রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় ইউক্রেনের পরিচালিত হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম প্রাণঘাতী ছিল।
রোববার (১২ মে) এ হামলায় রাশিয়া প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুলি ছুড়লে ক্ষেপণাস্ত্র টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ক্ষেপণাস্ত্রের একটি টুকরোর আঘাতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের অংশবিশেষ ধসে পড়লে হতাহতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন রুশ কর্মকর্তারা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন এদিন ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই ভবনের অন্তত ১০টি তলা ধসে পড়ছে। পরে জরুরি বিভাগের কর্মীরা যখন জীবিতদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন, তখন ভবনের ছাদটি ধসে পড়ে। লোকজনকে প্রাণ বাঁচাতে ছুটে সরে যেতে দেখা যায়, আর তাদের পেছনে কংক্রিটের ভাঙা টুকরো পড়তে থাকে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ০৮৪০ জিএমটিতে অন্তত ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলাটি চালানো হয়। এটিকে ‘আবাসিক এলাকায় চালানো সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে তারা।
ধ্বংস করে দেওয়া একটি তোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরাগুলোর আঘাতে বেলগোরোদ শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
সোমবার (১৩ মে) ভোররাতে রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থাগুলো জানিয়েছে, ২০ জন আহত হয়েছেন এবং একটি শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
জরুরি বিভাগের কর্মীরা যখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তখনো রকেট হামলার সাইরেন বাজছিল। ইউক্রেইন ও রাশিয়া- উভয় দাবি করে আসছে তারা বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করে না।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত, লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।