট্যাংকের গোলা।

রাফায় দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। পুরো বিশ্বের নিন্দা-সমালোচনা উপেক্ষা করে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে নেতানিয়াহু সরকার।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার মধ্যেই মঙ্গলবার (২৮ মে) ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে। এ নিয়ে মোট ১৪৫টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্যারিসে ব্যাপক বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার রাফাগ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে সোমবার (২৭ মে) প্যারিসে ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছে প্রায় ১০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস থেকে কয়েকশ’ মিটার দূরে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীরা সেখানে ‘আমরা সবাই গাজার শিশু’, ‘মুক্ত গাজা’ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী শ্লোগান দেয়।

এদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার একদিন পর এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাফাহতে ইসরায়েলের ওই হামলায় ৪৫ জন প্রাণ হারায়।

এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরায়েল।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনকারী অ্যাসোসিয়েশন ফ্রান্স-প্যালেস্টাইন সলিডারিটি গ্রুপের ফ্রাঁসোয়া রিপ বলেছেন, ‘এটি একটি বড় ধরনের গণহত্যা।’

অন্যদিকে প্যারিস পুলিশ সার্ভিস জানিয়েছে, বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রায় ১০ হাজার লোক অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশে একটি বড় ব্যানারে লেখা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মানবতাকে হত্যা করছে।

;